Advertisement
  • ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
  • মে ১৯, ২০২৪

মাটি ব্রতের আখ্যান। পর্ব ২৭

আমরা দিল্লির পাল্লামেন্টে যাতিছি। আমাগের হয়ি নিতাইদা যাবেন। সতীনদা যাবেন কলকিতায়। আমরাই শাসন করবো আমাগের দেশ। রাজার শাসন না, পেজার শাসন...তারপর

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মাটি ব্রতের আখ্যান। পর্ব ২৭

অলঙ্করণ: দেব সরকার

।। কাদাকান্ড ।। 

ছায়া ঘনাইল দিনমানে

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা চর্চার ভুবনে আকস্মিক অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই মেঘ জমছিল, গুড়গুড়ানি শোনা যাচ্ছিল, তবে এত দ্রুত যে অশনিপতন ঘটবে কল্পনা ছিল না।

মেডিকেল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া, সরকার প্রতিষ্ঠিত সংস্থা, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রত্যক্ষ পোষণাধীন। সরকার অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাকে অনুমোদন করে ওই সংগঠনের অভিভাবকত্বে। মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, স্বাধীন চিকিৎসক— সকলকেই এর নির্দেশ এবং সুপারিশ মেনে চলতে হয়।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য এমন সংস্থা ছিল না। কয়েকজন চিকিৎসক, বেশ নামযশওয়ালা, সকলেই কলকাতানিবাসী, মিলে তৈরি করেছিলেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সমিতি। এরকম সমিতির সংখ্যাও একাধিক। হোমিও কলেজগুলি বেসরকারি, ব্যক্তি বা পরিবারের ব্যবসা। প্রতিটি কলেজের মিত্র-সমিতি আছে। বছরে একবার কনফারেন্স, সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো, খাওয়াদাওয়া। ব্যস। দেশজুড়ে অজস্র হোমিও ডাক্তারেরা পছন্দমাফিক সমিতিতে চাঁদা দেন, সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন।

দেশে হোমিও চিকিৎসার জাল অ্যালোপ্যাথি ব্যবস্থার চেয়ে বেশি ছড়ানো।দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গে আরও বেশি। লোকসংখ্যা বেড়েছে, অসুখবিসুখ বেড়েছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ক্ষেত্রায়তনও বেড়েছে। প্রধান কারণ এ চিকিৎসার ব্যয় কম।কাজেই সংকটের সহসা আবির্ভাবে এই বাংলার হোমিও ডাক্তারেরা ফাঁপড়ে পড়ে গেলেন।

অ্যালোপ্যাথিক-হোমিওপ্যাথিক সংঘাত পুরোনোই। অ্যালোপ্যাথিকেরা বলেন — আরশোলা ওড়ে, কিন্তু ওটা পাখি নয়।

বিপক্ষও মুখ চালাতে কম যান না — ওটা তো অপচিকিৎসা।

আসলে অ্যালোপ্যাথির একটা আগ্রাসনী চেহারা আছে। আয়ুর্বেদী কবিরাজদের উদ্দেশ্যে ওরা বলতেন — বায়ু বেরিয়ে যায়, পিত্ত বমিতে ছিটকে আসে, আর কফ থুঃ ফেললেই রোগ নিরাময়ের দাওয়াই।

যতদিন না কবিরাজি মুখ থুবড়ে পড়েছে, ততদিন বিদ্রুপ বর্ষণে ছেদ পড়েনি। এখন পরস্পরে শান্তি সহাবস্থান। মুসলমানী শাসন অন্ত হল, আরবি ইউনানি বা হেকিমি চিকিৎসারও এন্তেকাল হল। এবার হোমিওবধ হলেই চিকিৎসাকান্ড শেষ হবে।

এম সি আই ভারত সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। তার কয়েকটি—

এক. হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিষিদ্ধ করতে হবে, কারণ এ শিক্ষায় শিক্ষাদানে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিগুলি যেমন অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ইত্যাদি শেখানো হয় না।

দুই.  শিক্ষালয়গুলিতে শিক্ষান্তে ইন্টার্নি বা হাউজ সার্জেন্টশিপ করতে হয় না।

তিন.  কোনও আউটডোর ইনডোর ক্লিনিক নেই।

চার.   ওই চিকিৎসকেরা রক্তচাপ বা নাড়ির গতি মাপতে জানেন না।

পাঁচ.   ওই চিকিৎসকেরা জন্ম ও মৃত্যুর সার্টিফিকেট দিতে পারেন না, কোনও কর্মীর সিক সার্টিফিকেটও গ্রাহ্য নয়।

