Advertisement
  • গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
  • নভেম্বর ১৯, ২০২৩

সেতু

সুনন্দ অধিকারী
সেতু

অলঙ্করণ: দেব সরকার

আজ বাড়ি থেকে অন্য দিনের চাইতে অনেক আগে বেরিয়েছে অনিমেষ। শুধু তাই নয়। স্টপেজে পৌঁছোতে না পৌঁছোতেই বাসও পেয়ে গেছে সঙ্গে সঙ্গে। সেটাও প্রায় একরকম যাত্রীশূন্য।

অবশ্য এ’সবই করেছে নিখুঁত পরিকল্পনা মাফিক। কেননা আজ তার লক্ষ্য ড্রাইভার কেবিনের লম্বা সিট শুধু নয়। একেবার তার সামনের আসন। যেখানে বসলে চালকের মতনই প্রায় পুরো পথটা তার নজরে থাকবে। মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়েছে তার।

এই পথেই অনিমেষের আসা যাওয়া। প্রতিদিন এই রুটের মিনিবাসেই অফিস যায় সে। তবে সাধারণ দিন হলে সে যেমন এত আগে বেরোত না। আবার তেমনি বাসে উঠে বাঁ দিকে না গিয়ে, সে ঘুরত ডানদিকে। আর সেখানে বসবার জায়গা পেলেই খুলে ফেলত তার এ’সময়ের নিত্যসঙ্গী খবরের কাগজ।

কিন্তু আজ অনিমেষের উদ্দেশ্য অন্য। ছোটবেলার মতন রাস্তা দেখতে দেখতে যাবে। পথচারী। যানবাহন। বাজার। দোকান। ডাক্তারখানা। গাছপালা। ফুটপাথ। ফুটপাথে পাতা সংসার। সব স..ব দেখবে সে। আর যতটা সম্ভব চোখ ভরে প্রাণ ভরে দেখে নেবে টালা সেতুকে।
হাতে মাত্র কটা দিন। তারপর সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে সেতুতে যান চলাচল। আসলে কালের ভারে বোঝা বয়ে বয়ে জীর্ণ হয়ে পড়েছে সে। এখনই সারাই না করলে হঠাৎ ভেঙে পড়তে পারে যে কোনোদিন। আর তা যদি ঘটে কোনো বা ব্যস্ত সময়? গা শিউরে ওঠে ভাবলেই! তাছাড়া কিছুদিন আগে কলকাতার দক্ষিণে এক সেতু ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপরই নড়েচড়ে বসেছ প্রশাসন। তৎপর হয়েছে।
কিন্তু টালা সেতুর মেরামতি জোড়াতালি বা তাপ্পি দিয়ে হবে না। পুরনো কাঠামো পুরোপুরি ভেঙে ফেলে আবার নতুন করে নির্মাণ করতে হবে। তার মানে হাতে গোণা আর কটা দিন। তারপরই মৃত্যু ঘটবে এই সেতুর। আসলে তো এ ঠিক সেতুর মৃত্যু নয়। অনেক অনে..ক স্মৃতি কবরস্থ হয়ে যাওয়া!

আসলে এ’সেতুর সঙ্গে জড়িয়ে বাঙালির আবেগ। বাঙালির ভালোবাসা। তার বোধ নন্দন সাহিত্য সংস্কৃতি। তাই এই সেতু কেবল প্রাণহীন কংক্রিটের কাঠামো নয়। ইস্পাতদম্ভ প্রদর্শন তো নয়ই। এই সেতু বাঙলা তথা ভারতীয় সিনেমার সঙ্গে বিশ্বসিনেমাকে জুড়ে দেবার অন্যতম এক মুখ্য চরিত্রও বটে।

বিভূতিভূষণের অসামান্য কাহিনি। সত্যজিতের জাদুস্পর্শে আন্তর্জাতিক ভাষায় অনূদিত হয়ে যেদিন ডানা মেলেছিল বিশ্বদরবারে। সেদিন সেই ডানার বাহারে সৌরভে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা পৃথিবী!

