Advertisement
  • পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
  • ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫

কায়রো বইমেলায় হৃদয়ের চুম্বন

নীলনদের ধারে কায়রো বইমেলায় ভিড় করেছেন বহু দেশের বাসিন্দারা। রুক্ষ মরুশহরে উচ্চারিত হচ্ছে কবিতা। অজস্র যুদ্ধ হত্যার পর উচ্চারিত হচ্ছে কবিতা। বালি খুঁড়ে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস থেকে উচ্চারিত হচ্ছে কবিতা

সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
কায়রো বইমেলায় হৃদয়ের চুম্বন


কায়রো
বইমেলার বয়স কত ? ৬৫। গুরুত্ব আর ব্যাপ্তিতে বিশ্বে দ্বিতীয়, আরব দুনিয়ায়-অদ্বিতীয়। মেলার ঐতিহ্য আর উত্তরণের বৃত্তান্ত, বাংলাভাষায় এই প্রথম পরিবেশিত হল এমন একজন দৃপ্ত কবি আর অনুবাদকের কলমে, যাঁর মননকে ছুঁয়ে থাকে প্রত্যক্ষ দর্শন আর আরবি সাহিত্যের সমৃদ্ধ, আনুপূর্বিক ইতিহাস। 

সম্পাদক 

গতকাল, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
সবই শূন্য,
আমিও শূন্য,
আমার দিকে যাওয়ার একটা পথ
একজন দ্বিধাগ্রস্ত, নারীর দিকে ছুটছে
এবং তার হারিয়ে যাওয়া সোনা খুঁজছে
সে নারীর কব্জিতে,
সে হয়ে উঠছে এক থেকে বহু,
শূন্য রয়ে গেছে শূন্যে,
একটা ভাষা শুধু পূর্ণ হয়ে উঠছে ভ্রান্তির অভিধানে,
এসব নিয়েই সে ঘুমিয়ে পড়ল একা ।

২০২৫এর ৩০শে জানুয়ারি সন্ধ্যায় ৫৬তম কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলায় তখন কবিতা পড়ছেন মিশরের বর্ষীয়ান কবি আহমদ আল্ সাহায়, ইংরেজি অনুবাদ পড়ছেন ভাষাতত্ত্বের অধ্যাপক সারা হামিদ হাওয়াস, অনূদিত বাংলা পড়ছি আমি, সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে বুঝিয়ে দিচ্ছেন আরেকজন গবেষক। প্রকাশিত হয়েছে আমাদের যৌথ কবিতা সংকলনকিস অফ মাই সোল হায়ারোগ্লিফিক, হায়ারোটিক, ডেমোটিক লিপির সময় পেরিয়ে আরবি ভাষায় মিশর তার বিবর্তনের ইতিহাস বলছে সাহিত্যে, শিল্পে, বিজ্ঞানে। ইরাক, জর্ডন, আলজেরিয়া, বাহরিন, কুয়েত, লেবানন সহ সব আরবিভাষী দেশের প্রকাশনা সংস্থার স্টলে সেজে উঠেছে কায়রো বইমেলা। একপাশে ইংরেজি বইয়ের প্যাভেলিয়ান। অন্যদিকে রোমানিয়া, গ্রিস, ভেনেজুয়েলা অন্যান্য দেশের স্টল। এককথায় আরবি বিশ্বের সঙ্গে পৃথিবীর অন্য দেশের সাহিত্য সংস্কৃতির সুস্থ মেলবন্ধনের এই আয়োজন ছিল, ২৩ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

