- ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
- এপ্রিল ৭, ২০২৪
মাটি ব্রতের আখ্যান। পর্ব ২১
মালদায় নিউটাউন তৈরি হচ্ছে। ঝোপজঙ্গল বনবাদাড় কেটে সাফ। আস্তে আস্তে ওটাই হয়ে উঠবে কালকের শহর। বাতিল বুড়োবুড়ির মতো একান্তে পড়ে থাকবে পুরনোটা। সেখানে জমি বিক্রি হচ্ছে ‘পলোটে পলোটে...তারপর

অলংকরণ: দেব সরকার
।। কাদাকান্ড ।।
যুজ্জুপালার গিরিনরুম
এই চিতাজ্বলা দুপুরে চরগাঙপুরে সতীনবাবুর আসার কথা নয়। তবু এলেন।
পুরুষেরা দিন গুজরানির ঘানি টানতে গেছে। বাচ্চারা ইস্কুলে। অনেকটা হেঁটে যেতে হয় সেখানে। ওরা না-
ফেরাতক মায়েরা উদবেগে থাকে। ভরসার কথা কলোনির মানুষেরা আছে।
ঘরে মেয়েদের কাজ কম নয়। সংসারে উপার্জনের সহায় খুঁজতে হরেক আয়োজন— বিড়ির পাতা কাটা,
বিড়ি বাঁধা, সেলাই মেশিনে ছোটদের পোশাক, মেয়েদের ছোট ছোট বসন, তকলিতে গামছাবোনার মোটা সুতো পাক দেওয়া,ছোলা যবের ছাতু তৈরি, মুদি দোকানের জন্য মশলার গুঁড়ো, ময়রার জন্য আতপচাল মাষকলাই ডাল ভিজিয়ে বেটে দেওয়া, ডালের বড়ি…।
ভোলানাথ ছুতোর পেশা বদলেছে। পুতুল বানিয়ে আর মেলায় মেলায় ঘুরে বেড়ায় না। একটা আধা কারখানা
খুলেছে বাড়িতে। এখন সে এনামেলের হাঁড়ি,পাতিল,থালা বানাচ্ছে। পাত কিনে আনে, হাতুড়ি নেহাই সহযোগে পিটিয়ে পিটিয়ে বাসনের আকার দেয়। শহরের বউয়েরা মাটির হাঁড়িতে আর ভাত রাঁধতে চায় না। মাটির হাঁড়ির ভাতের স্বাদ গন্ধ, বোধহয়, দিনে দিনে মানুষ ভুলে যাবে।
সতীন্দ্রনাথ বাড়ির সামনে হাঁক পাড়লেন। কামারশালায় ভোলানাথের দুই ছেলেও দুই কর্মচারী। হাতুড়ি
ও ধাতুর ঠাঁই ঠাঁই সংঘর্ষে সতীনের হাঁকটি শোনা যায় না। অতএব সতীন্দ্রনাথকে গলা চড়াতেই হল, —
ভোলাবাবু, ও ভোলাবাবু !
ভোলানাথ বেরিয়ে অবাকই, — মাষ্টারবাবু, আপনি! ভিতরে আসেন। আগে জল খান, তবিয়ত ঠান্ডা
করেন — ভিতরপানে আওয়াজ ছুঁড়লেন — শুনতে পাচ্ছো ? মাষ্টারবাবু আলেন গো। একঘটি খাবুর জল পাঠাও
জলদি — মাঝে মাঝে পাবনাই ভাষা মুখে উঠে আসে।
অন্দর থেকে আওয়াজ ফেরে — শোনেন, ক্যাওরে পাঠান এদিকে।
সতীন কারখানা ঘরেই বসলেন। মাথায় টালি, চারদিক খোলা, তবু গুমোট যাচ্ছে না। ঘামছিলেন। একঘটী
গুড় তেঁতুল, জংলি গন্ধরাজ লেবুপাতার রস মেশানো সরবত গলায় ঢেলে আঃ বলতেই হল তাকে। বললেন — সময় কম, ভোলাবাবু, অনেক কাজ পড়ে আছে। আজ সন্ধেবেলা জরুরি সভা। হবে সাধনের উঠোনে। ওর তো দুটো উঠোন একসঙ্গে। জায়গাটা বড়ো। সকলকে খবর দেওয়ার দায়িত্বটা আপনাকে নিতে হবে। সাধন এলে ওকে বলবেন। আমিও দেখি ফেরার পথে ওর দোকানটা ঘুরে আসবো। যদি দোকান বন্ধ করে খেতে আসে, তখন। বলা তো যায় না। তাই আপনাকে বলে রাখলাম। সবাই-ই যেন আসে।
— কোন বিপদ হল নাকি, মাষ্টারবাবু?
