Advertisement
  • ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
  • জুলাই ২৮, ২০২৪

ভোর ভয়ি। পর্ব ১৫: রাঘবের ‘হিন্দোল’ সেদিন হতে পারেনি

মধুময় পাল
ভোর ভয়ি। পর্ব ১৫: রাঘবের ‘হিন্দোল’ সেদিন হতে পারেনি


বায়োস্কোপের বাকসো। রঙের নকশা চটে খসে এখানে-ওখানে বেরিয়ে পড়েছে মৃত‍্যু-প্রস্তাব। বাকসোর গোল জানালার ঢাকনা কবে যেন হারিয়ে গিয়েছে। সেখানে তাকিয়ে আছে একজোড়া চোখ। চোখের পর্দায় আসে শূন‍্য খেয়াঘাট, দূরে দূরে সবল ডানার চিল, অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র, চাহে কোই মুঝে জংলি কহে, আরও কত রক্ত চাই তব প্রীতি তরে, ধানের ক্ষেতে মশাল আগুন, লকআপের আর্তনাদে বাতাস কাঁপে, শিক্ষকদের চেয়ারে ভাঙনের শব্দ, রং ও রেখায় জাগে পুরাণপ্রতিমা, উন্নয়ন আর উৎসব শুষে খায় জলাভূমি, কুয়াশার ওপারে পলিথিনে মোড়া চাঁদ, জোড়া চোখ ঘটনার ঢেউয়ে ঢেউয়ে সাঁতরায়, দূরে কোথাও আগুনবরণ আকাশে বাজে ‘ভোর ভয়ি’।

 

পর্ব ১৫

রঘু বলল, পত্রিকার নাম হবে ‘হিন্দোল’৷
 
হিন্দোল শব্দের অর্থ আমি জানি না৷ যদিও বাংলায় অনার্স নিয়ে পড়ছি৷ জিজ্ঞেস করলাম৷ 
 
রঘু জবাব দিল, একটা রাগের নাম৷ সেখানে গল্প-কবিতা থাকবে৷ বিপ্লবের ইতিহাস আর বিপ্লবীদের জীবন নিয়ে লেখা থাকবে৷ পত্রিকা যেহেতু আপাতত অল্প কয়েক পৃষ্ঠার হচ্ছে, বড়ো লেখা রাখা যাবে না৷ আর থাকবে, গ্রাম থেকে পাঠানো কমরেডদের রিপোর্ট৷ আমাদের কয়েকজন বন্ধু গ্রামে গেছেন৷ কৃষকদের সঙ্গে তাঁরা কাজ করছেন৷ তাঁদের অভিজ্ঞতা, তাঁদের বিশ্লেষণ ছাপব৷ এইসব লেখা হবে আমাদের হাতে-কলমে কাজ শেখা৷ গ্রামজীবন চিনতে পারব৷ কৃষকদের জীবন ও আচরণ সম্পর্কে জানব৷ গ্রামের কিছুই চিনি না আমরা, জানি না৷ সমস্যাগুলো আগে জানা থাকলে সেভাবে নিজেদের তৈরি করে নিতে পারব৷ দুই কমরেডের লেখা প্রথম সংখ্যায় থাকবে, আশা করছি৷
 
রঘু, মানে রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পরবর্তী সময়ে অন্যধারার বিশিষ্ট সাংবাদিক, স্বতন্ত্র গদ্যকার, সম্পাদক এবং প্রকাশক৷ ষাট দশকের শেষের দিকে আলাপ, সাল সম্ভবত ১৯৬৮, আমার চেয়ে বছর তিনেকের বড়ো৷ সবাই ‘রঘু’ ডাকত, আমিও ডেকেছি৷ এই লেখায় এরপর বলব ‘রাঘব’৷ তখনই, বয়স হয়্তো কুড়ি কি একুশ, বোঝা গেছে ও আমাদের অনেকের চেয়ে অনেক এগিয়ে৷ পটারি এলাকায় শ্রমিক মহল্লায় কাজ করতে পাঠানো হয় আমাকে৷ কাজ মানে কোনো সূত্র ধরে এক শ্রমিকের কাছে পৌঁছনো, তার ঘনিষ্ঠ হওয়া, রাজনৈতিক কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়া এবং তার সূত্র ধরে আরও শ্রমিকের কাছে পৌঁছনো, ‘দেশব্রতী’ পত্রিকা পড়তে দেওয়া ইত্যাদি৷ মাঝে মাঝে পোলিটিকাল ক্লাস৷ এরকম এক ‘ক্লাস’-এ, পটারি কারখানার কাছাকাছি সম্ভবত শ্রমিক আবাসনের দোতলার একটি ঘরে, পাঁচ-সাতজন ছিল, তিনজনকে চিনি, ছাত্র, জানালায় হেলান দিয়ে বসেছিল রাঘব৷ নকশালবাড়ির রাজনীতি নিয়ে বলছিল৷ মনে আছে, তত্ত্বের পরিভাষার কঠিন টেক্সট নয়, গ্রামে যে লড়াই শুরু হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে শ্রমিক ও ছাত্রদের কী করবার আছে, সেকথা সহজভাবে তুলে ধরেছিল সে৷ বলতে বলতে উঠে দাঁড়িয়েছিল, তার হাত-পা আলোড়িত হচ্ছিল, নিজের উদ্দীপনা শ্রোতাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাইছিল৷ জানালার শিক ধরে দাঁড়ানো তার আবেগী গলায় লড়াইয়ের গনগনে মুহূর্ত তৈরি হচ্ছিল৷ পরিচয়ের সেই শুরু এবং সেই থেকে কাছাকাছি হয়ে-যাওয়া৷ ছবিটা আজও মনে করতে পারি৷
 