এমআইসি চিকিৎসা ব্যবস্থার দন্ডমুন্ডের কর্তা। কাজেই সরকারের টনক নড়লো। বসিয়ে দিল কমিটি। নামজাদা চিকিৎসকেরা পদ আলোকিত করলেন, চেয়ারম্যান হলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ডিরেক্টর। অনেক মিটিং, বাদানুবাদ, তর্কাতর্কি, চা,কফি, স্ন্যাক্সের পর তারা সুপারিশ পেশ করেছে।

মোট কথা, দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার যে হাল, তাতে হোমিওপ্রাকটিস বেআইনি করলে অবস্থা বেহাল হবে। এতবড়ো দেশে দূরদূরান্তের গ্রামে গঞ্জে অ্যালো:মেডিকেল পাশ ডাক্তারেরা পৌঁছোতে পারবেন না। পাশ করা ডাক্তারের সংখ্যা প্রয়োজনের মাপে অনেক কম। সরকারি হাসপাতাল গ্রামে গ্রামান্তরে ছড়িয়ে দিলেও চিকিৎসকেরা অপ্রতুল থেকে যাবে। মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা অধিকাংশই শহরবাসী। গ্রামে গিয়ে কাজ করা ওরা আদর্শ হিসাবে যদিও মেনে নেয়, ওখানে গিয়ে বাস্তবতার মুখোমুখি হলে পালিয়ে আসবে। পাড়াগাঁয়ে বিদ্যুত নেই, শল্য চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। এসবের সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতেই বহু বছর কেটে যাবে। কাজেই হাতুড়ে ডাক্তারদের মতোই হোমিওপ্যাথেরা সেখানে প্রধান ভরসা। এ বাস্তবতাকে মানতে হবে। কমিটি এমআইসির প্রস্তাবের সঙ্গে যদিও সহমত। ভারত সরকারের কাছে কমিটিও কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। সরকারও সেগুলি মেনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে।

সরকারের তরফে জানানো হয়েছে—

এক. হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রিগুলি, যেমন এইচ এম বি, এম বি (এইচ) বাতিল হলো।

দুই.   কলেজগুলি এই ডিগ্রি আর দিতে পারবে না। দিলে অনুমোদন রদ হবে।

তিন.  এই ডিগ্রিপ্রাপক চিকিৎসকেরা হাতুড়েদের মতো মেডিকেল প্র্যাকটিসনার হিসাবে রেজিস্ট্রিভুক্ত হবেন।

চার.   কলেজগুলিতে চারবছরের ডিপ্লোমা কোর্স খুলতে হবে, এবং এম আই সি-এর নির্দেশমতো বৈজ্ঞানিক পাঠক্রম চালু করতে হবে।

পাঁচ.  পঠনপাঠনে উপযুক্ত শিক্ষক নিযুক্ত করবেন। দরকারে মেডিকেল কলেজগুলি থেকে সাহায্য নেবেন।

ছয়.   ছাত্রছাত্রীরা পাঠ শেষে ডি এম এস উপাধি পাবেন। তখন এরা জন্ম মৃত্যু অসুস্থতার সার্টিফিকেট দিতে পারবেন।

সাত. অদূর ভবিষ্যতে পূর্ণসময় অর্থাৎ পাঁচবছরের পাঠক্রম চালু করা হবে। তখন বি এম এস ডিগ্রি পাবেন ছাত্রেরা।

পরিশেষে বলা হয়েছে বি এম এস-এরা সরকারি হাসপাতালগুলিতে যাতে চাকরি পান সরকার সেটি দেখবেন।

রোগীদের ভিড় সাড়ে আটটায় ফাঁকা হয়ে যায়। যার চেম্বার থাকে, তিনিও বাড়ি ফেরেন। মাতৃ হোমিও ঔষধালয় তার পরেও খোলা থাকে, ওষুধ বিক্রি হয়।

আজ ছোটোখাটো ভিড়। ভিড়ে রোগী নন, রোগীর বাড়ির কেউ না, ওরা সকলেই ডাক্তার, মালদা শহরের, লোগোয়া ভিতরের আধা গ্রামের। চেম্বারের ছোটো কামরায় সকলের বসার ব্যবস্থা সম্ভব নয়, তাই রোগীদের বসার জায়গাতেই ঠাসাঠাসি বসেছেন ওরা। বেঞ্চিতেই আসন। তিনটি চেয়ারের ব্যবস্থা আছে, তাতে তিনজন।

