Advertisement
  • গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
  • জুন ১৫, ২০২৫

প্রিভিলেজড

দেবাশিস চক্রবর্তী
প্রিভিলেজড

অলঙ্করণ : দেব সরকার

 
কুয়াশাটা এত নিবিড় যে দূরের মানুষ দেখা যায় না। এত ভোরে সচরাচর কেউ ওঠে না। তবে মুকুন্দ উঠে পড়ে। ভোরবেলা রাস্তায় তীব্রগতিতে চারচাকার গাড়ি, লরি, ভ্যান সব যায়। এক কোণ দিয়ে হেঁটে যায় মুকুন্দ। একটি মেয়ে টি-শার্ট আর জিনসের প্যান্ট পড়ে কুকুর নিয়ে বেরোয়। মেয়েটাও কুকুর ঘনিষ্ঠ হয়ে হাঁটে। মুকুন্দ যে দিকে যায় তার বিপরীত দিক থেকে আসে মেয়েটি। কুকুর ভয় পায় মুকুন্দ। একটু দূরত্ব থেকে দেখে, মেয়েটি বিবাহিত। এক হাতে শাঁখা। মেয়েটিকে দেখে তার মনে হল, ও মুকুন্দের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কিছু বলছে। গালাগালি ? মুকুন্দ কুকুর ভালোবাসে না সেই জন্য ? মুকুন্দের সবেমাত্র রিটায়ার্মেন্ট হয়েছে। মফঃস্বলে এতদিন পেস্টিং ছিল। কলকাতার ফ্ল্যাটে শিফট হয়েছে। বাড়িতে কর্তা আর গিন্নি। ছেলে বাইরে। বিদেশে।
 
ভোরে উঠে প্রথমে হাল্কা ব্যায়াম। প্রথম কোর্স শেষ হবার পরে দ্বিতীয় কোর্স ব্যায়াম। দু ঘরে দুটো দেওয়াল ঘড়ি। এছাড়া ডাইনিংএ একটি। তিনটি ঘড়ি এক সময় দেখায় না। পাঁচ মিনিট ফার্স্ট কিংবা স্লো। উঠতে দেরি হলে প্রথম কোর্স ব্যায়াম করে মুকুন্দ পাজামা গেঞ্জি ছেড়ে বাথরুমে যায়। ব্রাশ করে। হাত, মুখ, পা কনুই ধোয়া। তারপর নতুন পাজামা, গেঞ্জিতে ঠাকুর পুজো। নিত্যকর্ম পদ্ধতি পড়ে বিভিন্ন মন্ত্রোচ্চারণ। গ্যাস জ্বালিয়ে এক গ্লাস গরম জল খেয়ে মুকুন্দ বাইরের দরজা বন্ধ ঘরে বেরিয়ে আসে। বিছানাতে তখন বউ পরী নাক ডাকছে।
 
ছেলে তমাল টেক্সাসে আছে। কেমিস্ট্রিতে নিয়ে পি.এইচ.ডি করছে। একটি মার্কিন মেয়ের সঙ্গে লিভইন করে। ফিসপ্তাহে পরী বলে– ছেলেকে বলো মেয়েটাকে বিয়ে করতে। মুকুন্দ প্রথম প্রথম কথাটা শুনে মজা পেত। ইদানীং বিরক্ত হয়। তমালকে একদিন ভিডিও কলিং-এ বলেও ছিল। উত্তরে স্পষ্টবাদী ছেলে বলল—‘এখন বিয়ে করার কথা সে ভাবতেই পারছে না। আর আজকাল কেউ ওসব করে না। সবাই প্রায় লিভ ইনই করে। তার বিয়ে নিয়ে ওত কনসার্ন হবার কিছু নেই।’ মোবাইল স্পিকারটা হাই করে রেখেছিল মুকুন্দ, পরীকে শোনানোর জন্য। পরী সব শুনে, সেদিন রাত্রে না খেয়ে শুয়ে পড়ল।
 