‘হিন্দোল’ নিয়ে কথা হয় ক্রিস্টোফার রোডের সিআইটি কোয়ার্টারে অমিতাভ মৈত্রর ঘরে৷ অমিতাভর ডাকনাম রঞ্জু৷ শান্তশিষ্ট, কথা বলে কম, মুখে হাসির রেখা সবসময়, ভালো ফুটবল খেলে৷ পত্রিকা নিয়ে রাঘবের ভাবনার অভিনবত্ব রঞ্জুকেও ছুঁয়েছিল৷ আমাদের বলা হয় লিখতে ও লেখা সংগ্রহ করতে৷ লেখার মানুষ যে আমি নই সেটা বুঝে গেছি সেই বয়সেই৷ পরিচিত-বৃত্তে একজনও নেই যে লেখে৷ তবু খোঁজখবর চলে কাছে দূরে৷ বিশ্বাস করি, এটা বিপ্লবেরই কাজ৷ ‘দেশব্রতী’ পত্রিকা পৌঁছে দেবার সূত্রে কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল৷ তাঁরা নকশালবাড়ি রাজনীতির সমর্থক৷ অনুরোধ করি তাঁদের লিখতে৷ সাড়া মেলেনি৷ কলেজের সহপাঠীদের বলেছিলাম৷ তেমন আগ্রহ দেখায়নি কেউ৷ কমলেন্দুকে বলেছি, গোবিন্দকে বলেছি৷ কমলেন্দু খুব পড়ে, লেখে না৷ গোবিন্দ কবিতা লেখে, ‘সে কবিতা তোমাদের কাগজে ছাপার মতো নয়’ বলে এড়িয়ে গেছে৷
 

মাও সে-তুংয়ের উত্তরসূরি জনযুদ্ধের নেতা লিন পিয়াও তখন আমাদের স্লোগানে এসে গেছেন৷ তাঁকে মদ্যপ অবস্থায় দেখানো বুর্জোয়াদের বদমাইশি৷ কর্মসূচি নেওয়া হল, পার্ক শো সিনেমা হলে বিক্ষোভ দেখানো হবে৷ বন্ধ করে দেওয়া হবে ছবিটির প্রদর্শনী৷ নেতৃত্বে রাঘব৷ আমাকে রাখা হল সঙ্গে৷ একটা দোকান থেকে টুল আনা হল৷ তাতে দাঁড়িয়ে রাঘব ভাষণ দিল৷ তারপর দুটো বোমা চার্জ করা হল হলের ভেতরে, একটা বাইরে

