- কে | রি | য়া | র-ক্যা | ম্পা | স ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
- মে ১২, ২০২৪
ধারাবাহিক আত্মকথা : আমাদের বিদ্যানিকেতন

আমিত্বহীনতার বৃত্তান্ত
বিনম্র, নির্মোহ ভঙ্গিতে, ব্যবহারিক সমাজতত্ব তার বনপাঠের অভিজ্ঞতা পেশ করতে করতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়, অসমের অচিত্রিত শূন্যতা তুলে ধরলেন ড. জাকির হোসেন। খানিকটা ক্ষোভে, অশ্রুসিক্ত উচ্চারণে। দরদিয়া শিক্ষাব্রতীর গন্তব্য বা অভিমুখ কোনদিকে, জানতে হলে পড়তে হবে জাকিরকে।সম্পাদক। ১২.৫.২০২৪
• পর্ব-৩১ •
অসম ভারতের অন্যতম বড়ো রাজ্য। বৃহত্তর , অখণ্ড অসমের আয়তন ছিল অধিকতর প্রশস্থ।, মনোহর, প্রকৃতির মহাকাব্যিক প্রচ্ছদে শোভিত। যেমন নদী মাতৃক, তেমনি জঙ্গলাকীর্ণ, খনিজ বনজ সম্পদে পরিপূর্ণ। সে অসম আর নেই। মানুষের ভুলে, আঞ্চলিক আশা আকাঙ্ক্ষার ক্রমবর্ধমান চাপে কেবল প্রশাসনিক স্তরে ভাগ হয়নি তার চরিত্র, টুকরো টুকরো হয়ে গেছে মানচিত্র।
মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, [পূর্বতন খাসিয়া- জয়ন্তিয়া পাহাড়] লাগোয়া অরুণাচল [নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার] অসম থেকে বেরিয়ে গেছে।রূপান্তরিত হয়েছে নতুন নতুন রাজ্যে। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, ভাষিক, এমনকি ধর্মীয় বিভাজন, টিকে থাকলে ভাগাভাগির লীলা বাড়তে থাকবে। কেবল স্বায়ত্বশাসনের দাবিতেই সন্তুষ্ট থাকবে না, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, রাজনৈতিক প্রত্যাশাকে বড় করতে করতে আরো কিছু আলাদা রাজ্যের আব্দার জুড়বে। ভবিষ্যতের এই আশঙ্কা রোখার সহজ পথ একটাই, বৈষম্যের অবসান।সম্পদের সুষম বণ্টন আর লুটেরাদের অবিচার ও ব্যাভিচারের সমাপ্তি।
আমি আশাবাদী মানুষ, কোথাও নেতিকে প্রশ্রয় দিইনা, কেননা নেতি নৈরাজ্য , দুঃস্বপ্ন আর প্রেমহীনতাকে ডেকে আনে। বিভাগপূর্ব অসমের দিকে তাকান, তখন তার ভৌগলিক সীমা ছিল চিন, মায়ানমার, আগেকার পূর্ব পাকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত। বহু ভাষিকতা আর বহুত্বের অপার দৃষ্টান্ত। পরবর্তী আঞ্চলিক বিভাজন কেবল অসমের আত্মার ক্ষতি করেনি, বাইরের অঙ্গচ্ছেদের পরিণামে জনবৈচিত্র বনজ, খনিজ সম্পদকেও ক্রমাগত খাটো করেছে ।
বৃহত্তর, অবিভাজিত অসমের আয়তন ছিল ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। আরোপিত সঙ্কোচনে তার চেহারা আজ ৭৮ হাজারে উপনীত। আপাত দৃষ্টিতে, বহু রাজ্যে বিভক্ত উত্তর পূর্বাঞ্চলের ফায়দা বেড়েছে, কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বেড়েছে। রাজনৈতিক বিকেন্দ্রীকতার প্রবাহ ছড়িয়েছে । প্রকৃত অর্থে এসব ফায়দার অংশীদার সাধারণ মানুষকে নয়, সমূহ গণকে নয়, কতিপয় ভাগ্যবানের স্বপ্নপূরণকে নিকটস্থ করেছে এবং বহুমাত্রিক সম্পদের ক্রমাগত হরণ প্রক্রিয়া।তাঁদের জড় আর শাখা প্রশাখায় জল ছিটিয়েছে।এটা উত্তর পূর্বের প্রতিটি রাজ্যের ক্ষেত্রে সত্য। সামাজিক বিকাশের স্বাভাবিক ধারা প্রতিহত।