মাঝরাতে ঘুমটা ক্যাচরে গেল। বার বার ঠেলছে পরী— কথাটা শুনছ, ছেলেকে বলো ফিরে আসতে।
 
এত বিরক্ত করো তুমি, ঘুমুতে পর্যন্ত দাও না— বিরক্ত মুকুন্দ পাশ ফিরে শুলো। স্বপ্নটা ভোরে দেখল মুকুন্দ। তার ছেলে আঙুল তুলে বলছে— আমাকে বারবার বললে আর বাড়িই ফিরব না। ধ্বকধ্বক করে উঠল বুকের ভেতরটা। সেদিন ঘুম থেকে উঠতে দেরি হল।একটা আলস্য আলস্য ভাব। উঠতে ইচ্ছে করছিল না। পরীর ঘুম ভেঙেছে অনেক আগে। হাঁ করে মুকুন্দর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। মুকুন্দ কেমন বুড়োটে এখন। গালের চামড়া কুঁচকে গেছে। চোখে চশমা থাকলে ফোলাভাব বোঝা যায় না। কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে। চোখের নিচটা ফুলে গেছে। এত ফোলা !
 
এতদিন সেভাবে মুকুন্দকে ভালো ভাবে খেয়ালই করেনি পরী। পরীর ঠেলায় চোখ খুলে মুকুন্দ বিছানাতে বসে রইল কিছু সময়।

 
আজ তুমি হাঁটতে যাবে না ?— পরী জিজ্ঞেস করল।
 
একদিন না হাঁটলে কি হয় ?
 
তুমি যে বলে প্রতিদিন হাঁটতে হয়।
 
হাঁটাটাও একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে আজকাল।
 
গোপাল লক্ষীর পুজো কে করবে ?
 
কেউ না কেউ করবে।— পরীর উত্তর দিল।

 
দেরি করে ঘুম থেকে উঠে মন্দ লাগছে না মুকুন্দর। টেনশন নেই। ধীরে সুস্থে কাজ। তারপর স্নান। ঠাকুরপুজো। একেক সময় তার মনে হয়, বাড়ির যত ঠাকুরের মূর্তি আছে সব মন্দিরে দিয়ে দেবে। সেখানে নিষ্ঠাভরে পুজো হবে।একেকদিন সে সবিস্ময়ে আবিষ্কার করে তার শরীরে পৈতে নেই। জামা খুলতে গিয়ে, পৈতে জামার সঙ্গে বেরিয়ে গেছে। সেই অবস্থায় সে দিব্যি গায়ত্রী মন্ত্র জপেছে। এটাকে পুজো বলে ?
 
পরী মাঝে মাঝে বাপের বাড়ি যায়। ময়নাগুড়িতে পরীর বাপের বাড়ি। মা এখনও জীবিত। তার ভাই অমলের ছেলেরও বিয়ে হয়ে গেছে। পরীর ভাই এর বউ তপি ইস্কুলের শিক্ষিকা। অমলের ব্যবসা আছে। বাড়ি একেবারে জমজমাট। তবুও পরীর মা বাণী মাঝে মধ্যেই  ফোন করে বলে সংসারে তার আর কোনও গুরুত্ব নেই। বৌমা তাঁর কোনো কথা শোনে না। সংসারের কোনো ব্যাপারে নাক গলাতে গেলে রেগে যায়। তিনি এখন কোণঠাসা। এর মধ্যে বাণীর অভিযোগ। একদিন রেগে গিয়ে পরী বলল— তুমি কেন সংসারে এখনও মাথা গলাও। বয়েস হয়েছে। চুপচাপ থাকবে। খাবে আর ঘুমুবে। ঠাকুরের নাম নেবে।
 