 
ইতিমধ্যে কয়েক মাস পার৷ আমার সাফল্য শূন্য৷ রঞ্জুদের কোয়ার্টারেই একদিন রাঘব ডাকল৷ গেলাম৷ ভাবলাম পত্রিকা নিয়ে কথা হবে৷ হয়তো কিছু লেখা পাওয়া গেছে৷ ওদের যোগাযোগ অনেক৷ হয়তো এসে গেছে গ্রামের চিঠিও৷ সেই চিঠি কি আজ পড়া হতে পারে? হয়তো পাওয়া গেছে অন্যরকম লেখা৷ রাজনীতিরই লেখা, তবে তা লোহাঘষা কাগজের মতো খরখরে নয়৷ রাঘব যখন আছে, ভালো-লাগার মতো কিছু হবেই৷ পোস্টার-লেখা, দেয়াল-লেখা আর ‘দেশব্রতী’ পত্রিকা ও প্রকাশনীর বই বিলির বাইরে আমার বলতে গেলে তেমন কাজ ছিল না৷ একঘেয়ে লাগছিল৷—কলেজে ক্লাস করতে যাই৷ নিয়মরক্ষার যাওয়া৷ সময় কাটানো৷ শিক্ষকরা পড়ান৷ বসে শুনি৷ ব্যস্৷ নিজের পড়া থেকেও ছিটকে গেছি কবে৷ আজ মাঝে মাঝে ভাবি, অবনীন্দ্রনাথের লেখা পড়ার প্রতিদিনের মুগ্ধতা থেকে কীভাবে সরে গিয়েছিলাম? কোন টানে? পাতায় পাতায় ছবি ফুটে ওঠা, কথায় কথায় লাবণ্যচ্ছটা— সব অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছিল কেন? জবাব পাই না৷ যা পাই, নিজেরই ভীষণ বোকা বোকা লাগে৷ ‘হিন্দোল’ ঘিরে একটা স্বপ্ন গড়ে উঠছিল৷ হতে পারে লেখার ব্যাপারে আমার কোনো ভূমিকা থাকছে না, এর বাইরেও তো অনেক কাজ থাকে৷ সে-সবও বিপ্লবেরই কাজ৷ গিয়ে শুনি, ‘হিন্দোল’ হচ্ছে না৷ করা যাবে না৷ কারণ, গ্রাম থেকে লেখা বিপ্লবী কমরেডদের চিঠি ছাপা একটা ভুল পরিকল্পনা৷ তাতে পুলিশ খবর পেয়ে যাবে৷ কমরেডরা গ্রামে যাঁদের আশ্রয়ে থেকে আত্মগোপন করে কাজ করছেন, তাঁরা পুলিশ ও জোতদারদের লেঠেলবাহিনীর হামলা মু্খে পড়বেন৷ গ্রাম ছেড়ে পালাতে হবে৷ এ-ধরনের আত্মঘাতী ভাবনা কে সমর্থন করবে ? রঞ্জু বলেছিল, কমরেডদের পরিচয় গোপন রেখে, গ্রামের নাম গোপন রেখে কি ছাপা যায় না ? রাঘব প্রশ্নের জবাব দেয়নি৷ শুধু বলেছিল, ছাপতে বারণ করা হয়েছে৷ কে বারণ করেছে, জানতে চাইনি৷ গল্প-কবিতা-প্রবন্ধের কাগজ করা যেতেই পারে, তাতে রাঘব তেমন আগ্রহী নয়৷ ‘পরে ভাবা যাবে’ শুনে রঞ্জুদের কোয়ার্টার থেকে বেরিয়ে আসি৷ 
 
রঞ্জুর সঙ্গে আর দেখা হয়নি৷ শুনেছি, ও গ্রামে গেছে৷ শুনেছি, ও ধরা পড়েছে৷ আবার এমনও শুনেছি, কুরিয়র-এর দায়িত্বে আছে৷ তখন সব খবর এলোমেলো, যোগাযোগগুলো ছেঁড়া-ছেঁড়া৷ রাঘবের সঙ্গে দেখা হয় কম৷ গণ-সংগঠন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়, গ্রামে যাওয়া ও অ্যাকশন করাই সমধিক জরুরি৷ আমাদের ইউনিটের নেতা মানিকদা সব কথাই লঘু চালে উড়িয়ে দেন৷ হয়তো আমার সামনে বলা যায় না৷ মানিকদা চাকরি করতেন বড়োবাজারে বাগড়ি মার্কেটে ওষুধের দোকানে৷ ভোরে খাটাল থেকে দুধ এনে সাইকেলে চেপে বাড়ি বাড়ি সাপ্লাই৷ বেশি রাত ছাড়া তাঁকে পাওয়া কঠিন৷ খতমের লাইন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ কোনো সমর্থক একান্তে জিজ্ঞাসা করছেন, শ্রেণিশত্রুর রক্তে হাত রাঙাতে পারবে তুমি ? পারবে খুনের স্মৃতি মুছে ফেলতে? কত খুন করবে? পাগলামি ছাড়ো৷ হয়তো সেই সমর্থকের সঙ্গে তর্ক করেছি সেদিন কোনো বাধ্যতায়৷ পরে যখন শুনেছি, বাঘা যতীন এলাকায় ঝড়জলের রাতে এক কমরেডকে ধরে নিয়ে তার মাথায় গজাল ঠুকে ঠুকে হত্যা করেছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, আমি কি কেঁপে উঠিনি ? এখানে সে-কথা থাক৷
 