— বিপদ বললে বিপদ, সুপদ বললে সুপদ। একই সঙ্গে দুটো। যাকগে, আমি চলি । আর একটা কথা —
সরবতটা যে কী ভালো ! এমনটা কখনো খাইনি। বউদির হাতের গুন। ওঁকে আমার হয়ে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।
—হনহন করে রওনা দিলেন। তাড়ায় ছাতাটাও আনেননি।
সময়ের আগেই সতীন্দ্রনাথ সসঙ্গ উপস্থিত।
রমার তদারকিতে সাধনকে দুটো কাজ করতে হয়েছে। হকার্সে যখন ইলেকট্রিক লাইন ছিল না,তখন রমা
সাধনকে একটা হ্যাচাক কিনে দিয়েছিল। সাধন দুপুরে বসে বসে সেটাকে সোডা জলে পরিস্কার করেছে, চার পাঁইট কেরাসিন তেল ঢেলেছে, নতুন ম্যানটল লাগিয়েছে। বাজারের পিছনে পালবাবুদের পুকুরধারে আছে দুটো দোকান, একটায় মুড়ি ভাজে ঝাঁঝরি হাঁড়িতে, লোকে বলে বাঙাল মুড়ি, অন্যটায় তৈরি হয় ফেনি বাতাসা। ম ম গন্ধ। সাধনকে বউয়ের হুকুমে আনতে হয়েছে মুড়ি, বাতাসা, নৈনিতাল আলু, নাকঝাঁঝাই ঘানিভাঙা সরসের তেল, লিপটন কোম্পানির প্যাকেট চা-পাতা, গুঁড়ো দুধ। খরচটা বেশ ভারিই হয়ে গেল, সাধনের মনটা কড়কড় করছিল। বিরক্তিটা চাপতে গিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে সে।
বয়স বাড়লেও রমার চোপার তেজ কমেনি। সাধনকে ধমকে ওঠে — থামবা, তুমি ! দুই চাইর আনার
পুশাকের বাইন্যা টাকা বিছড়ায়। তুমার মতো পুরুষমানুষের যে বোধভাষ্যি কেমুন, আমার চেইয়া কে ভালো জানে?
ওই কারবারটারে আমি যদি না কইরা দিতাম! কি করতা তুমি? হুঃ। খালি মাটি কুপাইতে পারো। আর চেলা চিরানি।
আর কি? না, ত্যাজ! লাঠি সড়কি ধইরা হুম্বাহুম্বি। — সাধন রণক্ষেত্রে এলিয়ে পড়েছে। ওদিকে রমা থামে না — আমার উঠানে অতিথের মেলা। আমার মান-সনমান নাই ? আমার গুপালের মনে লইব না যে তার বাপে ভুজ দিতাছে! —গোপাল হেমশশীর দেওয়া আদরের নাম। এখন রমার কালো গোল মুখ চিরে অতীত কুয়াশায় ঢাকা ক্যাম্পের সেই রহস্যশিশিরভেজা হাসিটি ফিরে এসে ঝিলিক দিল — তুমি ভাইবো না। আমি সামলাই নিমু।
সাধন হাঁ করে দেখছিল ওকে — আরেট্টু খাড়াবা ?