প্রকৃতি যে সম্পদ দিয়েছে, তাঁদের ব্যবহার বেশি, সঞ্চয় কম।এত জল, এত নদী, এত বনাঞ্চল, তেল আর কয়লার স্তরে স্তরে আবিষ্কারের ফলপ্রসূ প্রচেষ্টা কোথায়? প্রাক- স্বাধীন ভারতে যা ছিল, সেখানে টিম টিম করতে আলো জ্বলছে । চা বাগান অসুস্থ, বহু বাগানের মৃত্যু আসন্ন। মারা গেছে হাজার হাজার একরের বাগিচা। বনাঞ্চলে বৃক্ষ লুঠ আকছার। দলিত, উৎপীড়িত বনৌষধির রসালো, উপাদেয় অসংখ্য উপকরণ যা দিয়ে বড় বড় ওষুধ কারখানা এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার যাবতীয় গবেষণা কেন্দ্র, হাসপাতাল ও মহাবিদ্যালয় গড়া যেত। সেক্ষেত্রে বিরাজমান শূন্যতা বড় দৃষ্টিকটু অথচ প্রতিবেশি গ্যাংটকে ওষুধ তৈরির কারখানার ছড়াছড়ি।উত্তর পূর্বের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের বনজ রসদ ব্যবহার করে বাহু আর পেশিকে বলিষ্ঠ করছে বহুজাতিকের দালান কোঠা । তাদের সংখ্যা বাড়ন্ত। বনের রক্তশোষণে ওরা সফল কারিগর।
অসমের যে পাঁচ অঞ্চল স্বতন্ত্র মানচিত্র, স্বতন্ত্র রাজ্যে বিভক্ত, সবারই দুর্দশা চিত্র একই।মানব প্রকৃতি এসব এলাকায় ঢেলে দিয়েছে বিত্ত, কিন্তু চিন্তা আর বিত্তের উদ্ভাবনী শক্তি দেয়নি। দেয়নি বনজ, জলজ, খনিজ সম্পদের ব্যবহারের প্রায়োগিক ক্ষমতা। সামন্তবাদী বড়লোকের বংশধরেরা যেমন পৈতৃক সম্পত্তি চিবিয়ে খায়, বসে বসে আলস্যের পথকে কেবল প্রশ্রয় দেয়, আশ্রয় নেয়না শ্রম, অধ্যবসায় আর মেহনতের প্রাঙ্গণে— অসমের, বলা উচিত গোটা উত্তর পূর্বেরই দুর্ভাগ্য, সময় আর ভাগ্য বিক্রিতে তাদের বিশেষ তারতম্য নেই। জাতীয় পুঁজির সামান্যতম অংশেরও নিয়ন্ত্রক নয় তারা। সম্পদের ক্রেতার তালিকায় নেই তাদের অবস্থান, বিক্রেতা বলেই সর্ব পরিচিত।এর জ্বলন্ত উদাহরণ রুগ্ন বাগিচা, কলকারখানার শূন্যতা, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় পুঁজির অনুপস্থিতি এবং ওষুধ ব্যবসায়, বিশেষ করে আয়ুর্বেদীয় পরিষেবায় বাণিজ্যে স্থানীয় অংশীদারিত্বের ঘাটতি বিস্ময়কর।
পাহাড়ে, জঙ্গলের লিপিতে, অভয়ারণ্যে বিত্তবান এ রাজ্যে বনাঞ্চলের আয়তন ২৯২৩৯ বর্গ কিলোমিটার । অর্থাৎ রাজ্যের মোট এলাকার ৩৫.২৮ শতাংশ এলাকা বনবীথিতে আচ্ছাদিত।বনরক্ষীদের একাংশ আমাদেরই উৎপাদিত, সংগ্রহীত কাঁচা পণ্য বাইরে পাচার করে রাসায়নিক ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কারখানা, গবেষণাগার গড়বে বিহারে, ওড়িশায়, উত্তরপ্রদেশে, দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে । অসমে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কারখানা একটাও নেই । পশ্চিমবঙ্গে কলেজ আর হাসপাতাল মাত্র দুটি । মাত্র ৬.৭৮ শতাংশ বনাঞ্চলে ঘেরা উত্তর প্রদেশে প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রের অধ্যয়ন, গবেষণাগার ও মহাবিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৪
