Advertisement
  • কে | রি | য়া | র-ক্যা | ম্পা | স ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
  • এপ্রিল ১৪, ২০২৪

ধারাবাহিক আত্মকথা : আমাদের বিদ্যানিকেতন

জাকির হোছেন্
ধারাবাহিক আত্মকথা : আমাদের বিদ্যানিকেতন

আমিত্বহীনতার বৃত্তান্ত

 
কী প্রশান্ত, মোহমুক্ত জীবন-চিত্র ! কী দূঢ়প্রতিজ্ঞ কন্ঠস্বর তাঁর— এনইএফ এর স্থপতি ডক্টর জাকির হোছেনের। প্রতিটি কিস্তিতে ছড়িয়ে আছে বিস্ময় আর ব্যবহারিক দর্শন, নৃতত্ব ও লৌকিক ঐতিহ্যের গভীরতর সংযোগ। বহু প্রাঙ্গনিক শিক্ষা নিকেতনের নির্মাণ আর বিস্তারকে ঘিরে, ব্যক্তির উপস্থিতির চেয়ে সমূহ আর সমষ্টির আবহমান, কালহীন অবস্থানকে মান্যতা দেওয়া দুরূহ কাজ। এরকম কঠিন কর্মের ধর্মপালনে তাঁর ন্যায়বোধ দেখে আমরা আপ্লুত। ইতিমধ্যে, একই সঙ্গে বাংলা, অসমিয়া আর ইংরেজিতে চলমান বইটি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন দেশ বিদেশের অসংখ্য পাঠক। এই গ্রহনযোগ্য অনুরোধের কারণ কী? ছকভাঙ্গা আত্মবৃত্তান্ত ! না বহুজনকে সীমান্তহীনতার বাইরে দাঁড়িয়ে দেখার নির্মল, সংশয়হীন দৃষ্টান্ত। এসব প্রশ্নের লা জবাব উত্তর জানতে হলে, ভেতরে, আরো ভেতরে ঢুকতে হবে, পড়তেই হবে জাকিরকে, মনের সব সংযোগ জড়ো করে। তাঁর নেতৃত্বে নির্মীয়মান আয়ুর্বেদিক কলেজ ও বহুমুখী হাসপাতাল নিয়ে এবার কী বললেন মধ্যবয়সী তরণ বিদ্যাব্রতী, এটাও জেনে রাখা প্রয়োজন।

 
বাহারউদ্দিন। ১৪.০৪.২০২৪

 

• পর্ব-২৮ •

ইতিমধ্যে বলার চেষ্টা করেছি যে, আমাদের প্রতিটি কর্মসূচি কিংবা শিক্ষানিকেতনের প্রকল্প সুচিন্তিত। ভাবনা চিন্তা প্রসূত। কখনো এরকম হয়নি, প্রবল অনাবর্ষায় আকাশ থেকে বূষ্টি ঝরে পড়ল আর খরাক্লীষ্ট ময়দান উৎপাদনমুখর হয়ে উঠল। নাবাল জমি ছিল, ফাঁকা শস্যহীন, এখনো অনেকটা সে রকম রয়ে গেছে, আমরা স্বাভাবিক নিয়মে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি, বীজ ছড়াচ্ছি। এক্ষেত্রে ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্যের ওজন বেশি। বলা দরকার, প্রতিষ্ঠান তৈরির বিষয়াশয়কে কখনো যান্ত্রিক করা হয়নি। আবার সরল অঙ্কের নিয়মে তা এগোয়নি। যে রাজ্য, যে অনুন্নত অঞ্চলে,যে দিশাহীন, দারিদ্রক্লীষ্ট সমাজে আমার জন্ম, সেখানকার শিক্ষাদীক্ষার, অর্থকষ্টের চেহারা কখনো দূরে দাঁড়িয়ে, কখনো নিকটস্থ হয়ে লক্ষ্য করেছি, নিঃশব্দে। এসব দেখতে দেখতে, বুঝতে পারি, সময় উপযোগী কী কী ব্যবস্থা, কোন কোন কৌশল স্বনির্ভর হতে পারে, নির্বিশেষের, বিশেষ করে নব প্রজন্মের আত্মবিশ্বাস আর আত্মপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের সহায়ক হয়ে উঠবে।
 
