- এই মুহূর্তে ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
- আগস্ট ২৯, ২০২৪
সঙ্কটে ‘ভালো-পাহাড়’ এর স্বপ্নদ্রষ্টা ।ভর্তি জামাশেদপুরেরে হাসপাতালে
আজ এক সপ্তাহ হয়ে গেল, ‘ভালো-পাহাড়’ ভালো নেই। নামটা অপরিচিত নয় নিশ্চয়ই। বাংলা সাহিত্যের এক বিরাট স্থানে যিনি সবুজের ছোঁয়া এনে দিয়েছিলেন, কৌরব পত্রিকার অন্যতম সহযোগী, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা, ‘জঙ্গল’, ‘ব্রহ্মভার্গব পুরান’ এর মতো উপন্যাসের ঔপন্যাসিক কমল চক্রবর্তী গত এক সপ্তাহ ধরে আশঙ্কাজনক অবস্থায়, জামেশদপুরের টাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শহর থেকে অনেক দূরে, বাণিজ্যিক প্রচারের আলোর থেকে বিপরীতে কমল চক্রবর্তীর বেঁচে থাকা। বাংলা গদ্যে কমল চক্রবর্তী সৃষ্টি করেছেন নতুন এক ভাষাশৈলী। সৃষ্টি করেছেন নতুন এক পৃথিবী। গড়ে উঠেছে নিজস্ব এক পাঠক-বৃত্ত। এখনও পর্যন্ত লিখেছেন ২৫টির মতো উপন্যাস।
আর যা না বললে কমল চক্রবর্তী নামটা অসম্পূর্ণ থাকা যায় তা হলো, তাঁর ভালোপাহাড়। পুরুলিয়ার এক প্রত্যন্ত জায়গায় ১০০ বিঘার ওপর জমিকে তিনি পরিবর্তিত করেন রাস্কায়। প্রায় ২ লাখ গাছের শিকড়ে বাঁধতে থাকেন পুরুলিয়ার স্থানিক যাপনকে। কখনো সাদা ধুতি আর গেঞ্জিতে কোনো গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত থেকেছেন এই কথাকার, আবার কখনো বা ব্যস্ত থেকেছেন পুরুলিয়ারই কোনো ছোটো ছেলে মেয়েদের হাতে স্লেট পেন্সিল তুলে দিতে। প্রাণপন লড়াই করেছেন ল্যাটেরাইট মাটিকে সবুজ করে তুলতে। ১৯৯৬ তে তৈরি হওয়া এই ভালোপাহাড় সোসাইটিতে যুক্ত হন প্রায় ৫৫ জন সম-মনোভাবাপন্ন মানুষ।
সেই মানুষটি এখনো লড়াই করে যাচ্ছেন অসুস্থতার সাথে। ব্রেন ডেথের কাছাকাছি অবস্থা। শুভানুধ্যায়ীরা উদ্বিগ্ন, তাঁর গুণমুগ্ধরা, লেখকসত্তা আর জীবনবোধের সঙ্গে পরিচিত বহুজন সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছেন তাঁর আরোগ্য কামনায়।
❤ Support Us