ব্রিটিশরা চা শিল্প গড়ে তুলেছিল।বুঝতে পেরেছিল, পাহাড়ের খাদে খাদে অজস্র চা চাষ সম্ভব। সম্ভব ব্যাপক মুনাফার অর্জন। লক্ষ্য হাসিলে তারা অতুলনীয়। কাঁচা মালেরর জোগান দিল বৃহত্তর আসাম,ভুটান, সিকিম। শ্রমিক সরবরাহ করল চিন, নেপাল, ঝাড়খণ্ড, বিহার, সাঁওতাল পরগণা। স্থানীয় মানুষ মধ্যসত্বভোগীও হতে পারল না। হল কেরানি, ছোট ছোট হিসব রক্ষকও ঠিকাদার। তাদের এসব পেশাকে ঘিরে আপার অসমে, লোয়ার অসমে, নিম্ন অসমের, দরং, গোয়ালপাড়া আর পূর্বতন প্রদেশের সিলেট কাছাড়ে পূর্ব-উত্তরের জলপাইগুড়ি আর ডুয়ার্স জুড়ে শ্রেণী সচেতন এক সুবিধাভোগী মধ্য শ্রেণী তৈরি হল, এরা না হতে পারলো মেহনতি শ্রমিক, না হল বাগান সংলগ্ন জমির মালিক। সব ব্রিটিশদের দখলে, এমনকি বাগানের ম্যানেজারের পদও দু এক ব্যতিক্রমকে বাদ দিলে তাদের কপালে জুটল না। উচ্চ পদাধিকারীরা বিলেত থেকে আসত, ভোগ আর জূলূম করত, চাকরির মেয়াদ শেষ হলে স্বদেশে ফিরে যেত। স্থানীয় বিনিয়োগে সায় ছিলনা ওদের মর্ম আর কর্মের। ব্রিটিশরা স্বাধীনতার ঊষালগ্নে মালিকানা পুরোপুরি হস্তান্তরিত করল না, স্থানীয় এজেন্টদের হাতে রেখে দিল। স্বাধীন ভারতের পুঁজির বিকাশ পর্বে রাজস্থান, গুজরাট , মহারাষ্ট্রের কিছু সংখ্যক বুর্জোয়া উদ্যোগী চা ব্যবসায় প্রবেশ করল, ছিটেফোঁটা মালিকানা অসম, দক্ষিণ অসমের পাতিয়া বুর্জোয়ার নিয়ন্ত্রণে এলো বটে কিন্তু তাঁরাও বাগান রক্ষায় ব্যর্থ। রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হল টাটা, বিড়লা ও বৃহৎ পুঁজির ভাগিদার, মাড়োয়াড়ি সম্প্রদায়। রক্ষকের আবরণে তারা হয়ে উঠল ভক্ষক। স্বাস্থ্যহীন, বৃদ্ধিহীন হতে থাকল শত শত চা বাগান। স্থানীয় প্রতিনিধিরা চা চাষের অংশীদার আর নিয়ন্ত্রক হতে পারলে রুগ্ন বাগানের সংখ্যা এত বাড়ত না। আজ এই শিল্পের দুর্দশা প্রমাণ করে, ‘মুনাফা যুক্ত’ কোনও ব্যবসায় অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচলের ভূমিপুত্রদের আন্তরিক সায় নেই। বাঙালি মধ্যশ্রেণির মতো চাকরি করেই তাদের পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্য।খেতে জানে, খাওয়াতে জানে, খাবারের উৎপাদনে নিজের ওপর ভরসা নেই। উৎপাদিত পণ্যের চাষভূমির রক্ষায় তাগিদহীন তার চিন্তা। উদ্বেগ বড়ো, ভয় আরও বড়ো, সম্ভবত এরই সুযোগ নিয়ে কে আসল ভূমিপুত্র, কে নকল ভূমিপুত্র, কে আগে আগত, এসব প্রশ্নের ভিড় বাড়িয়ে, জটিলতা তৈরি করে পরস্পরের মধ্যে বিবাদ বাড়িয়ে দেয় বিভ্রান্তির রাজনীতি। সন্দেহ আর ভিত্তিহীন অস্মিতা। লুণ্ঠনের ক্ষেত্র জমিতে এর চেয়ে ধারালো কৌশল আর কী হতে পারে, জানিনা । চা বাগানে লুঠ, নদী জলে লুটের ছায়া অপচ্ছায়া, বনাঞ্চলেও লুঠের অবাধ রাজত্ব। জঙ্গলের ঘনত্ব আর রাশি রাশি বৃক্ষ, আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির দুর্মূল্য উৎস, সবই নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে, পাচার হচ্ছে বাইরে, অসম এসব উপাদান দিয়ে উৎপাদিত পণ্য কেনে এবং বহিরাগত ব্যবসায়ীদের সামনে ভিক্ষের হাত পেতে দেয়, সবই তির্যক উপহাস ! রসদ খরচ, পয়সা খরচ আমাদের, মুনাফা