Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুলাই ১৮, ২০২৪

রত্ন ভান্ডারের ভিতর কুঠুরির ভিডিওগ্রাফি সম্পন্ন, স্ট্রং রুমের পথে জগন্নাথদেবের বাক্সবন্দী ধনরত্ন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রত্ন ভান্ডারের ভিতর কুঠুরির ভিডিওগ্রাফি সম্পন্ন, স্ট্রং রুমের পথে জগন্নাথদেবের বাক্সবন্দী ধনরত্ন

পুরীর জেলা শাসক সিদ্ধার্থ সোয়াই জানিয়েছিলেন ওই রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের কুঠুরির ভিডিও সমীক্ষা করা হবে বৃহস্পতিবার ।সেইমতো সকাল ৯ টা ৫১ ও বেলা ১২ টা ১৫ এ তা আবার খোলা হয়। সোনাদানা ভর্তি ট্রাঙ্কগুলি একটি অস্থায়ী ভল্টে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুরাতত্ব বিভাগের আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।

গত ১৪ জুলাই উল্টোরথের আগের দিন জগন্নাথ দেবের রত্ন ভাণ্ডার উন্মোচিত হওয়ার কথা ছিল । সেই মত তা করা হয়েছে। বন্ধ থাকা ভাণ্ডারের মূল চাবি না মেলায় শেষমেশ নকল চাবি তৈরি করে রত্নভাণ্ডারের দরজা খোলা হয়। দরজা খোলা মাত্রই ঝাঁকে ঝাঁকে বাদুড় তাঁদের স্বাগত জানিয়েছেন। বাহির কুঠুরিতে রাখা দেবদেবীদের অলংকার ইতিমধ্যে নিরাপদে নির্দিষ্ট স্ট্রং রুমে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির প্রধান অরবিন্দ পধি।

রবিবার রত্নভাণ্ডার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পুরীর রাজা দিব্যসিংহ দেব। পুরীর বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর একটি দল উপস্থিত ছিল। বেশ কয়েকজন সাপুড়েকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এমনকি সরকারি হাসপাতালে বিশধর সাপের কামড়ের ইনজেকশনও মজুত রাখা হয়েছিল। নাগলোকের বাসিন্দাদের দেখা না মিললেও ইঁদুরের বড় বড় গর্ত দেখা গিয়েছে ।

রত্ন ভাণ্ডার থেকে কী কী মিলেছে তা সম্পূর্ণ খোলসা করেননি আধিকারিকেরা।নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ আঁটসাঁট ছিল। ধন সম্পদ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি বেশ কিছু বাক্স এনে রাখা হয়েছিল। সেগুলিতে ভরেই দেবতার গয়ণাগুলি স্ট্রং রুমে রওনা দেবে ।। যদিও তাঁদের দাবি অনুযায়ী এমন কিছু মিলেছে যা ৪৬ বছর আগের সমীক্ষাতেও উল্লিখিত ছিলনা।
জগন্নাথ , বলরাম ও সুভদ্রার বিপুল সোনাদানা ছাড়াও বেশ কিছু প্রাচীন মূর্তি পাওয়া গেছে। বহুমূল্য ধাতু দিয়ে তৈরি এই মূর্তিগুলি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে বেশ কিছুটা কালো হয়ে গেছে। ১১ সদস্যের অনুসন্ধানরত দলটির চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথ বলেন, ‘আমরা ওই মূর্তিগুলি স্পর্শ করিনি। মূর্তিগুলি দেখতে পেয়েই আমরা প্রদীপ জ্বালাই এবং পুজো করি। আপাতত মূর্তিগুলিকে স্ট্রং রুমে স্থানান্তরিত করা হবে। সমস্ত পরীক্ষা হওয়ার পরই মূর্তিগুলির ওজন ও অন্যান্য বিষয়গুলি জানা যাবে।’ তবে সেবায়েতদের দাবি, পূর্বের ভাণ্ডার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ‘মেকাপ’রা এই মূর্তিগুলির পূজা করতেন।

তবে কেন যে আসল চাবি পাওয়া গেলনা , তা নিয়ে সেবায়েতদের মধ্যে আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে। রত্ন ভাণ্ডার থেকে কোনও বহুমূল্য দ্রব্য খোওয়া যাওয়ার অনুমান করছেন তাঁরা।মুখ্য মহাপাত্র বদগ্রহি জগন্নাথ সোয়েন জানিয়েছেন , সত্য উদ্ঘাটনে প্রয়োজন সঠিক তদন্ত। রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরের চেম্বার খোলার পর সোনার সঠিক পরিমাপ প্রয়োজন। তাহলেই বোঝা যাবে কোনটি হারিয়ে গিয়েছে। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, চাবি হারানোর পিছনে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু রহস্য রয়েছে। তাঁর দাবি ভিতরের কুঠুরির সংস্কার করা হোক।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!