Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ডিসেম্বর ২, ২০২৩

সোমবারই লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশের সম্ভাবনা, মহুয়ার হয়ে স্পিকারকে চিঠি দিলেন অধীর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সোমবারই লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশের সম্ভাবনা, মহুয়ার হয়ে স্পিকারকে চিঠি দিলেন অধীর

ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন কাণ্ডে সোমবার এথিক্স কমিটির রিপোর্ট জমা পড়তে পারে। সোমবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথমদিন এথিক্স কমিটির রিপোর্ট জমা পড়ার সম্ভাবনা। এই রিপোর্টের উপর ভোটাভুটি হবে এবং সেই ভোটাভুটির ফলের ভিত্তিতেই ঠিক হয়ে যাবে মহুয়া মৈত্রর  সাংসদ পদ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সংসদের তথ্য বলছে, এথিক্স কমিটির রিপোর্টের পক্ষে বেশি ভোট পড়লে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হওয়া নিশ্চিত। লোকসভায় সংখ্যাধিক্যের জোরে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, সোমবার অধিবেশন শুরুর আগে আজ, শনিবারই সংসদে সর্বদলীয় বৈঠক। সেখানেও মহুয়ার ইস্যুটি উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে মহুয়ার বিরুদ্ধে মূল অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লিখেছেন, “আগামী ৪ ডিসেম্বর,২০২৩, সংসদীয় ইতিহাসে দুর্নীতির বিষয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেবে লোকসভা, যা গণতান্ত্রিক দেশের মর্যাদা রক্ষা করবে এবং দেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি শক্তিশালী ধারণা দেবে।” এদিকে মহুয়া মৈত্রের হয়ে শনিবার লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে এথিক্স কমিটির কার্য প্রণালী নিয়ে প্রশ্ন তুললেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

সংসদে টাকা নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন নিশিকান্ত দুবে। সেই অভিযোগের পর ঘটনাটি অনেক দূর গড়িয়েছে। সংসদের এথিক্স কমিটি গত ৯ নভেম্বরের বৈঠকে এই ইস্যুতে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে। তার আগে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এথিক্স কমিটির সদস্যরা। তাতে অবশ্য মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিল বিজেপি বিরোধী সাংসদরা। এবার সেই রিপোর্ট শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে পেশ হতে চলেছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। প্রথম দিনই মহুয়াকে নিয়ে সেই রিপোর্ট পেশের সম্ভাবনা রয়েছে লোকসভায়।

এদিকে মহুয়া মৈত্রর হয়ে কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা সাংসদ অধীর চৌধুরী লোকসভার স্পিকারকে এথিক্স কমিটির কার্যপ্রণালী নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি দিয়ে লিখেছেন, “১০ জন সাংসদকে ২০০৫ সালে সাংসদ পদ খারিজের সময় তাঁদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছিল। মহুয়ার ক্ষেত্রে উপহার নেওয়া কি টাকা নেওয়ার বিষয়কে প্রমাণ করে? ২০০৫ সালে যে আইনের ভিত্তিতে ১০ জন সাংসদকে বহিস্কার করা হয়েছিল সেই আইন কি মহুয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? কেন হীরানন্দানিকে এথিক্স কমিটি থেকে ডাকা হল না? কেন এথিক্স কমিটির রিপোর্ট সংসদে পাশের আগে বাইরে প্রকাশ পেল? বিষয়টি স্পিকারের ঠিক ভাবে বিবেচনা করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে সাংসদরা ভুল পথে চালিত না হন।” সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও মহুয়া মৈত্রের প্রসঙ্গে শনিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন।

এদিকে অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “অধীর চৌধুরী কোনদিকে যাবেন ঠিক পাচ্ছেন না। আসলে তিনি তাঁর বহরমপুরের লোকসভার আসনটি বাঁচাতে চেষ্টা করছেন। যে তৃণমূলকে দুর্নীতির জন্য রাজ্যের মানুষ সরিয়ে দিতে চাইছে, কংগ্রেস সেটাই চাইছে। তখন অধীর চৌধুরীর এই কাজ হয়তো রাহুল গান্ধির নির্দেশেই হচ্ছে।”

তবে সংসদে সংখ্যাধিক্যের জোরে বিজেপি মহুয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ নিশ্চিত ভাবে খারিজ করতেই পারে, তবে লোকসভার বাইরে আদানির বিরুদ্ধে মহুয়ার মুখ বন্ধ করতে বিজেপি যে পারবে না সেটা নিশ্চিত। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সহ বিরোধীদের অভিযোগ, কেন আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মহুয়া মৈত্রর অভিযোগের তদন্ত হবে না ?


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!