পরী বাপের বাড়ি গেলেও এক সপ্তাহ। মুকুন্দর যেতে ভালো লাগে না। এখন তো সংসারে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়ে অমলের কাছে। সেও ইদানীং চেঞ্জ হয়ে গেছে।আগে মুকুন্দদা-মুকুন্দদা করত। এখন অমল ব্যবসার কাজে এত ব্যস্ত, ওর দেখাই পাওয়া যায় না। ফোনও করে না। সে বাড়ির ভোল পাল্টে গেছে। মাটির উঠোনে বড় একটা বাতাবি লেবুর গাছ ছিল। বিয়ের পর মুকুন্দ অনেক বাতাবি লেবু খেয়েছে। ফলবতী গাছ। সেই গাছটাকে বেমালুম কেটে ফেলল অমল। উঠোনটা এখন শান বাঁধানো।
 

অমলের বিজনেস আছে বড়ো। ময়নাগুড়ির নতুন পল্লিতে, ছ কাঁটা জমির উপর দোতলা বাড়ি। নিচতলটা ভাড়া। সেখান থেকেও ইনকাম। এছাড়া রিকু ঘরে বসেই একটি সংস্থার হয়ে কাজ করে। তাদের একটি মোটরসাইকেল, দুটো চারচাকা। তপির তড়বড়ানিতে অন্য কেউ কথা বলার সুযোগই পায় না

 
মুকুন্দ তুলনায় বিশ্বাসী নয়। তবে মাঝে মাঝে তুলনা এসে যায়। তার শ্যালক অমলের ছেলে রিকু ইংরেজিতে বি.এ পাশ। তারপর অনেক চাকরির পরীক্ষা দিয়েছে। কোনোটাতে রিটিনে পাশ করেছে, ভাইভাতে আটকে গেছে। পুলিশে কনস্টেবলের চাকরির পরীক্ষাও দিয়েছে। কিছুদিন সে জন্য জিমে গেছে। সকালে উঠেই রিকু দুটো করে ডিম খেত। দৌড়ে উত্তীর্ণ হল। হাইটও ঠিক আছে। প্যানেল হল। চাকরি হল না। টাকা দিতে হবে। তার পরিমাণও অনেকটা। অমল বলল ওরকম চাকরির দরকার নেই। রিকুর এক বান্ধবী ছিল। সে যা করে, তপিকে এসে বলে। রিকু একেবারে মাদারস চাইল্ড। কিন্তু তপির মেয়েটাকে পছন্দ ছিল না। প্রেমটা কেটে গেল। রিকুর দ্বিতীয় প্রেম চুচুড়ার একটি মেয়ের সঙ্গে। ফেসবুকে আলাপ। তপি খুব উৎসাহিত হল মেয়েটার ছবি দেখে। স্মার্ট চেহারা। ছেলেকে নিয়ে একদিন সোজা মেয়ের বাড়ি। তপির একটু বেশি কথা বলা অভ্যেস। বলল, তার ছেলের চাকরি না করলেও চলবে। বাকলসায় তাদের কয়েক বিঘে জমি। সেখান থেকে বছরের চাল, আলু আসে। অমলের বিজনেস আছে বড়ো। বর্ধমানের নতুন পল্লিতে, ছ কাঁটা জমির উপর দোতলা বাড়ি। নিচতলটা ভাড়া। সেখান থেকেও ইনকাম। এছাড়া রিকু ঘরে বসেই একটি সংস্থার হয়ে কাজ করে। তাদের একটি মোটরসাইকেল,দুটো চারচাকা। তপির তড়বড়ানিতে অন্য কেউ কথা বলার সুযোগই পায় না। এর মধ্যে দুটো প্রশ্ন এল মেয়েপক্ষের থেকে। প্রথমে মেয়ের বাবা বলল— ছেলে তো কোনো সলিড কাজ করছে না, এভাবে বিয়ে দেওয়া যায় ?
 
