Advertisement
  • দে । শ
  • এপ্রিল ১০, ২০২৪

বসিরহাট সীমান্ত গ্রামে ডাকাতি, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার তিন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বসিরহাট সীমান্ত গ্রামে ডাকাতি, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার তিন

অবসর প্রাপ্ত পোস্ট মাস্টারের পরিবারের সবাইকে সংজ্ঞাহীন করে সর্বস্ব লুট করে চম্পট দিল দুস্কৃতীর দল। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার মেরুদন্ডী গ্রামের ঘটনা। কাছেই বাংলাদেশ সীমান্ত। একদিন পর জানতে পেরে প্রতিবেশীরা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাটি নজরে আসে মঙ্গলবার বিকেলে। আগের দিন অর্থাৎ সোমবার দুস্কৃতীরা গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে মুখে গ্যাস স্প্রে করে সংজ্ঞাহীন করে হাত পা বেঁধে জিনিসপত্র নিয়ে পালায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বসিরহাট থানার মেরুদন্ডী এলাকায় পুরনো দোতলা বাড়িতে স্ত্রী সরযূবালা ও মেয়ে সীমাকে নিয়ে থাকেন আনন্দমোহন মন্ডল। আনন্দবাবু অবসর প্রাপ্ত পোস্ট মাস্টার। গত সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ খাচ্ছিলেন মন্ডল পরিবারের সদস্যরা। সে সময়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দরজার তালা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে কয়েকজন দুস্কৃতী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই  দুষ্কৃতীরা ৩ জনকে বেধড়ক মারধোর শুরু করে। আলমারির চাবি কেড়ে নিয়ে নগদ কয়েক লাখ টাকার অলঙ্কার সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে পালায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সোমবার সারাদিন তাঁদের দেখা গেলেও পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালের বাড়ির পরিচারিকা বাড়ির দরজা খোলা না পেয়ে ফিরে যান। ওই পরিচারিকা বিকেলে এসে একই ভাবে দরজা বন্ধ দেখে পাশের বাড়ির লোকদের জানান। প্রতিবেশীরা এসে দরজার ঠেলা দিলে দরজা খুলে যায় । ভেতরে গিয়ে তাঁরা দেখেন আনন্দবাবু ও তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে ৩ জনই অজ্ঞান  অবস্থায় বাড়ির  ভেতরে এদিক ওদিক পড়ে আছেন। তাঁদের মুখ দিয়ে গাঁজলা বেরচ্ছে। মেয়েটির  হাত  বাঁধা অবস্থায় ছিল। তাদের শরীরে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘরের সবকিছু লন্ডভন্ড। আলমারির তালা ভাঙা। প্রতিবেশীরা সঙ্গে সঙ্গে ৩ জনকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। গৃহকর্তা আনন্দমোহন মন্ডলকে কলকাতায় পাঠানো হয়। তাঁর স্ত্রী, সরযু মন্ডল, মেয়ে সীমা মন্ডলকে বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সরযুদেবী সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। বাড়ির ভেতরে ঢুকে সীমা পুলিশকে জানিয়েছে রাসায়নিক গ্যাস স্প্রে করা হয়েছে তাদের ওপর। এই ঘটনায় প্রতিবেশী সহ আত্মীয়রা রীতিমতো আতঙ্কিত। প্রতিবেশী, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মায়া বাছাড় বলেন, ‘ঘরের মধ্যে ঢুকলে দেখা যায় শোবার ঘর এবং বাথরুমের বিভিন্ন জায়গাতে সজ্ঞাহীন অবস্থায় ছড়িয়ে রয়েছে মন্ডল পরিবারের ৩ সদস্য। তাদের মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বার হচ্ছে। একজনের জ্ঞান ফিরলেও কথা বলার শক্তি নেই।’‌ ওই  পরিবারের মেয়ে বনানী মিত্র বলেন, ‘‌কারও সঙ্গে আমাদের শত্রুতা নেই।  ৩ জনেরই শরীরে বিভিন্ন জায়গায় মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট। দুষ্কৃতীরা  বাবা,মা এবং বোনের মুখে ক্লোরোফ্রম দিয়ে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুট করে পালিলেয়ে। কিন্তু খুনের চেষ্টা কেন করেছিল তা আমাদের কারো কাছে পরিস্কার নয়।’‌ এই ঘটনায় প্রতিবেশী সহ আত্মীয়রা রীতিমতো আতঙ্কিত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!