জরুরি সভা। জলদি আয়োজন।

এতদিন এ শহরে হোমিও ডাক্তারদের কোনও সংঘ সমিতি ছিল না। সরকারি ফতোয়ার ধাক্কায় তড়িঘড়ি গড়ে উঠেছে মালদহ হোমিও ডক্টর’স ফোরাম, কোর্টে রেজিস্টারি, প্যাডে লেটারহেড ছাপা, রবারস্ট্যাম্প, সবই তৈরি। সভাপতি ডাঃ বৈদ্যনাথ গাঙ্গুলি, সম্পাদক ডাঃ সনাতন মজুমদার, প্রবীণতার জন্য এই সম্মান তাদের প্রাপ্য। অল্পবয়সীরা চেয়েছিল ডাঃ এন আচার্যকে সম্পাদক করবে, এত দ্রুত এ শহরে তিনি পসারে প্রায় কিংবদন্তী হয়ে উঠছেন।

এই মর্যাদাপ্রাপ্তিতে নীলুর লোভ হয়েছিল, রবীন উৎসাহ জোগাচ্ছিল। কিন্তু ডাক্তারবাবুর অন্দরমহলে স্নেহলতার প্রবল আপত্তিতে ক্ষান্তি দিতে হয়েছিল। নানাকারণে নীলু বুকে একটু সমীহ করে, তার মতিগতি অনেকসময় অবোধ্য লাগে। উপায় নেই।

শুরু থেকেই সভা গরম। সকলের এক রা — সরকারের এই নির্দেশ তারা মানবে না, মিটিং-মিছিল-আন্দোলন করবে। সকলে কলকাতা যাবে, সেখানকার অন্যান্য অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মিলে ধর্নায় বসবে, অনশন শুরু করবে। সরকার বুঝুক, হোমিও ডাক্তারদেরও প্রতিবাদশক্তি আছে। সরকার কেবল তাদেরই অপমান করেনি, চিকিৎসা শাস্ত্রের অন্যতম পথপ্রদর্শক মহান বৈজ্ঞানিক ডাঃ হ্যানিম্যান ও মহোদপম ডাঃ কেনটকেও অসম্মানিত করেছে, বিজ্ঞানকে কলঙ্কিত করেছে। এটা অতীব দুঃখের যে এরাজ্যের যিনি কর্ণধার, তিনি প্রবাদপ্রতীম চিকিৎসক।

— শান্ত হোন, শান্ত হোন সবাই, প্লিজ — নীলু উত্তেজনা সামাল দিতে ব্যগ্র হয়, — আপনারা অনুমতি দিলে আমি একটা কথা বলতাম!

— হ্যাঁ, ডাঃ আচার্য, আপনার মোটা শোনা দরকার।

— নীলু ধীরে ধীরে দৃঢ়স্বরে বলতে শুরু করে — এমআইসি বা গভর্নমেন্ট যা বলছে, তা একেবারে অমূলক নয়। সত্যিই তো, মেডিকেল শিক্ষার জন্য যা যা দরকার, সেগুলো আমরা কেউই শিখিনি। আমাদের সে বিষয়গুলিতে অজ্ঞতা আছে। এমনকী আমাদের নিজেদের শাস্ত্রের শিক্ষনীয় বিষয়গুলিও ভালো করে রপ্ত করতে পেরেছি কিনা সন্দেহ। শুনেছি, অনেকে পরীক্ষা ছাড়াই পাশ করে গেছেন — নীলু একটু থামলো, শেষ কথাটি বলার সময় গলাটা কি একটু কেঁপেছে! দেখলো সব ঠিক আছে, কেউ তার দিকে আঙুল তোলার সাহস পাচ্ছে না, তখন আবার শুরু করে — ওরা তো আমাদের আরশোলা টিকটিকি বলবেই।

— তবে? আমরা কি ওদের তুঘলকি হুকুম মেনে নেব?

— উঁহুঁ। ওরা আমাদের আঘাত করেছে, আমরা ওদের রিটার্ন করবো। আমরা সকলেই তীব্র ক্ষোভে অ্যানাটমি ডিসেকশন, ভিসেরা টেস্টিং, ফিজিওলজি শিখবো, পাশ করবো, ভালো ফল করবো,ওদের চেয়েও ভালো। অ্যালোপ্যাথ ডাক্তারদের মুখের উপর ছুঁড়ে দেব সে রেজাল্ট।

— কিন্তু, আচার্য, আমাদের যে তোমাদের মতো বয়স নেই, — বলেই জিভ কাটলেন ডাঃ মজুমদার।

হাসলো নীলু, — না, না, স্যার। ঠিকাছে, আমি তো আপনাদের ছাত্রই। বলছি, আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মানুষের কাছে ডাক্তার হিসাবে যে বিশ্বাসের আসন তৈরি করেছেন, তাকে ভাঙা গভর্নমেন্টি ফতোয়ার কম্ম নয়। কিন্তু আমরা, যারা পরের সময়ের চিকিৎসক, আমাদের জেনারেশনের আস্থা হারাব। সংকটটা আমাদের।