‘অপুর সংসার’। টালা ব্রিজকে পিছনে রেখে মহানন্দে এগিয়ে যাচ্ছে অপু। যেতে যেতেই স্ত্রী অপর্ণার চিঠি পড়ছে মশগুল হয়ে। কিন্তু তখনও সে জানে না কী চরম দুঃসংবাদ অপেক্ষা করে আছে! টালা সেতু তাই স্বপ্ন এবং স্বপ্নভঙ্গ! প্রেম আবার প্রেমের সমাধি। যুগপৎ দুয়েরই সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছিল এতদিন। ভাঙা পড়বে তো সেই সেতুটাই।

এইসব নানা স্মৃতি ভিড় করে আসে অনিমেষের মাথায়। বাস ততক্ষণে দমদম রোড পেরিয়ে চিড়িয়ামোড় থেকে বাঁক নিয়েছে বাঁ দিকে। উঠে পড়েছে বিটি রোডে। এর পরের মাইলস্টোন শ্যামবাজার মোড়ের নেতাজী স্ট্যাচু।

এত সকালে রাস্তা একদম ফাঁকা। লোকজন যানবাহন সবই প্রায় হাতে গোণা। তাই অন্যদিনের চাইতে অনেক দ্রুততায় কয়েকমিনিটের মধ্যেই বাসটা পেরিয়ে যায় চুনীবাবুর বাজার। আর তারপরই অনিমেষের সামনে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে বহু প্রতীক্ষিত টালা ব্রিজ।

 

অলঙ্করণ: দেব সরকার

•দু ই•

বাসটা যেন বড়বেশি জোরে চলছে আজ। এত তাড়াতাড়ি চললে মুহূর্তে পার হয়ে যাবে সেতু। ইশ্‌! ব্রিজটার ওপর একবারের জন্য হলেও যদি আজ একবার দাঁড়াত বাসটা।

অনিমেষের মনের কথাটা বোধহয় শুনে ফেলে দূরে দাঁড়ানো চোখে রোদচশমা পরা সেই মেয়েটা। অনিমেষ দ্যাখে নীল রঙের সালওয়ার-কুর্তা পরা এক মহিলা হাত দ্যাখাচ্ছে দূর থেকে। সে ঠিক ব্রিজের ওপর ওঠা-নামার সিঁড়িটার পাশে দাঁড়িয়ে।

হ্যাঁ। ঠিকই দেখেছে অনিমেষ। কমবেশি বছর পঁচিশের এক নারী। দোহারা চেহারা। গাত্রবর্ণও মাঝারি। উচ্চতা গড় বাঙালি মেয়ের চাইতে কিঞ্চিত বেশি। বাস থামতেই উঠে আসে মেয়েটা। তারপর ডানদিক বাঁ দিক দেখে অনিমেষের পাশে এসেই বসে। অনিমেষও কায়দা করে এক ঝলক দেখে নেয় তাকে। আর তখনই রোদচশমাহীন অনির্বচনীয় সেই দু’চোখের মায়ায় মনে মনে আটকে যায় সে!

এবার কি করবে সে? ইতিমধ্যে বাস প্রায় বাগবাজার পৌঁছে গেছে। সত্যি বলতে অনিমেষেরও রাস্তা দ্যাখা শেষ। পাঁচমাথার মোড়ে এসে সিগনালে দাঁড়িয়ে যায় বাস।

মনের ভেতরটা কীরকম ছটফট করে ওঠে অনিমেষের। নিজের ফেলে আসা অতীত দখল নিতে চায় স্মৃতি। না, একে প্রশ্রয় দেবে না। ডাক্তারবাবু বারবার সাবধান করে দিয়েছেন।

“..যতটা পারবেন চেষ্টা করবেন বর্তমানে থাকতে। এবং কাজের মধ্যে।”

কথাগুলো মনে আসতেই আর সময় নষ্ট করে না অনিমেষ। রোজকার মতো ব্যাগ থেকে বার করে ফেলে দৈনিক কাগজটা। তারপর মেলে ধরে দৃষ্টির সামনে। অবশ্য অন্যন্য দিনের মতো প্রথম পাতার পর আজ আর সোজাসুজি শেষ পাতায় যায় না সে। বদলে ক্রমানুযায়ী হেডিংগুলো দেখতে দেখতে পাতা উল্টে যায় একের পর এক। তবে চারের পাতায় পৌঁছে বাধ্য হয় থামতে।

আজ উত্তর সম্পাদকীয় লিখেছে অনিমেষেরই পরিচিত একজন। বিষয় ‘ধর্ষণ’। অনিমেষের বন্ধু সে। একাধারে কবি সাহিত্যিক আবার সরকারি উচ্চপদে আসীন। নাম সুজাতা সান্যাল। লেখাটা খুব মন দিয়ে পড়তে শুরু করে অনিমেষ। বলতে গেলে একটু বেশি সময় নিয়েই পড়তে থাকে লেখাটা।

একসময় পড়া শেষ হয় তার। অন্য পাতায় যাবার আগে উইন্ড স্ক্রিনে চোখ রাখে সে। আর ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত ভাবে কথা বলে ওঠে পাশে বসা মহিলাযাত্রীটি।