— ধ্যাততরি ! পুলায় শুনবো। বড়ো হইছে না!
হেমশশী সকলের আগে এসে বসেছেন, চেনা চিহ্নে— কপালে চন্দন টিপ, মাথায় কদম সাদাশন চুল।সমস্ত ত্যাগ করলেও একটি বিলাস তিনি করেন— চুলে নারকোল তেল মাখেন তিনি। কেউ প্রশ্ন করেনি। করলে বলতেন, —
আমি সন্নিসি নই গো। পথির মানুষ। রাস্তায় গানের রাহাজানি করতিছি। তিনি সগগে গেলি আমার ঠাকুর একদিন দেখা দিলেন। অন্য বেশ ধরিছেন তো। পেথমটায় চেনতি পারি নাই। তাঁর কথায় বোঝলাম। তিনি আমারে পথির সাধনায় নামায়ে দেলেন। গেয়ে উঠলেন হেমশশী —
পথ যে আমার অনন্ত সাজে সাজো
মণিমুক্তা ছড়ায়ে তুমি আমারে কি খোঁজ
দয়াল, তুমি এতই নিঠুর গো।
একটা একটা করে লোক জমছে, হাতে গোটানো মাদুর, খেজুর পাতার পাটি, কেন্দুপাতার ছালা। একটূ দুরে
বাঁশের আড়ায় ঝুলছে হ্যাচাকটা। সাদা আলোয় সারা প্রাঙ্গণ সকাল আটটা নটার মতো ঝকঝক করে। দূরে
বলেই, কিংবা আঙিনাটা চারখোলা বলেই হয়তো ম্যানটল পোড়া তাপটা বেতেজ।
হেমশশী এ কলোনিতে সকলের মা। বয়সীদের ঠাইরেন দিদি। ছোটদের ডাক বোষ্টমি ঠাকুরমা। সভায় তাকে
দেখে কেউ কেউ বিস্মিত হয়, কেউ বা কৌতুহলী। হেমশশী হেসে যেন ছড়িয়ে গেলেন — শোনো কথা! আমার ছাওয়ালের ঘরে আজ জেয়ন্ত ঠাকুরগের মহোচ্ছব। অতিথ অভ্যেগতরা আসতিছে। তাগেরে আপ্যেয়ন করতি হবে না? সাধনের খুড়েমশাই থাকলি তেনাই করতেন। বড়ো আনন্দ পাতেন গো।
ভিড়ে সাধন রমাকেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। গোপাল দৌড়ে এসে ঠাকুমার কোলে বসছে। আবার উঠেই
দৌড়। কিছুক্ষণ পরেই ফিরলো। এত আলো, এত ভিড়ে তার দুটি চোখই বড়োরাস্তার খাম্বাঝোলা বাতির মতো
জুলজুলে — ঠাকুমা, আজ এখানে কী হবে গো?
— ধন আমার! — হেমশশীর হাত নাতির মাথায় বিলি কাটে — ইখানে ঠাকুরের নামকেত্তন হবে।
দেখতিছো না, বিবাক ঠাকুরিরা আসি গেছে !
— কোন ঠাকুরের পুজো ?