ওদের। আমরা বড়ো জোর লুটেরাদের নিযুক্ত এজেন্ট হতে পারি, পাচারকারীদের তালিকায় সংযুক্ত হই, কিন্তু আমাদের সঙ্কট আর উদ্বেগের পাশে নেই ওরা, নেই কোনো কেন্দ্রীয় শাসক। আমাদের সন্তান সন্ততিদের কর্মসংস্থান তৈরিতে কারো আগ্রহ নেই। রস ও রসদ জোগাব আমরা, বনের বিষাক্ত কীট, সাপখোপ, হিংস্র প্রাণীর হুঙ্কার। বনরক্ষীদের লোভের আওয়াজ শুনবে অসম, আর ওরা লুটেরারা আমাদেরই উৎপাদিত, সংগ্রহীত কাঁচা পণ্য বাইরে পাচার করে রাসায়নিক ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কারখানা, গবেষণাগার গড়বে বিহারে, ওড়িশায়, উত্তরপ্রদেশে, দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে। সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান পেশ করলেই ভেসে উঠবে অসমসহ উত্ত পূর্বের অকথিত, প্রায় অগ্রন্থিত শূন্যতা। অসমে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির কারখানা একটাও নেই। সরকারি হাসপাতাল ও কলেজ কুল্লে একখানা। উদ্যোগী নয় বেসরকারি সংস্থা। পশ্চিমবঙ্গে কলেজ আর হাসপাতাল মাত্র দুটি। একটি রাজীব গান্ধি মেমোরিয়াল আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ,উত্তর ২৪ পরগণার ঘোশ ডাঙায় , অন্যটি পূর্ব মেদিনীপুরের রঘুনাথপুরে। তুলনামূলকভাবে, ৭.১ শতাংশ বনসম্পদের অধিকারী বিহারে আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সংখ্যা ৫। ওড়িশায় বনাঞ্চলের আয়তন ৩৩ শতাংশ, আয়ুর্বেদিক কলেজ ও হাসপাতাল মাত্র তিনটি। সবকটি সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত। মাত্র ৬.৭৮ শতাংশ বনাঞ্চলে ঘেরা উত্তর প্রদেশে প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রের অধ্যয়ন, গবেষণাগার ও মহাবিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৪। যেখানে সরকারি, বেসরকারি হাত একত্রিত, ঐক্যবদ্ধ। উত্তর ভারতের তুলনায় পূর্ব ভারত এক্ষেত্রে এতটাই পিছিয়ে আছে , যা ঘুটঘুটে অন্ধকারকে হার মানায় যা। সবচেয়ে করুন ছবি অসমের। পাহাড়ে, জঙ্গলের লিপিতে, অভয়ারণ্যে বিত্তবান এ রাজ্যে বনাঞ্চলের আয়তন ২৯২৩৯ বর্গ কিলোমিটার । অর্থাৎ রাজ্যের মোট এলাকার ৩৫.২৮ শতাংশ এলাকা বনবীথিতে আচ্ছাদিত। ওপরে বহির্স্থিত আকাশ, নীচে জল আর সবুজের প্রকৃতিস্থ স্তব্ধ তরঙ্গ। নিসর্গের এই নৈঃশব্দ্য আর কন্ঠহীন উদাসীনতা দেখে যায় মানুষ। বনজ সম্পত্তির ভাণ্ডার শূন্য হতে থাকে, দেখে যায় মানুষ। বাড়ির পাশে আরশি নগর ভরে যায় অব্যক্ত কান্নায় ,দেখে যায় মানুষ।
প্রতিবিম্বে রক্তচিহ্ন, হতাশার কাঁচ আর কতকাল দেখতে হবে, তারই সদর্থক জবাব খুঁজছে আমাদের সমবেত ইচ্ছা, আমাদেরই আয়ুর্বেদিক ক্যাম্পাসে। পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে, চলছে শাস্ত্রপাঠের জোর প্রস্তুতি।
ক্রমশ…
♦—♦♦—♦♦—♦♦—♦
লেখক: উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম বেসরকারি কলেজ গোষ্ঠী এন.ই.এফ-এর চেয়ারম্যান। গুয়াহাটির বাসিন্দা
আগের পর্ব পড়ুন: পর্ব-৩০
❤ Support Us