“কিছু যদি মনে না করেন। কাগজটা একটু দেবেন। আমি সুজাতা সান্যালের লেখাটা পড়তে চাই।”
অচেনা অজানা এক নারী তার কাছে খবরের কাগজ চেয়ে নিয়ে পড়তে চাইছে। ঠিক শুনছে তো সে? একটু যেন থমকে যায় অনিমেষ। আবার সেই ফাঁকে আবার কথা বলে ওঠে সেই মেয়েটি।

“অবশ্য আপনার যদি দিতে আপত্তি থাকে তাহলে…”

এবার বাস্তবে ফেরে অনিমেষ।
“না না, আপত্তি থাকবে কেন! এতে আপত্তির কি আছে। কী যে বলেন।”
কথাগুলো বলতে বলতেই ভদ্রমহিলার দিকে কাগজটা বাড়িয়ে দ্যায় অনিমেষ। অবশ্য মনে ভাবে নিশ্চয়ই গূঢ় কোনো কারণ আছে এর পিছনে। তখনই আবার বাইরে তাকাতেই খেয়াল করে হঠাৎ করেই অসময়ে মেঘ জমে উঠছে আকাশে। বাস ততক্ষণে গ্রে স্ট্রিট পেরিয়ে বিডন স্ট্রিটের কাছাকাছি। বৃষ্টি শুরুর আগে অফিসে ঢুকে পড়তে পারলে হয়।
অবশ্য সবচাইতে আগে এখন দরকার একটা টেক্সট করা। লেখাটা তার কেমন লাগল সেটা নিবন্ধকারকে জানানো। হতেও তো পারে পাঠক হিসেবে অনিমেষেরটাই লেখকের কাছে প্রথম পাঠ প্রতিক্রিয়া আজ। সেটা সুজাতা সান্যালের কাছে কতটা মূল্যবান কে জানে। তবে অনিমেষের কাছে তার মূল্য অপরিসীম।
এতসব ভাবনা। সঙ্গে টেক্সট পাঠানো। ততক্ষণে লেখাটা শেষ করে ফেলেন ভদ্রমহিলা। তিনি এবার কাগজটা ভাঁজ করে বাড়িয়ে দ্যান অনিমেষের দিকে।
“এই নিন আপনার কাগজ। অনেক ধন্যবাদ।”
এমনিতে রাস্তাঘাটে অচেনা অজানা কোনো মহিলার সঙ্গে কোনো পুরুষের যেচে আলাপ করা কঠিন। তার ওপর সেই মহিলা যদি হন যুবতী এবং সুন্দরী…। কিন্তু এখানে খবরের কাগজটাই লাইসেন্স। তার ওপর আবার ভদ্রমহিলা নিজেই চেয়ে নিয়েছিলেন পড়তে। অতএব আর ইতস্তত নয়। কাগজটা নিতে নিতেই কথা শুরু করে অনিমেষ।
— না না। এতে আবার ধন্যবাদের কি আছে। তবে একটা কৌতূহল হচ্ছে আমার। একটা প্রশ্ন করতে পারি?
— নিশ্চয়ই। নিঃসংকোচে পারেন।
—আপনি এক্ষুনি যে লেখাটা পড়লেন। তার মূল কারণ কী ? লেখাটার বিষয়? নাকি লেখক
স্বয়ং। সরি, লেখক নয় লেখিকা।
— যদি বলি একইসঙ্গে দুটোই।
—মানে !
—ভেরি সিম্পল। প্রথমত বিষয়টা। যা কিনা আজকের সমাজে একটা প্রায় মহামারীর চেহারা নিচ্ছে ধীরে ধীরে। সুতরাং তাই নিয়ে যত বেশি আলাপ আলোচনা হয় সমাজের সর্বস্তরে ততই মঙ্গল। আর দ্বিতীয় কারণ অবশ্যই লেখিকা স্বয়ং।
— কেন? তিনি কি আপনার পূর্ব পরিচিত ?
— শুধু পরিচিত কী বলছেন। বিশেষ পরিচিত।
— ব্যাপারটা ঠিক বোধগম্য হল না আমার। যদি একটু বিশদে বলেন। অবশ্য আপনার আপত্তি থাকলে…।
আপত্তির প্রসঙ্গটা তুলে স্কোরটা ওয়ান-ওয়ান করে নেয় অনিমেষ।
— না না আপত্তি থাকবে কেন। আসলে আমি যে এনজিওর সঙ্গে যুক্ত। সেই সংস্থা ওনার সাহায্য ছাড়া আজ এই জায়গায় পৌঁছোতেই পারত না কোনোদিন। শুধু তাই নয়। আজ নেদারল্যান্ড থেকে তিনজন আসবেন আমাদের মূল কেন্দ্র বাগনানে। দেখেশুনে যদি তারা স্যাটিসফায়েড হয়ে যান। তাহলে ভবিষ্যতে টাকাপয়সার ব্যাপারে আর চিন্তা করতে হবে না আমাদের। আর এই যোগাযোগটাও ম্যাডাম আই মীন সুজাতা সান্যালেরই করে দেওয়া।