পরের প্রশ্নটা অবশ্য মেয়ের, রিকুর উদ্দেশ্যে— তুমি কেন মোটরসাইকেল চালাতে জানো না ? তুমি তো আমাকে এসব কথা আগে বলোনি। আমি কিন্তু মোটর সাইকেল চালানো ছেলেদের বেশি প্রেফার করি।
 
বিকেল ঘন হচ্ছিল। তপি যা বোঝার বুঝে গেছে, এ মেয়ে ছেলের বউ হবে না। একতরফা প্রেমের সেই ঘোর কাটতে কিছুটা সময় লেগেছিল রিকুর।একদিন মেয়েটিই সরাসরি জানিয়ে দিল, আর যেন সে ফোন না করে। এরপর অমলের বউ ছেলেকে স্বান্ত্বনা দিয়ে বলল, এসব নিয়ে মন খারাপ করার কিছু নেই। তোকে আমি ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে দেব। অমল এসব শুনে মুচকি হাসে। ছেলেটা তার মতো ডাকাবুকো হয়নি। তার ছেলে হয়ে একটি মেয়েকে পটাতে পারছে না। তার তো অনেক প্রেমিকা ছিল। শেষে তপিতে এসে ঠেকেছে। তপি সবটা জানে। মাঝে মাঝে এজন্য খোঁটাও শুনতে হয় এখনও। কিছুদিন তারপর চুপচাপ। তপির একটা বদ স্বভাব, মাঝে মধ্যেই রিকুর অবর্তমানে ওর মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করা। মোবাইল ঘাঁটতে গিয়ে একটি মেয়ের ছবি ভেসে উঠল। প্রিয়ার্তি। বাড়ি বর্ধমানেই। নিউট্রেশনে এম.এ.এসসি করছে। টিউশনি পড়ায়। মুখখানা ভারী মিষ্টি। রাত্রে বিছানায় অমলকে সব বলল তপি। অমল ঘুমুনোর আগে দু পেগ নেয়। তারপর একটা সিগারেট। ঘুমটা যখন জমে এসছে, সেই সময় তপি অমলকে ঠেলে বলল, একটা খবর আছে।
 
জড়ানো গলায় অমল বলল, কি খবর ?
 
ছেলের পাত্রী পেয়ে গেছি।
 
বিয়ে দিয়ে দাও।
 
তুমি ছবি দেখবে না ?
 
আমি কি ওর বডিগার্ড সব ব্যাপারে লক্ষ্য রাখব। কথাটা বলেই অমল নাক ডাকা শুরু করল।
 
প্রিয়ার্তি শেষ পর্যন্ত অমলের বউমা হল।বিয়ের পর হানিমুন করতে গেছে বাবা ও মাকে সঙ্গে নিয়েই। প্রিয়ার্তি শুধু বলেছে, এটা হানিমুন ? বাবা মা এর বাধ্য, এমনকী বউ-এর কথায় নীরব রিকু বলল, আরে ঠিক আছে। আমরা তো আলাদা ঘরে আছি।
 
মুকুন্দ এসব গল্প পরীর মুখ থেকেই শুনেছে। তমাল হয়তো কোনোদিন ফিরবে না টেক্সাস থেকে। এ বাড়িতে বেঁচে থাকার একা অভ্যাস করতে হবে তাকে। মুকুন্দর একজন বন্ধু আছে অভিজয়। সে মাঝে মাঝে আসে। তার আবার অন্য সমস্যা। তার বাড়ি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। ওর ছেলে ও বউ থাকে নিউটাউনে। অভিজয় যখন কথাগুলি বলছিল তখন ওর গলা ধরে আসছিল। কি করে ছেলে বউয়ের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে গেল, অভিজয়ের সেই শোকময় প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেনি মুকুন্দ। এই জীবনের যত ধরনের বই তার পড়া, সেখানে এর উত্তর পায়নি সে।
 