চাকরির পেছনে ছুটলে অবশ্যই পকেটের রসদ জুটত, নিশ্চিত নিরাপত্তা বোধে বন্দি হয়ে থাকতাম। মানুষকে গভীরভাবে দেখার, তাদের প্রয়োজনের খানাখন্দ যাচাই করার সুযোগ হত না। আমি বিনম্র আর ভাগ্যবান, গ্রামীণ সমাজে, সাধারণ পরিবারে আমার জন্ম। বাবার পেশা ছিল শিক্ষকতা আর কৃষি। কৃষিজীবন তাঁকে উৎপাদনের সঙ্গে জড়িয়ে নেয়। শিক্ষকতা তাঁর ভেতরে, বাইরের আচরণেও প্রতিবেশীর বোবা কান্নারোধের সাক্ষী আর সহযোগী হয়ে উঠবার শক্তি জোগায়। বাবাকে নিয়ে কিছু কথা লিখেছি। আরো বিশদভাবে তাঁর জীবন-যাপন আর চিন্তা যাপনের বৃত্তান্ত বলা দরকার। মাকে ঘিরেও স্মৃতির বহুব্যাপ্ত স্রোত বইছে। চির বহতা নদী, উপনদীর মতো। গ্রামের আশপাশের, অদূরের প্রতাপাদিত্য ব্রক্ষ্মপুত্র এখনো ছুটছে। গড়ছে চর, নিজের পলি বিলিয়ে যায় জমিতে, কৃষক এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় গিয়ে পাড়ি জমায়, চাষ-বাস গড়ে তোলে, তাদের নতুন বসতি অহেতুক সন্দেহের কবলে পড়ে, ভুল রাজ্যনীতি আর কতিপয় ভাগ্যবানের কৌশলপূর্ণ হিসেব-নিকেষ তাঁদের এবং চা বাগানের শ্রমিকদেরও ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রিত করতে থাকে। একজন ‘মহান’! রাজনৈতিক, সুবক্তা এবং কবি একবার তাঁর হৃদয়তাড়িত সুপ্ত ভাবাবেগ ব্যক্ত করে জানিয়ে দিলেন, আলিকুলি যতদিন, রাজনীতিতে আমরা ততদিন। জরুরি অবস্থায় ইন্দিরা পূজারী ওই নেতা বলেছিলেন, ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইন্দিরা। তার ওই প্রশস্তি, এরকম আরও অনেকের অন্ধতা, প্রশ্নহীনতা দেশের সর্বনাশ ডেকে আনে। সর্বনাশের বিষবৃক্ষ এখনো বায়ুদূষণের সক্রিয় সহযোগী।
 