— বাহ্‌। এতো দারুন ব্যাপার। দেখবেন ঠিক স্যাটিসফায়েড হয়ে যাবেন সাহেবরা। অবশ্য মেমসাহেবও থাকতে পারে সেই দলে।
কথাটা বলে নিজেই হেসে ফেলে অনিমেষ। সে হাসিতে যোগ দ্যায় সহযাত্রিণীটিও। তারপর বলে, “নিবন্ধকার কিন্তু আমারও পরিচিত। এই দেখুন না, লেখাটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি তাকে।”
বুক পকেট থেকে মোবাইলটা বার করতে যায় অনিমেষ।
— না না কোনো প্রমাণ লাগবে না আমার। মুখের কথাই যথেষ্ট। তবে এ কিন্তু ভারী অদ্ভুত যোগাযোগ! এবার তাহলে আমাদের নিজেদের পরিচয়টা হওয়া দরকার। কি বলেন?
— নিশ্চয়ই। ঠিক বলেছেন একদম।
আজকে যে কার মুখ দেখে উঠেছিল অনিমেষ! আপনা থেকেই সব কেমন দুয়ে দুয়ে চার হয়ে যাচ্ছে।
মহিলাটিই প্রথম পরিচয় দ্যায় তার। ভাবনা দত্ত। ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি থেকে সোসিওলজিতে এমফিল করে বর্তমানে ‘জেনেসিস’ নামক একটা এনজিওতে চাকরি করছে।
এবার পরিচয় দেবার পালা অনিমেষের। সেও সামান্য বিশদে তা জানিয়ে দ্যায় ভাবনাকে।
শুভনাম অনিমেষ রায়। সেভেন ট্যাঙ্কস অঞ্চলে তিনতলা পৈতৃক ভিটে। আপাতত চাটার্ড ইন্টার কমপ্লিট করে একটা এফএমসিজি কোম্পানিতে জুনিয়র অ্যাকাউন্টস অফিসার। তবে হাল না ছেড়ে ফাইনালের জন্য লড়ে যাচ্ছে।
আর এ’সব বলতে বলতেই অনিমেষ খেয়াল করে বাস ঢুকে পড়েছে কলাকার স্ট্রিটে। আর সামান্য সময়। তারপরই বাস এমজি রোডে পড়বে। ব্যাস। ইতি টানতে হবে আলাপে। ওদিকে আকাশ আরও কালো।
কিন্তু আজ দিনটা সত্যিই অন্যরকম। অন্তত অনিমেষের কাছে তো বটেই। আবার তারই প্রমাণ পায় সে। সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত একটা প্রপোজাল আসে ভাবনার দিক থেকে।
— একটা কথা বলি মিস্টার রায়।
— বলুন।
— একান্ত যদি অসুবিধে না থাকে। একদিন কামাই করুন না প্লিজ। আমার সঙ্গে বাগনান চলুন। কথা দিচ্ছি সব মিলিয়ে ট্রিপটা মন্দ হবে না। গাড়ি থাকবে স্টেশনে। কোনোরকম অসুবিধে হবে না যাতায়াতে।
অনিমেষ সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছু বলে উঠতে পারে না চট করে। সে আমতা আমতা করে, “না মানে অফিসে..”
আর এই দোনামনার ফাঁকেই বাস তার স্টপেজ ছাড়িয়ে উঠে পড়ে হাওড়া ব্রিজে। ইতিমধ্যে রাস্তার গাড়িগুলো সব হেডলাইট জ্বালিয়ে দিয়েছে। তাদের বাসের ভেতরেও লাইট জ্বালিয়ে দ্যায় ড্রাইভার।
অনিমেষ ভাবে কী অদ্ভুত সমাপতন। ভেঙে দেওয়ার আগে টালা ব্রিজকে শেষবার একবার দেখবে বলে তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। আর সেই টালা সেতু থেকেই বাসে উঠল ভাবনা। তার মানে ইট বালি সিমেন্ট ইস্পাত…। কেবল এসব দিয়েই বানানো হয় না সেতু। কখনও সখনও তা গড়ে দ্যায় অক্ষরও।
— কি হল নামবেন না ? টারমিনার্স এসে গেল তো।
ভাবনার ডাকে সংবিৎ ফেরে অনিমেষের। সে তাড়াতাড়ি এগিয়ে যায় দরজার দিকে। আর ঠিক তখনই শব্দের আগের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে চারপাশ !

♦–♦♦–♦♦–♦♦–♦♦–♦


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!