অমলকে সেদিন রিকুই সুসংবাদটা দিল—বাপি আমি হায়দরাবাদে একটা বড়ো আইটি কোম্পানিতে চান্স পেয়েছি, সামনের সপ্তাহে জয়েনিং। কথাটা  শুনে খুশি হয়েছিল অমল। পরের সপ্তাহে রিকু চলে গেল হায়দরাবাদ।
 
মাঝরাতে একদিন অমলের হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। দেখল পাশে তপি নেই। কৌতূহলী অমল ডাইনিং-এ সোফাসেটে তপিকে আবিষ্কার করল— কি হয়েছে তোমার ? অমলের প্রশ্নে মনমড়া তপি বলল, ছেলেটার জন্য মন খারাপ করছে। আজ প্রিয়ার্তিও বলছিল ওরও একা একা লাগছে। তপির উত্তর শুনে অমল সোফাসেটে বসে পড়ল।
 
পরের বছর পুজোতে রিকু এসেছিল বাড়িতে। পুজোর আগেই তার ঠাকুমা মারা গেছেন। আসতেই হত। লক্ষীপুজোর দুদিন আগে অমল ও তপিকে একসঙ্গে বসিয়ে রিকু বলল— ওখানে খাওয়া দাওয়ার খুব কষ্ট হচ্ছে। একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিচ্ছি। ভাবছি প্রিয়ার্তিকে নিয়ে যাব। তোমাদের আপত্তি নেই তো।অমল রিকুর প্রেজেন্টটেশন শুনে হতবাক। রিকুটা সত্যি সত্যি বাইরে গিয়ে অনেক স্মার্ট হয়ে গেছে !  ছোটোবেলাতে পড়া একটা ইংরেজি লাইন মনে পড়ল—‘রোলিং স্টোন গ্যাদার্স নো মস।’ অমল সম্মতি দিলেও তপি কিছু বলছে না। আগে এত বড়ো বাড়িতে মোট পাঁচজন। এখন কমে গিয়ে হবে শুধু তপি আর অমল। কিন্তু ছেলের প্রয়োজনে প্রিয়ার্তিকে তো পাঠাতেই হবে।
 
লক্ষীপুজোর আগের দিন চলে গেল রিকু ও প্রিয়ার্তি। আজ লক্ষীপুজো। প্রতিবার হয়। এবারো হল। তবে নমো নমো করে। অমল যথারীতি বাড়ি নেই। খাঁ খাঁ  বাড়িতে তপি শুয়ে আছে চোখ বন্ধ করে। কিন্তু শরীরের ক্লান্তি থাকলেও ঘুম আসছে না। তপির কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। এই পাড়াতেই কিছু দূরে তার বাড়ি। বিধবা মা একা থাকে। নিচতলায় ভাই আর ভাইয়ের বউ। মাঝে মাঝে চোখ মেললেই দৃষ্টি চলে যাচ্ছে জানলার বাইরে। সোনার থালার মতো কোজাগরি পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে। নরম আলোতে আকাশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। একবার এ পাশ। একবার ও পাশ। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে রিকু হায়দরাবাদের চাকরিটা না করলেই পারত। বেশ তো চলছিল। পরক্ষণেই মনে হচ্ছে রিকুরও তো একটা ভবিষ্যৎ আছে। এখানে পড়ে থাকলে কিছু কি হবে ওর ? তপির এই মুহূর্ত মুকুন্দদাকে ফোন করতে ইচ্ছে করছে। মুকুন্দদা কী ভাবে এসব পরিস্থিতি ট্যাকেল করে ! আগে মুকুন্দদার থেকে নিজেকে প্রিভিলেজড মনে হত। এখন তো ‘উই আর সেম বোট ব্রাদার’। তপির মনে হল জীবনের সব আশা, স্বপ্ন টুকরো হয়ে রাখা আছে মনের ডাকবাক্সে।
 

♦•♦–♦•♦♦•♦–♦•♦


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!