- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
বিরোধী আপত্তি সত্ত্বেও ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বাস্তবায়িত করার প্রস্তুতি মোদি সরকারের

‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সংসদে আলোচনা চলছে। স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেই কথা উল্লেখ করেছিলেন। চলতি মেয়াদেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বাস্তবায়িত করার ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার ইতিমধ্যেই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে একটা কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটি সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে এই কমিটি লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির জন্য একযোগে নির্বাচনের সুপারিশ করেছে, যা ১০০ দিনের মধ্যে সুসংগত স্থানীয় নির্বাচন দ্বারা অনুসরণ করা হবে। আইন কমিশনও খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে সুপারিশ করতে চলেছে। কমিশনের সুপারিশের মধ্যে থাকছে, সরকারের তিনটি স্তর যথাক্রমে লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা এবং পৌরসভা ও পঞ্চায়েতগুলির মতো স্থানীয় সংস্থাগুলির ২০২৯ থেকে শুরু হওয়া একযোগে নির্বাচন।
১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’–এর জন্য একটা শক্তিশালী বক্তব্য রেখেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ঘন ঘন ভোট দেশের অগ্রগতিতে বাধা তৈরি করছে। বলেছিলেন, ‘এক জাতি, এক নির্বাচনের জন্য জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে।’ বিজেপি লোকসভা নির্বাচনের আগে ইশতেহারে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’–এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সরকার আশাবাদী যে, এটা বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত দল একমত হবে।
যদিও বিরোধীরা সাংবিধানিক ইস্যুগুলোকে তুলে ধরে এখনও পর্যন্ত এই ধারণার কঠোর বিরোধিতা করেছে। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকরী করতে গেলে সরকারকে একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। নির্বাচনী চক্রগুলিতে ব্যাঘাত ঘটবে। সমস্ত রাজ্যকে একই টাইমলাইনে আনতে যে বিরতিগুলি জড়িত হবে, তা নিয়ে কোনও স্পষ্টতা নেই৷ হাউস ভেঙে দেওয়া, রাষ্ট্রপতির শাসন, এমনকি বিধানসভা বা সংসদের ক্ষেত্রেও স্পষ্টতার অভাব রয়েছে। আঞ্চলিক দলগুলি জানিয়েছে, তাদের সীমিত সংস্থান লোকসভা নির্বাচনের দ্বন্দ্বের মুখে ভোটারদের কাছে স্থানীয় সমস্যাগুলি তুলে ধরতে বাধা দিতে পারে।
❤ Support Us