মাও সে-তুং এবং লিন পিয়াও

একটা হিন্দি সিনেমায় দেখানো হয়েছিল লিন পিয়াও পাব-এ মদ্যপান করছেন৷ ছবিটা আমি দেখিনি, শুনেছি, এতদিনে নামও ভুলে গিয়েছি৷ মাও সে-তুংয়ের উত্তরসূরি জনযুদ্ধের নেতা লিন পিয়াও তখন আমাদের স্লোগানে এসে গেছেন৷ তাঁকে মদ্যপ অবস্থায় দেখানো বুর্জোয়াদের বদমাইশি৷ কর্মসূচি নেওয়া হল, পার্ক শো সিনেমা হলে বিক্ষোভ দেখানো হবে৷ বন্ধ করে দেওয়া হবে ছবিটির প্রদর্শনী৷ নেতৃত্বে রাঘব৷ আমাকে রাখা হল সঙ্গে৷ কারণ, ওখানকার এক গুন্ডাকে আচ্ছা করে পিটিয়েছিলাম একদিন৷ আমাকে দেখলে সেই গুন্ডা কাছে ঘেঁষবে না৷ একটা দোকান থেকে টুল আনা হল৷ তাতে দাঁড়িয়ে রাঘব ভাষণ দিল৷ হলের দর্শকদের বেরিয়ে আসার সময় দেওয়া হল৷ তারপর দুটো বোমা চার্জ করা হল হলের ভেতরে, একটা বাইরে৷ প্ল্যান মাফিক কমরেডরা মুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে গেল৷ আমরা যখন বেনিয়াপুকুর থানার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, দেখি পুলিশের গাড়ি ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হচ্ছে৷
 
এরপর রাঘবের সঙ্গে দেখা হয়নি বহু বছর৷ 
 

রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে শংকর বসুর দুটি বইয়ের প্রচ্ছদ

কলেজ স্ট্রিট মার্কেটের বসন্ত কেবিনে শিল্পী গণেশ পাইন একদিন জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি শঙ্কর বসুর লেখা পড়েছ? আমি ‘না’ বলায় তিনি বলেন, এবারের ‘এক্ষণ’ দেখো৷ দুরন্ত গল্প লিখেছে৷ টেবিলে হাজির আরও কয়েকজন সায় দিলেন৷ গণেশ পাইন যখন বলছেন, দ্রুত পত্রিকাটি কিনে পড়তে হয়৷ কিনি, পড়ি, মোহিত হই এবং জেনে বিস্মিত ও স্তম্ভিত হই যে শঙ্কর বসু আসলে রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গল্পের নাম ‘তিন বুড়ি’৷ একেবারে শেষের দিকে আছে: ‘জোয়ার এখনো অনেক দূর৷ এখনো শুধু কাদা কাদার পৃথিবী৷’ গণেশ পাইনের টেবিলে ‘বন্ধু’ পরিচয়টা গোপন রেখেছিলাম সংকোচে৷ যদি ওঁরা বিশ্বাস না করেন৷
 

১৯৭৫। কলেজস্ট্রিট মার্কেট

এক সন্ধেয় হঠাৎ দেখা একটি খবরের কাগজের রিসেপশনে৷ ওই কাগজে রাঘব তখন ফ্রি-লান্স করছে৷ তার অন্তর্তদন্তমূলক প্রতিবেদন ধারাবাহিক বেরচ্ছে৷ আমি পড়ি৷ রাঘব আমাকে চিনতে পারেনি৷ আমি নিজের পরিচয় দিই৷ ভালো করে আমাকে দেখে বলে, তুই বেশ পালটে গেছিস৷ কয়েকটা কথা হয়৷ এরপর কয়েকবার দেখা হয়েছে৷ সামান্য কথা হয়েছে৷ চর্চাপদ-এ গিয়েছি বারদুই৷ একদিন পুরোনো কথা বলা শুরু করা মাত্র ও বলেছিল, সেই দিনগুলো ভীষণ ঝাপসা হয়ে গিয়েছে৷ চুপ করে যাই৷
 
ভাবুক শিল্পী গদ্যকার রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব হিন্দোল তৈরি করে নিতে পেরেছে৷ বাংলার গ্রামকে দেখা ও জানার নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে তার লেখা দীপ্ত৷ ‘খোল মানে পেট৷ সম্পন্ন গৃহস্থের বাড়িতে খাওয়া-পরার বিনিময়ে দাসখত লিখে দেওয়ার শামিল এই প্রথা৷ লালুর বয়স যখন সাত-আট বছর অর্থাৎ আজ থেকে ৩৭-৩৮ বছর আগে, গ্রামের বহু গরিব মানুষই সম্পন্ন গৃহস্থের বাড়িতে খোলবন্দি থেকেছে৷’ (বাংলার নুখ)
 

♦—♦♦—♦♦—♦♦—♦

ক্রমশ…
 
আগের পর্ব পড়ুন: পর্ব ১৪

ভোর ভয়ি। পর্ব ১৪: বস্তিঘরের ছেলে ‘সিআইএ-র দালাল’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!