— আমার গুপাল ঠাকুরির। তুমিই তো দেবতা, দাদুভাই।
— ধেত।— ঠাকুমাকে ধাক্কা দিয়ে গোপাল ঘরে ছুটলো।
হেমশশীর ভয় লাগে। ঘরের তিন চারজন সঙ্গিনী নিয়ে রমা দুপুর থেকেই মহাব্যস্ত। দুজামবাটি আলুকুচো ভেজেছে। কাচালঙ্কাও কুচোনো। ঘরে বড়োকড়াই নেই, কতবার যে পাত্র উনুনে ওঠাচ্ছে নামাচ্ছে। ভেজেছে শুকনো লঙ্কা আর হেঁচেছে একনাগাড়ে। গুছিয়ে রেখেছে বাতাসার ঠোঙা, গরম জলে গোলা গুঁড়ো দুধ। কোথা থেকে যে বড়ো আকারের কেটলি জোগাড় করেছে ওই জানে। এইসময় কাজের চাপে খেই হারিয়ে ছেলেটাকেই হয়তো ধুপ ধুপ করে কয়েকঘা বসিয়ে দিল।
— যাই কও, মা ঠাইরেন, তুমার বেটার বউয়ের ত্যাজ চমকাইপারা।
— ঠিকই বলিছো। ওই দেখিই তো বুঝিছেলেম, আমার সাধনেরি ও ঠিক রাখতি পারবেনে। এই বিদেশ
দেশিতে ওরে বাঁধতি জোর লাগে যে। বউমা আমার দশভূজা জগৎধাত্রি।
গুজগুজ ফিসফাস শুরু হয়ে যায় ।
সতীন্দ্রনাথের সঙ্গে একজন নতুন মানুষ এসেছে। সাধারন মাপেরই মনে হয়। কালচে, বয়স অল্পই, এবং
রোগাটে, চোখেমুখে কোনও চমক নেই। সতীন্দ্রনাথ বললেন — নিমন্ত্রণকর্তা কোথায় গেলেন?
তখনই রমা বেরিয়ে এসেছিল বাইরে, একগাল হাসলো। শরীরে ধকলদাগটা এখনো ঢাকা পড়েনি, বললো, —
আসতাছে। একটু বাজারে পাঠাইছি। চায়ের খোপরা আনছে। অনেকগুলান ফুটা। বদল কইরা আনুক।
— শুনছি, এলাহি আয়োজন করেছেন, রমা বউদি!
রমা লজ্জা পায়। সতীনবাবু কত শিক্ষিত ! মাস্টারমশাই ! অত বড়ো নেতা মানুষ ! নামডাক ! হাঁকডাক ! তিনি এমন সম্মান দিচ্ছে তাকে? বললো রমা, কই কী, মাস্টারমশয়, মিটিন শুরুর আগে দুগা খাইয়া লন। আমাগো কলুনিতে মিটিনে খবুর তো জানিয়ই। কাইজ্যা লাইগ্যা যাইব। রাইতই না কাবার হয়!
— হ, হ, ঠিক, ঠিক, — সমস্বরে এমন উল্লাস ওঠে যে মনে হয় কলকাতার মাঠে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানকে গোল দিয়েছে।
গত নির্বাচনে পার্টি প্রার্থী দিতে পারেনি। বে-আইনি দশা কাটিয়ে ভোটে লড়া সম্ভব ছিল না। এবার রানাঘাট লোকসভা ও দরিয়াদহ বিধানসভা আসনে লড়বে। জিততে হবে। লড়াই কঠিন। দেশকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শপথ নিতে হবে।
— আপনেরা কয়েকজন আসেন না, সাহাইয্য করতেন !
যুবক যুবতীদের অনেকেই উঠে যায়। সতীন্দ্রনাথের দলের ছেলেমেয়েরাও, এমনকি নতুন লোকটাও। খাওয়ার পরেও গুজগুজানি চলছেই।
সতীন বললেন, — অনিমেষ, মিটিংটা তুমিই কন্ডাক্ট করো।
— আমি ! -অনিমেষ থতোমতো খায়। কলেজের গন্ধ বেশিদিন পুরনো হয়নি।
— হ্যাঁ তুমিই। এখান থেকেই পার্টির মধ্যে ডিসেন্ট্রালাইজেশনের লেসনটা শুরু করা যায়।
অনিমেষ এখনও যেন সাহস পাচ্ছে না,গলাটা কেমন বেসামাল মনে হয়। কাঁপা গলায় বললো — কমরেডস…।
চমক লাগে শ্রোতাদের। বড়ো সভা জনসভায় নেতাবক্তারা এরকম ডেকে থাকেন। কিন্তু কলোনির
লোকেরা কি সেই পদবাচ্য! কেমন তাপ আছে শব্দটায়। স্মৃতি ভেসে এলো। একদিন কলকাতা অভিযানে
মনুমেন্টের নিচে ওই ডাক শুনেছিল ওরা। তারপর তেমন শুনতে পায়নি। দেখে অনিমেষের মুখটা তেলঢালা উজলানি।
হ্যাচাকের আলোয়, তাপে, নাকি তাদের মতো ওরও উত্তাপ লাগছে!
