Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ১৯, ২০২৩

ঋষি সুনক বাইডেনের পর ইজরায়েলে পৌঁছে “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে”-র স্পষ্ট বার্তা দিলেন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ঋষি সুনক বাইডেনের পর ইজরায়েলে পৌঁছে “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে”-র স্পষ্ট বার্তা দিলেন

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পর এবার ইজরায়েলে পৌঁছলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য রাজধানী সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে দেখা করতে আজ ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। তিনি নিজের  এক্স হ্যান্ডলে সেই খবর জানিয়েছেন। সুনকের ঘোষণা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তিনি সব সময়ই দাঁড়াতে প্রস্তুত।

ঋষি সুনাক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “আমি ইজরায়েলে রয়েছি। শোকাহত একটি দেশ। আমি আপনাদের জন্য শোকপ্রকাশ করছি। সন্ত্রাসবাদ নামের শয়তানের বিরুদ্ধে আপনাদের সঙ্গে রয়েছি, আজ এবং চিরকাল।” এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বুধবারই ইসরায়েল গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি।

মিশর গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য একটি করিডোর তৈরির কথা ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার পর শত শত ট্রাক প্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ইসরায়েল দ্বারা বোমাবর্ষণ করা অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহলে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে। এই প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “যদি হামাস এই সাহায্য বাজেয়াপ্ত করে, সাহায্য পেতে না দেয়, তবে এই সাহায্যই শেষ সাহায্য হতে চলেছে। বাইডেন বলেছেন, মূল কথা হল, মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি কিছু সত্যিকারের কৃতিত্বের দাবিদার, কারণ তিনি এই বিষয়টিতে খুব সহানুভূতিশীল।” এদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মিশরে ঢুকতে না দেওয়ার কথাও আগাম শুনিয়ে রেখেছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি।

গাজার হাসপাতালে বিধ্বংসী হামলার ঘটনায় ৫০০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। হামাস এই হামলার জন্য ইজরায়েলি সেনাকে অভিযুক্ত করলেও তেল আভিভের দাবি, এর সঙ্গে জড়িত প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী। এই একই কথার আভাস পাওয়া গিয়েছে বাইডেনের বক্তব্যে। পরে হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ওই নৃশংস হামলার সঙ্গে ইজরায়েল জড়িত নয়।”

বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েল-হামাস চলমান সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে সাহায্য করার জন্য গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে মানবিক সহায়তায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে।

হাসপাতালে বোমা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিসি, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর মতো আরব নেতারা বাইডেনের সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক বাতিল করে।

২০০৭ সাল থেকে গাজা ইসরায়েল এবং মিশর দ্বারা অবরুদ্ধ। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজাবাসীরা নিরলস ইসরায়েলি বিমান হামলা দেখেছে। খাদ্য ও পানীয় জলের জন্য লড়াই করে বেঁচে থাকা লোকজনের সাথে পুরো আশেপাশের এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস এক্স-কে লিখেছেন, “আমাদের সব পক্ষের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।”

গাজার পরিস্থিতি এবং মারাত্মক হাসপাতালে বোমা হামলা আরব ও মুসলিম বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। ইরান-সমর্থিত এবং লেবানন-ভিত্তিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে প্রতিবাদস্থল জুড়ে আমেরিকার মৃত্যু, ইসরায়েলের মৃত্যু স্লোগান দিয়ে গণসংহতির আহ্বান জানিয়েছে।

এক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক দাবি করেছেন, যে ইসরায়েলি বাহিনী হামাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কয়েকদিন পর দেশটির দক্ষিণে সিরিয়ার একটি সামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। ইউকে-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, “সিরীয় সেনাবাহিনীর অবস্থানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলার পর কুনেইত্রা প্রদেশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।”

গত ৭ অক্টোবর ভোরে আচমকাই ইসরায়েলের উপর রকেট হামলা চালায় হামাস। মিনিট কুড়ির মধ্যে ৫ হাজার রকেট আছড়ে পড়ে ইজরায়েল ভূখণ্ডে। পাশাপাশি দ্রুত ওই অঞ্চলে ঢুকে পড়ে হামাস জঙ্গিরা। সেই সময়ই পণবন্দি করা হয় বহু ইজরায়েলিকে। দেখতে দেখতে প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চলল হামাস-ইজরায়েল লড়াইয়ের। মৃতের সংখ্যা এখন ৪ হাজার ছাড়িয়েছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!