সভায় স্থির হল, কলকাতায় যে মহা সম্মেলন হতে চলেছে, সেখানে মালদা থেকে তিনজন প্রতিনিধি যাবেন— ডাঃ আচার্য, ডাঃ রবীন মজুমদার, ও সদ্য এম বি (এইচ) পাশ ছোকরা ডাঃ তরুণ দেবনাথ। শেষ দুজন ইচ্ছা অনুযায়ী স্থান পেয়েছে।

দুমাস পরে কলকাতা থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত ‘হোমিওআলোক’ পত্রিকার সংখ্যায় একটি বড়োসড়ো প্রতিবেদন ছাপা হয়। বিষয়— রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হোমিও মহাসম্মেলন। তারই নির্বাচিত অংশ—

অনুষ্ঠানের পরিচালক মঞ্চে বক্তার নাম ঘোষণা করলেন— ডাঃ নীলাম্বর আচার্য…সঙ্গে সঙ্গে সমবেত শ্রোতৃমন্ডলী সচকিত হয়ে ওঠে। বিষ্ময়ের কারণ আমাদের পত্রিকা। ‘হোমিওআলোকে’ পরপর তিনটি সংখ্যায় ডাঃ আচার্য ‘আধুনিক জটিল রোগ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গবেষণা’ শিরোনামে যে অত্যন্ত মূল্যবান দীর্ঘ আলোচনাটি লেখেন, তা অতীব বিষ্ময়জনক সাড়া ফেলেছে। ডাঃ আচার্য যে সুবাগ্মী তারও প্রমাণ পেলেন কনফারেন্সে উপস্থিত চিকিৎসকেরা। ডাঃ আচার্য সরকারি প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেন না, বরং স্বাগত জানালেন। তরুণ হোমিও চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বললেন — আমরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আছি।— এরপর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব রেখেছেন তিনি, বলেছেন, হোমিও ডাক্তারেরা তাদের বিজ্ঞানের ফার্মাকোলজি ও মেটেরিয়া মেডিকায় যথেষ্ট পারদর্শী। কাজেই এখন.যারা প্র্যাকটিসরত তাদের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কলেজগুলি সংক্ষিপ্ত সময়ের ব্রিজ কোর্স চালু করুন। ঘাটতিটুকু চিকিৎসকেরা মেরামত করে নেবেন। পাঠ শেষে সফল ডাক্তার-শিক্ষার্থীদের ডি এম এস ডিপ্লোমা দিতে হবে। নতুন ছাত্র, যারা হোমিও শিক্ষায় আসবেন, পূর্ণ সময়ের প্রথাগত শিক্ষা সমাপ্ত করবেন। ডাঃ আচার্য দাবি করেন, অতি সত্বর সরকার হোমিও মেডিকেল শিক্ষায় ব্যাচেলর কোর্স চালু করুক। এভাবেই সনাতনী পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক পদ্ধতির মেলবন্ধন হবে। অন্যথায় নতুন ব্যবস্থাতেও কোনও লাভ হবে না। সমবেত প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, হোমিওচর্চায় ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন আছে। এ যুগে রোগের বৈশিষ্ট্যে নতুন নতুন জটিলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। সুতরাং কমিটির নির্দেশ মানতে হবে, সেগুলির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। নতুবা হোমিওপ্যাথির ভবিষ্যত নেই। ডাঃ আচার্যের মতো শিক্ষিত হোমিও চিকিৎসক আমাদের কলকাতা শহরে বিরলপ্রায়। যখন তিনি জানালেন, ব্রিজ কোর্স চালু হলে তিনি ও তাঁর সঙ্গে মালদহ থেকে আসা দুই চিকিৎসক যথাক্রমে ডাঃ আর মজুমদার ও ডাঃ টি দেবনাথ মেডিকেল কলেজে প্রথম তিন ছাত্র হিসাবে নাম লেখাবে, সমস্ত কক্ষ নির্বাক হয়ে শুনছিল। আমরা ‘হোমিওআলোকের’ পক্ষ থেকে জানাই যে আমরা ডাঃ আচার্যের সঙ্গে আছি। জয় হোক হোমিওপ্যাথের। জয় ডাঃ হ্যানিম্যানের। জয় ডাঃ কেনটের।

♦—♦♦—♦♦—♦♦—♦

ক্রমশ…

আগের পর্ব পড়ুন: পর্ব ২৬


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!