- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ৩১, ২০২৩
মোদি-আদানি জোট নিয়ে ফের সরব রাহুল, ১০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ

মোদি-আদানি সম্পর্ক নিয়ে ফের নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। মুম্বইতে বিজেপি বিরোধী “ইন্ডিয়া” জোটের বৈঠকের আগে রাহুল গান্ধি সাংবাদিক বৈঠক করে, বেশ কিছু সংবাদপত্রের নাম করে সেখানে প্রকাশিত আদানি গোষ্ঠীর এই আর্থিক দুর্নীতি ও তার সঙ্গে কার যোগ আছে সেই প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেন।
সাংবাদিক বৈঠকে রাহুলের প্রশ্ন, গৌতম আদানির মাধ্যমে কার টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে? এই টাকা গৌতম আদানির না অন্য করোও? ১০০ কোটি ডলার আদানির সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে। পুরো ঘটনার মাস্টার মাইন্ড গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানি। আর বিনোদ আদানির অংশীদার হলেন চ্যাং চুং লিং, চীনের নাগরিক কী ভাবে আদানি সংস্থার অংশীদার হতে পারে? অন্য অংশীদার নাসের আলি, এরা করা? এ সব জেনেও কি ভাবে নীরব নরেন্দ্র মোদি? আদানির সংস্থায় কার অংশীদারি আছে? কার বিনিয়োগ আছে আদানির সংস্থায় ? প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আদানি গোষ্ঠী কাজ করে, কেনই ইডি, সিবিআই গৌতম আদানির সম্পর্কে কোনও তদন্ত করছে না? এই কাজের সঙ্গে দেশের সুরক্ষা জড়িত সেটা কি প্রধানমন্ত্রী নুঝতে পারছেন না ? সামনেই জি-২০ বৈঠক ! দেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে। কেন এখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গৌতম আদানির সংস্থার এই আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টি জয়েন্ট পার্লামেন্ট কমিটিতে তুলতে দিচ্ছেন না?
রাহুল গান্ধি এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমি এই নিয়ে বলার জন্য আমার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছিল। সেবি-র চেয়ারম্যান গৌতম আদানির সংস্থার আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করার পর আদানির সংস্থাকে ক্লিনচিট দেন। যিনি ক্লিনচিট দিয়েছিলেন তিনি এখন গৌতম আদানির সংস্থা এনডি টিভি-র ডিরেক্টর, এটাই প্রমাণ করছে দুর্নীতি কোন পর্যন্ত গিয়েছে? এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে প্রধানমন্রী কেন গৌতম আদানির বিষয়ে নীরব! আমার প্রশ্ন দেশের সব কিছু, সে বিমান বন্দর হোক বা বন্দর, সব কিছু কিনে নিতে পারছে কি ভাবে গৌতম আদানি?”
❤ Support Us