আমার তথন শৈশব। স্কুলে পড়ি, গ্রামে। আমাদের চারপাশে খা খা রোদ, অসহ্য গরম, বন্যার দাপট। শীতেও অনমনীয় আবহ, হামলাবাজ ঠান্ডা। প্রকৃতি আর ভাগ্যবানদের ফন্দি সব ঋতুতে একসঙ্গে দুর্ব্যবহারে অভ্যস্ত। পরিস্থিতির ভেতরে, আড়ালের আরো আড়ালে জটিল অঙ্কের সমাধান চায়।পেরে ওঠে না, রাজা যায়, রাজা আসে, জটিলতা প্রায়ই শান্ত, নিরীহ অসমে উপদ্রব চালাত। উপদ্রবের সবচেয়ে সহজ শিকার গ্রামীন জনপদ। উসকানি, উৎপীড়ন তাদের সঙ্গী, সহযোগী অশিক্ষা আর বর্ণণাতীত দারিদ্র। মুক্তির নিকাশি নেই, সম্মেলিত ভাবনাও নেই । ভাগ্যের (তকদির) হাতে নিজের বর্তমান, ভবিষ্যত সঁপে দিয়ে বহুবর্গীয় মানুষ ভাগ্যবদলের ভাবনা ছানতে পারে না, এটাই আমৃত্যু তাঁদের বেঁচে থাকার অপরিহার্য, অলিখিত শর্ত। তাঁরাই আমাকে বদলে দেওয়ার নিভৃত প্রেরণা যুগিয়ে যান, হয়ে-ওঠার অদৃশ্য ইঙ্গিতে। একসময়, ছাড়তে হল তাঁদের সঙ্গ, ক্রমশ নগরের দিকে দৃষ্টি ছুটছে, রাজ্যের বাইরে, ফিরে এসেও। শিকন রইল গ্রামে, পূর্বপুরুষের ভিটে মাটিতে, দুর্দশাগ্রস্ত অযান্ত্রিক পারিপার্শ্বিকে। কিন্তু অস্তিত্ববোধের ডালপালা ছড়াতে লাগল নাগরিকতার ভিড়ে। সংকীর্ণতা তার, এক চত্বর থেকে আরেক চত্বরে। জড় গ্রামে ছিল বলেই সম্ভবত শুহুরেপনার বিশ্বাস ও অভ্যাসকে আমল দিইনি । বাইরের খোলস শহরের, কিন্তু আমরা সচেতন, স্বাভাবিক আমি এ খোলসের গহীনে, অন্য বিশ্বের বাসিন্দা, যেখানে মানুষ হা করে দাঁড়িয়ে থাকে, কান্না তাঁদের বোবারোগে আক্রান্ত। এর শেষ কোথায়, নিজেরা জানে না, অন্যরাও জানতে দেয় না, রাজনীতি সমাজনীতি সবাই প্রতিকূল। আশপাশের বড়ো নদী, উপনদী, বড়ো পাহাড়, খুদে পাহাড় সকলেই যখন তখন রূপ পাল্টায়, ছড়িয়ে দেয়, বাড়িয়ে তোলে মৃত্যুকামী, ধ্বংসমুখী কর্কশের ছায়া অপচ্ছায়াকে। এসব অসীমিত, অসমায়িত মানুষকে নিয়ে আমার ঘরগেরস্থি। আমার যে-কোনো উত্তরণ, ডানা মেলার প্রস্তুতি নেই, অধোগমন নেই। ভেবেচিন্তে শুরু করি। পরিবেশ খতিয়ে দেখি, ভেতর থেকে সাড়া পেলে, যে কোনো প্রতিরোধকে রুখে দিই গোড়াতেই। একটি প্রজেক্ট শেষ হলে, কিংবা সমাপ্তির সঙ্কেত পেলেই ভিন্নতর প্রকল্প মস্তিস্কে, চিন্তায় জাগিয়ে তোলে নবীন প্রবাহ। বরপেটা আর হাুউলির মধ্যস্থলে নির্মীয়মাণ আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ আর মাল্টি স্পেশাল হাসপাতালেও আমাদের স্বতঃস্ফূর্ততায় ব্যতিক্রম নেই। বরং খানিকটা হাসি ছড়িয়ে, বিনম্র ভঙ্গিতে বলতে পারি, অভিজ্ঞতায় আমরা আগের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ঋদ্ধ। জেদও বর্ধিষ্ণু। জেদের উৎস শরীরে চাষীর রক্ত এবং চিন্তায় আমার বাবার মতো বিদ্যাদাতার দায়বদ্ধতার উত্তরাধিকার। ব্রিটিশ কবি টিএস ইলিয়ট [১৮৮৮-১৯৫৫] বলেছিলেন, ব্যক্তি তাঁর নির্মাণে, তাঁর বিকাশে পূর্বগামী ঐতিহ্যকে অস্বীকার করতে পারে না। দুঃখ-সুখের ধারা সে মেনে চলে এবং নির্দিষ্ট, কাঙ্খিত কাগিগর হয়ে-ওঠে।[ দ্র:, ট্রাডিশন অ্যান্ড ইনডিভিজুয়াল ট্যালেন্ট] । বলাবার মতো এমন কারিগরি রপ্ত করতে পারিনি, হৃদয়ের অর্জন আমার যৎসামান্য, অনিঃশেষ অসীমের ছত্রছায়ায় পিঁপড়ের সারিতে আমিও এক খুদে যাত্রী, একতাকে গুরুত্ব দিই, ঘৃণা করি বিদ্বেষ— অস্বাস্থ্যকর কর্কট প্রতিযোগিতাকে, যেমন আছি ভালোই আছি, অন্যদেরও ভালো রাখতে চাইছি, শারীরিক দিক থেকে, মানসিক দিক থেকেও, এজন্য বহু চিন্তাভাবনার পর ফাঁপা জমিতে নির্মাণশীল আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ রূপ দাবি করছি। নিজের কাছে নিজের দাবি, নিজেকেই তার সার্বিক রূপ দিতে হবে। সঙ্গে অসংখ্য হাতের সম্মেলন, আর নিঃসঙ্কোচ সমর্থন আমাকে ঋণী করে তুলেছে। আমি বিনম্র, কৃতজ্ঞ।
 
