Advertisement
  • দে । শ বৈষয়িক
  • মে ৩১, ২০২৪

বিদেশ থেকে ১ লক্ষ কিলোগ্রাম সোনা ফেরানোর সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের । দাবিহীন ৭৮,০০০ কোটি টাকা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিদেশ থেকে ১ লক্ষ কিলোগ্রাম সোনা ফেরানোর সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের । দাবিহীন ৭৮,০০০ কোটি টাকা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

বিদেশি ভল্টে রাখা গচ্ছিত সোনা দেশে ফিরিয়ে আনছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড থেকে ১ লক্ষ কিলোগ্রাম সোনা নিয়ে আসা হবে দেশে । মহারাষ্ট্রের মুম্বই এবং নাগপুরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে ভল্টে রাখা হবে ওই সোনা ।

বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ এবং মূল্যস্ফীতির মধ্যে ভারসাম্য রাখতেই সোনা মজুত করে বিশ্বের বেশীরভাগ দেশ । ভারতও নিজেদের সম্পদ বৈচিত্র বাড়াতে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে । ১৯৯১ সালে, কেন্দ্রে চন্দ্রশেখর সরকার দেশের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় এবং মু্দ্রাস্ফীতির সঙ্কট এড়াতে বিদেশে হলুদ ধাতু বন্ধক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । সেইসময় বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি মেটাতে ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ড এবং ব্যাঙ্ক অব জাপানের সঙ্গে ৪৬.৯১ টন সোনা মজুতের প্রতিশ্রুতি দেয় ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক । এরপর ২০০৯ সালে কেন্দ্রে মনমোহন সিং এর সময় থেকেই ধারাবাহিক ভাবে ভারত তার স্বর্ণ ভান্ডার বাড়িয়েছে । তৎকালীন ইউপিএ সরকার দেশের সম্পদ বৈচিত্র বাড়াতে ৬.৭ বিলিয়ন ডলারের ২০০ টন সোনা কেনে । এরপর কেন্দ্রে এনডিএ সরকারও স্বর্ণ মজুতের একই রীতি বজায় রাখে । যদিও ভারতের গোল্ড রিজার্ভের বেশিরভাগ অংশই গচ্ছিত ছিল ব্যাঙ্ক অব ইংল্যান্ডের ভোল্টে । রিজার্ভ ব্যাঙ্কে মজুত সোনার মধ্যে ৮২২ টন  দেশে এবং প্রায় ৪১২ টন সোনা বিদেশের ভল্টে রাখা আছে । সেজন্য ফি বছর স্বর্ণ সংরক্ষণের খরচও দিতে হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে । সেই খরচ কমাতেই দেশে ১ লক্ষ কিলোগ্রাম সোনা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা । দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষে ৭.৭৫ শতাংশ থেকে ২০২৪ এর এপ্রিলে ৮.৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে । ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি বিশ্বের ১৭ শতাংশ সোনা মজুত রাখে । ২০২৩ সালে সেই মজুদ সোনার পরিমাণ ৩৬,৬৯৯ মেট্রিক টন অতিক্রম করেছে ।

অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে দাবিহীন গচ্ছিত টাকার পরিমাণ ক্রমশই বাড়ছে । ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষে এই টাকার পরিমান প্রায় ৭৮,০০০ কোটি টাকা ছুঁয়েছে।  ১০ বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কে পরে থাকা এই টাকা  জমা পড়ছে আরবিআইয়ের এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ফান্ডে। এই সমস্যার সমাধানে আরবিআই  দাবিদারহীন একাউন্টের হদিস ও বিবরণ দিতে একটি পোর্টাল চালু করেছে। এই পোর্টালের মাধ্যমে সমস্যা কমলেও সমাধান পুরোপুরি হয়নি।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!