Advertisement
  • প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ২৩, ২০২২

‘দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারি না’ রামপুরহাট কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি রাজ্যপালের ।

ধনকড় লিখেছেন, তাঁর বিবৃতির যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত। সিটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
‘দর্শক হয়ে বসে থাকতে পারি না’ রামপুরহাট কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা চিঠি রাজ্যপালের ।

রামপুরহাট-ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বললেন, এমন ঘটনার পর তিনি চুপ থাকতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল লেখেন, তাঁর বিরুদ্ধে আবারও অভিযোগের মনোভাব প্রকাশ করেছেন মমতা। কিন্তু রামপুরহাটের বগটুইয়ে সঞ্জু শেখের পুরো পরিবার— ছ’জন মহিলা এবং দুটো শিশুকে পুড়িয়ে দেওয়ার পর রাজ্যপাল হিসেবে তিনি চুপ থাকতে পারেন না।মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চিঠি লিখে সংযত থাকার কথা জানিয়েছিলেন । রাজ্যপাল হিসাবে রামপুরহাট-কাণ্ড নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা সমীচীন নয়। কারণ, এখন ঘটনার তদন্ত করছে প্রশাসন।

বুধবার রাজ্যপাল পাল্টা চিঠিতে লেখেন, কৌশলে তাঁর মন্তব্যকে ‘মাত্রাজ্ঞানহীন’ এবং ‘অযাচিত’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এমন ‘মস্ত অপরাধ’-এর পর রাজভবনে বসে তিনি সময় নষ্ট করতে পারেন না। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবেন না। যদি তা করতেন তা সাংবিধানিক কর্তব্যে অমার্জনীয় কাজ হবে।

মমতাকে ধনখড় এও জানান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে। রামপুরহাটের ঘটনার মতো অতীতে রাজ্যে অনেক ঘটনা ঘটেছে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীর আসনে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে লিখেছিলেন রাজ্যে শান্তি বজায় আছে। তার মধ্যে রামপুরহাটের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। যার প্রেক্ষিতে ধনখড় লেখেন, ‘এর চেয়ে হাস্যকর দাবি কিছু হতে পারে না।’

রাজ্যপাল চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বিধানসভা ভোটপরবর্তী হিংসার কথা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিবৃতিকে উদ্ধৃত করে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে শাসকের আইন আছে, আইনের শাসন নেই।’ পাশাপাশি, জ্ঞানবন্ত সিংহের নেতৃত্বাধীন সিটের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

মমতা চিঠিতে দাবি করেছিলেন এর চেয়ে অনেক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। তখন নীরব থাকেন রাজ্যপাল। যার প্রেক্ষিতে ধনখড় লিখেছেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর মতো তাঁরও কাজের পরিধি এই রাজ্য।

চিঠির শেষাংশে মমতাকে তাঁর ভূমিকা মনে করিয়ে ধনখড় লেখেন, রাজ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং মানবাধিকার যাতে ফিরে আসে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। প্রশ্ন তোলেন, ‘আগরতলায় যখন হিংসার ঘটনা ঘটে, তখন কোথায় থাকেন রাজ্যপাল? রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল সরকার যথাসম্ভব পদক্ষেপ করেছে। ঘটনায় আমাদের নেতা মারা গিয়েছেন। আমাদের সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লেগেছে। সেখানে এসব রাজনীতি চলে না। মুখ্যমন্ত্রী মনে করলে চিঠির উত্তর দেবেন।”

উল্লেখ্য, এই ঘটনার জন্য নিজের দার্জিলিং সফর কাটছাঁট করেছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার ফেরার কথা থাকলেও আজই কলকাতা ফিরছেন তিনি। যেতে পারেন রামপুরহাটেও।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!