- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ১, ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তার বেহাল দশা। অভিযোগ, শর্ত মানছে না নির্মান সংস্থা

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তার বেহাল দশা হাসনাবাদে। এনিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে দিনের পর দিন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বরুণহাট লঞ্চঘাট থেকে মহিষপুকুর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার যে রাস্তা হয়েছিল সেটি রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে। অথচ রাস্তা তৈরি সহ সেটি ৫ বছরের রক্ষনাবেক্ষণের জন্য বরাত পেয়েছিল নির্মান সংস্থা। ২৪ লাখের ওপর বরাদ্দ করা হয়েছে। ফি বছর রাস্তা সংস্কারের নির্দেশ সহ বরাদ্দ উল্লেখ রয়েছে রাস্তার পাশেই। কিন্তু সেই যে রাস্তা তৈরি করে নির্মান সংস্তা এখান থেকে পাততাড়ি গোটালো তার পর আর তাদের দেখা নেই। কোন হেলদোল নেই স্থানীয় পঞ্চায়েতের। বার বার বলেও কোন সুরাহা হয়নি রাস্তা সংস্কারে ব্যাপারে। ২০২১ সালে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের বরুণহাট লঞ্চ ঘাট থেকে মহিষপুকুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়। ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা’–র রাস্তাটির নির্মানের বরাত পায় নদীয়ার এক ঠিকাদার সংস্থা। ৪ নভম্বর ২০২১ থেকে ৪ নভেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত এই রাস্তার নির্মানে ২৪ লক্ষ টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। অথচ প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেল রাস্তার রক্ষনাবেক্ষণের ব্যাপারে ঠিকাদার সংস্থার দেখা নেই। ১) বর্ষার পরে প্রতিবছর রাস্তা রক্ষনাবেক্ষণ করতে হবে। ২) প্রতিবছর রাস্তার কী অংশ খারাপ রয়েছে তা মেরামত করতে হবে। ৩) রাস্তার পাশের গার্ড ওয়াল প্রতিবছর ঠিক করতে হবে। ৪) রাস্তার পাশের নিকাশি ড্রেন প্রতিবছর মেরামত করতে হবে এরকন রাস্তার পাশে টাঙানো ৮ দফা নির্দেশাবলীতে ব্যয় বরাদ্দ সমেত উল্লেখ রয়েছে। তার পরেও কেন রাস্তার এই হাল তা নিয়ে এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এক দিকে সংস্কারের অভাব, অন্যদিকে বড় বড় মাটি বোঝাই লরি এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে রাস্তাটির এই দশা। অটো, টোটো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অসুস্থ মানুষ, প্রসুতি মহিলা, ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। রামেশ্বরপুর বরুণহাট পঞ্চায়েতের প্রধান আবুল কালাম বলেন, ‘যখন রাস্তা তৈরি হয় সেই সময় আমি প্রধানের দায়িত্বে ছিলাম না। রাস্তাটি জায়গায় জায়গায় খারাপ হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।’
❤ Support Us