কোথাও কোনো ছন্দপতন নেই। দ্রুততালে এগোচ্ছে। কয়েকমাসের মধ্যেই ১০০ বেডের হাসপাতাল প্রস্তুত হয়ে যাবে। যথাশীঘ্র চিকিৎসা শুরু হবে । সুলভ কর্মসংস্থানের ডাক পেয়ে সাড়া দিচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা। আশা করি, আগামী শিক্ষাবর্ষে, পঠন পাঠন আরম্ভ হবে। পুরোদমে। গমগম করবে গ্রামীন এলাকায় গড়ে ওঠা ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রের আরেক আধুনিকায়ণের সবুজ প্রাঙ্গন। যার অবস্থান শহর থেকে দূরে, প্রাকৃতিক পরিবেশে। ব্রক্ষ্মপুত্রের উত্তর পাড়ে, যে পাড়কে ঘিরে হাজার হাজার বছর জুড়ে বিভিন্ন দেশের জাতি উপজাতি এসে বসত গড়েছে, বৃহত্তর অসমিয়া জাতিগঠন প্রক্রিয়ার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়েও বজায় রেখেছে তাদের ভাষিক আর সাংস্কূতিক স্বাতন্ত্র্য, এ স্বাতন্ত্রের সঙ্গে উপজাতিসত্তার [ সাব-ন্যাশনেলিজমের] চিহ্ন ক্রমশঃ ম্রিয়মান, কালের ঝড়ো স্রোতে মিশে যাবে সব শাখাতান্ত্রিক শুদ্ধ-অশুদ্ধ জল, এটাই অসমের ভাষাল্যাবে পরীক্ষিত সত্য, অসমকেও যোগ্য পরিসর দিতে হবে প্রাক আহোম যুগ-যুগান্তের, পরের সব জনগোষ্ঠীকে, স্বর্গবাসী ভূপেন হাজারিকার বুলন্দ কন্ঠে স্বর মিলিয়ে বলা জরুরি,  উই আর ইন দ্য সেম বোট ব্রাদার, আমরা সবাই একই নৌকার যাত্রী; হ্যাঁ নৌকো সাগর সঙ্গমের দিকে ছুটছে, হরদম, অক্লান্ত; অভিমুখ আর দৃষ্টিকে বিস্তৃত করে, মহাবিশ্বের মহাঅদৃশ্যের নির্দেশে। এরকম যাত্রায় কোনো ভেদাভেদ নেই, লিঙ্গ বৈষম্য নেই, নেই ক্ষুদ্রতার আস্ফালন। এতসব মনোহর, বিচিত্র ‘নেই’ নিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলে যে আশ্চর্য মানচিত্র বিরচিত, বিরাজমান, তার ভেতরে আত্মঘাতী উইপোকারা প্রবেশ করল কীভাবে, কার মাধ্যমে, কোন প্ররোচনায়, সে এক মহাজটিল প্রশ্ন। অসমের, বলা উচিত সমস্ত উত্তরপূর্বের দিকে তাকান। বর্ষায় কালো মেঘ হিমালয় ছোঁওয়া প্রতিটি গিরিশ্রেণীতে, সমলেও তার ছায়া, সব পর্বত, সব পাহাড় একই দিকে ধাইছে, গান গাইছে প্রকৃতি আর অদৃশ্য অসীমের। শীতও বসন্তে, হেমন্তেও শাণিত অনুভূতির পাঠশালা, একই গৃহে, একই ক্যাম্পাসে এসে জড়ো হচ্ছে পড়ুয়ারা, আসার পথ তাদের আলাদা, লক্ষ্য অভিন্ন। অখণ্ড।