শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
গত ১২ নভেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটায় উত্তরকাশীতে ধসে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ৪১ জন কর্মরত শ্রমিক আটকে পরে। এই ৯ দিনে তাঁদের উদ্ধারের সব চেষ্টা বিফলে গেলেও মঙ্গলবার সকালে সুড়ঙ্গের ভেতর ৬ ইঞ্চি পাইপ প্রবেশ করিয়ে তার মধ্য দিয়ে এন্ডোস্কোপিক ক্যামেরা সুড়ঙ্গে পাঠিয়ে শ্রমিকদের ভিডিও চিত্র তুলেছে উদ্ধারকারীরা। এই ঘটনাকে বড় সাফল্য বলে দাবি করছে উদ্ধারকারী দল ও উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। এই ৬ ইঞ্চি পাইপের মধ্য দিয়ে ক্যামেরা পাঠিয়ে যে ছবি পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে হলুদ ও সাদা হেলমেট পড়া শ্রমিকরা পরস্পরের সঙ্গে কথা বলছেন। এই ভিডিও সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবারের জন্য সুখবর বলে দাবি করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। তাদের ওই ৬ ইঞ্চি পাইপের মাধ্যমে গরম খিচুড়ি খাবার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া পাইপার সাহায্যে সুড়ঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে ধসে পড়া সিল্কিয়ারা টানেলের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের প্রথম ভিডিও পাওয়াকে বড় সাফল্য বলে দাবি করছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা এবং উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। যদিও এখনও জানা নেই ওই ৪১ জন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিককে কি ভাবে , কবে, কখন সুড়ঙ্গের বাইরে বার করে আনা সম্ভব হবে।
#WATCH | Uttarkashi (Uttarakhand) tunnel rescue | First visuals of the trapped workers emerge as the rescue team tries to establish contact with them. The endoscopic flexi camera reached the trapped workers. pic.twitter.com/5VBzSicR6A
— ANI (@ANI) November 21, 2023
ধসে পড়া সিল্কিয়ারা টানেলের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে উদ্ধারকারীরা একটি ছয় ইঞ্চি প্রশস্ত পাইপলাইন সোমবার সুড়ঙ্গে পাঠানোর একদিন পরেই এই ভিডিও প্রকাশ করেছে উদ্ধারকারীরা, এই কাজকে তারা বড় অগ্রগতি বলে উল্লেখ করছেন। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, নয় দিন ধরে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে এখন আরও বেশি পরিমাণে খাবার সরবরাহ করতে পারা যাবে।
এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের চর ধাম রুটে নির্মাণাধীন সুড়ঙ্গের ধসে পড়া অংশের ধ্বংসস্তূপের বাইরে সুড়ঙ্গের মধ্যে অক্সিজেন এবং শুকনো ফল এবং ওষুধের মতো জিনিস সরবরাহ করা হচ্ছে চার ইঞ্চি একটি টিউবের সাহায্যে।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড বা এনএইচআইডিসিএল- এর পরিচালক অংশু মনীশ খালখো সুড়ঙ্গের ভেতরে তোলা এই ভিডিওটিকে “প্রথম সাফল্য” বলে পোস্ট করেছেন তাদের সাইটে। তিনি বলেছেন, “আমরা পাইপটি ধ্বংসস্তূপের অন্য দিকে ৫৩ মিটার পর্যন্ত পাঠিয়েছি এবং আটকে পড়া শ্রমিকরা আমাদের কথা শুনতে পাচ্ছে এবং আমরা কি বলছি সেটা অনুভব করতে পারছে।”
এই সংস্থার আর এক সহকর্মী কর্নেল দীপক পাতিল বলেছেন, “এই ভিডিও আমাদের প্রথম প্রাপ্তি, বড় প্রাপ্তি। পরবর্তী পদক্ষেপটি আরও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখন সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে অক্ষত অবস্থায় বাইরে বের করে আন্তে হবে।”
এই ছয় ইঞ্চি বিকল্প লাইফলাইনের মাধ্যমে, আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য এই প্রথমবারের মতো গরম খিচড়ি পাঠানো হয়েছে।
গত ১২ নভেম্বর, সিল্কিয়ারা থেকে বারকোট পর্যন্ত একটি নির্মীয়মান সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ৬০ মিটার প্রসারিত একটি পাঁচিল ধসে যাওয়ার কারণে ৪১ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গে আটকা পড়েছে। সরকারের মতে, শ্রমিকরা ২ কিমি-নির্মিত সুড়ঙ্গের ভেতর আটকা পড়েছে, শ্রমিকরা নিরাপদে আছে।
টানেলের ধসে যাওয়া অংশে বিদ্যুৎ ও জল যাতে আটকে পড়া শ্রমিকরা পেতে পারে তার জন্য ৪ ইঞ্চি কম্প্রেসার পাইপলাইনের মাধ্যমে শ্রমিকদের খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।
উদ্ধারকারী দলের এক কর্তাব্যক্তি বলেন, আটকা পড়া শ্রমিকদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চওড়া মুখের প্লাস্টিকের নলাকার বোতলের মাধ্যমে আমরা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে কলা, আপেল, খুচুরি এবং ডালিয়া পাঠানো হচ্ছে।”
আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য খিচড়ি তৈরি যিনি করছেন, হেমন্ত নামের সেই বাবুর্চি জানিয়েছেন, এই প্রথম শ্রমিকদের জন্য গরম খাবার পাঠানো হচ্ছে। এই খাবারটি সুড়ঙ্গের ভিতরে পাঠানো হবে। আমরা গরম খিচড়ি পাঠাচ্ছি। আমরা কেবল সেই খাবারই তৈরি করছি এবং পাঠাচ্ছি যা চিকিৎসকরা সুপারিশ করেছেন।”
উদ্ধার কাজে গতি বারবার জন্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও থেকে সুড়ঙ্গের কাছে ড্রোন এবং রোবট আনা হয়েছে, এই যন্ত্রাংশের মাধ্যমে সুড়ঙ্গের ভেতর আটকে পড়া শ্রমিকদের সুড়ঙ্গের ভেতরের অবস্থান ও তাদের বের করে আনার পথের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে ফোন করে উদ্ধার অভিযানের খবর নিয়েছেন সোমবার, তিনি বলেছেন, বলেছিলেন আটকে পড়া শ্রমিকদের মনোবল বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34