আজকের সভায় তিনটে এজেন্ডা।
এক. সতীনের নতুন লোকটা, নাম কুঞ্জ ঘোষ, তার একটা থাকার জায়গা ঠিক করা;
দুই. একটা নতুন প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা;
তিন. আসছে বছর দেশের সাধারণ নির্বাচন, আমাদের কর্তব্য।
অনেক পারস্পরিক তর্কবিতর্ক কথাকাটাকাটির পর সহমত হলো সকলে। এমন সভার অভিজ্ঞতা সতীনের আগে হয়নি।
ঠিক হয়েছে কুঞ্জকে আস্তানা দেবে ভোলানাথ। তার কারখানার অফিস ঘরটায় সে থাকবে। নামেই অফিসঘর। বেশ বড়ো, চৌকি পাতা আছে, টেবিল চেয়ারও। খাবেও ভোলার ঘরে। ঘরভাড়া ও খাওয়াখরচ দেবে কুঞ্জ। সে দলের হোলটাইমার।
স্কুলের জন্য বাঁশ, চাটাই, টালি, অর্থ, শ্রম সংগ্রহ করা হবে। প্রস্তাবিত বিদ্যালয়টি অবৈতনিক। সরকারি স্বীকৃতি আদায় করে আনবেন সতীনবাবুরা। পড়াবার লোকও দরকার। কুঞ্জবাবু আছেন। আর একজনকেও পাওয়া গেল— গীতানাথ কর্মকারের বড়ো ছেলে হীরালাল। দুবছর আগে প্রাইভেটে ম্যাট্রিক পাশ করেছে। লেখাপড়া জানা মেয়ে নেই এখানে। সতীনবাবুরা দুজন দিদিমনি পাঠাবার ব্যবস্থা করবেন।
গত নির্বাচনে পার্টি প্রার্থী দিতে পারেনি। বে-আইনি দশা কাটিয়ে ভোটে লড়া সম্ভব ছিল না। এবার রানাঘাট লোকসভা ও দরিয়াদহ বিধানসভা আসনে লড়বে। জিততে হবে। লড়াই কঠিন। দেশকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শপথ নিতে হবে।
— কমরেডস — অনিমেষের গলার আওয়াজ গমগম করে বাজলো।
রাত মুচড়িয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ হল।
সাধন বারান্দায়, টুল বসে আকাশপাতাল ভাবছিল। রমা আসে, —কী হইলো? নিঝঝুম হইয়া গেছে
রাজার পুরী! উনি ধোম দিতাছেন।
— না, গো। ভাবতিছি। আবার চাপ পড়লো মাথার উপুর। ইস্কুল! ইলিকশন!
— মেম্বার হও। পাট্টি মেম্বার! — রমার জিভ খরশান, — আউষ খলখলাইতাছিল ফেনা তুইল্যা।
—নিজিউ মুহিলা সমিতির মিমবর হয়ি বসি আছো। তার বিলা?
— কই, মইলা সুমিতি আর পাট্টি এক হইলো? বুজজি, দুকনটা এইবার লাটে ওঠবো। ঘরে যাইবা?
আমারে এট্টু জিরান দেও। এই পাট্টি কইরা সারাটা দুইফর আমারে এট্টুনি বিরাম দিলা ! চলো — সাধনকে টেনে তুলে ঠেলে ঠেলে ঘরে ঢুকিয়ে রমা আগল দিল।
♦—♦♦—♦♦—♦♦—♦
ক্রমশ…
আগের পর্ব পড়ুন: পর্ব ২০
❤ Support Us