মহা মানুষের সাধনার উচ্চারিত, অনুচ্চারিত বাণীতে। নির্মীয়মাণ আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতালের চত্বরে আশা করি এ বাণীর প্রতিধ্বনি বেজে উঠবে। জাগবে মসজিদের মিনার, গির্জাও মন্দিরের রন্ধ্রে রন্ধ্রেও একতার নও শক্তি লহর তুলবে। এরকম স্বপ্ন নিয়েই আমরা বরপেটা আর হাওলির মধ্যবর্তী এলাকা, কদমগুড়িতে, উপমহাদেশের প্রাচীনতম চিকিৎসার পঠন পাঠন এবং তার বিদ্যায়তনিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। পরের কিস্তিতে, এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান বলব, জানাতে চাইব কেন কদমগুড়িকে বেছে নিতে হল ? কেন এই মুহূর্তে আমাদের সমস্ত অর্জন আর চিত্তের সব বিত্ত নিবেদন করছি শক্তপোক্ত জমিতে, বৈচিত্রময় জনপদের সান্নিধ্যে। মুনাফা আমাদের গন্তব্য নয়, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যকারিতা, স্বনির্ভরতা অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হয়েছে। একাধিক সার্ভেতে ইতিবাচক চিত্র ভেসে উঠেছে ক্যানভাসে। মনে হয় ঠিক সময়ে, প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওপরওয়ালা আর আত্মশক্তি ভরসা। প্রসঙ্গত, কবি মহম্মদ ইকবালের চিরস্মরণীয় পংতি মনে পড়ছে, খুদি কো কর বুলন্দ ইতনা, কি হয় তাকদীর সে পহলে খুদা বন্দে সে পুছে, বাতা তেরি রজা কেয়া হ্যায়। মাথা নুইয়ে বলছি, প্রতিটি কর্মে, আয়ুর্বেদিক কলেজ হাসপাতালের নির্মাণেও আমরা আমাদের বাইরেও আমির আবরণে-ঢাকা ভেতরের আমিকে (খুদি) উঁচু, লাগাতার প্রশস্ত করতে চাইছি। প্রাতিষ্ঠানিকতা কিংবা নিজের স্বার্থে অবশ্যই নয়, মঙ্গলবোধের নির্দেশ, সকলের জন্য।
 

ক্রমশ…

♦—♦♦—♦♦—♦♦—♦

 
লেখক: উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম বেসরকারি কলেজ গোষ্ঠী এন.ই.এফ-এর চেয়ারম্যান। গুয়াহাটির বাসিন্দা
 
আগের পর্ব পড়ুন: পর্ব-২৭

ধারাবাহিক আত্মকথা : আমাদের বিদ্যানিকেতন


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!