৫৬তম কায়রো আন্তর্জাতিক বইমেলায় যৌথ কবিতা সংকলন ‘কিস অফ মাই সোল’ এর প্রকাশ

কায়রো বইমেলার ইতিহাসে অনেক পট পরিবর্তন আছে। আরব বিশ্বের রাজনৈতিক সামাজিক অবস্থার সঙ্গে বদলেছে বইমেলার চেহারাও। জেনেরাল ইজিপ্সিয়ান বুক অর্গানাইজেশন ১৯৬৯ সালে কায়রো শহর প্রতিষ্ঠার ১০০০তম বার্ষিকী উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে শুরু করে বইমেলা। ক্রমশ এই মেলা হয়ে উঠল আরববিশ্বের বৃহত্তম এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম বইমেলা।ন্যাশনাল লাইব্রেরি অ্যান্ড আর্কাইভস‘-এর স্টলে চলছিল ধারাবাহিক মিশরীয় সাহিত্যের প্রদর্শনী। প্রাচীন সাহিত্যের রচনাকাল, ফ্যারাওদের রাজত্বকাল থেকে শুরু করে রোমান আধিপত্যের শেষ পর্যায় পর্যন্ত। মিশরীয় সাহিত্য সুমেরীয় সাহিত্যকে একযোগে বিশ্বের প্রাচীনতম সাহিত্য গণ্য করা হত। খ্রিস্টপূর্ব ষড়বিংশ থেকে দ্বাবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এখানের সাহিত্য বলতে ছিল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সংক্রান্ত গ্রন্থ, ‘এপিসল‘ (কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে লেখা চিঠি), স্তোত্র, কবিতা এবং কিছু আত্মজীবনী। আখ্যানমূলক সাহিত্যের উৎপত্তি হল গণমাধ্যম বিপ্লব, বুদ্ধিজীবী লিপিকর শ্রেণির উত্থান এবং নতুন সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার ভেতর দিয়ে। সাহিত্যচর্চা ছিল অভিজাত শ্রেণির কুক্ষিগত। ক্রমশ মিশরীয় কথ্য ভাষা পরিণত হল ধ্রুপদি ভাষায়। প্রাচীন সাহিত্য রক্ষিত আছে প্যাপিরাস লেখ্যপট, চিনামাটির অস্ট্রাকা, প্রস্তরনির্মিত স্মারক সৌধ বা শবাধারে। কায়রো মিউজিয়ামে সবই সংরক্ষিত। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর আর্টস, কালচার অ্যান্ড লেটার্সএর স্টলে দেখতে পেলাম মিশরের সমসাময়িক রাজনৈতিক সামাজিক পালাবদলের ইতিহাসের অনেক দলিল। ২০১০ সালের শুরু থেকে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বয়ে যাওয়া গণবিপ্লবের ঝড়কে পশ্চিমি সাংবাদিকরা নাম দিয়েছিলআরব বসন্ত গণবিক্ষোভ শুরু হল তিউনিসিয়ায়। তারপর তা মিশর, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন সহ ছড়িয়ে পড়ল বিভিন্ন দেশে। প্রথমে পতন হল মিশরের রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারকের। তারপর লিবিয়ায় মুয়াম্মর আলগাদ্দাফি জমানার অবসান।


সাহিত্যচর্চা ছিল অভিজাত শ্রেণির কুক্ষিগত। ক্রমশ মিশরীয় কথ্য ভাষা পরিণত হল ধ্রুপদি ভাষায়। এ প্রাচীন সাহিত্য রক্ষিত আছে প্যাপিরাস লেখ্যপট, চিনামাটির অস্ট্রাকা, প্রস্তরনির্মিত স্মারক সৌধ বা শবাধারে। কায়রো মিউজিয়ামে সবই সংরক্ষিত। 

২০০০ সালের কায়রো বইমেলা চলাকালীন ইসলামপন্থীরা বেশ কিছু বই ইসলামবিরুদ্ধ বলে বিক্ষোভ দেখায়। ক্রমশ সে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। এর বিরুদ্ধে ইখওয়ানুল মুসলিমিন-এর ছাত্র গোষ্ঠীর ২০০০ জনের বেশি সদস্য আলআজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে। এটাই মিশরে, সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম গণবিক্ষোভ। ইসলামবিরুদ্ধ বলে সিরিয়ায় লেখক হায়দার হায়দারের ১৯৮৩ সালের উপন্যাস ব্যাঙ্কুয়েট ফর সিউইড‘-এর বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তী বইমেলাগুলোতে ক্রমশ চেক মিলান কুন্দেরা, মরক্কোর মোহাম্মদ চৌকরি, সৌদি ইব্রাহিম বাদি, লেবাননের হানান আল শেখএর বই নিষিদ্ধ হয়।

গাজা শহর ইসরায়েলি আক্রমণে বিদ্ধস্ত সে সময়েই কায়রো বইমেলায় গাজার একটি প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ করল আল-আহমদ সাহায়-এর দুটি কবিতা সংকলন। আরেকদিন প্রকাশিত হল স্পেনের কবি ফ্রান্সিস ম্যুনিয়েম সোলার-এর ‘বাইলিঙ্গুয়াল অ্যান্থলজি’ এবং জুলিও পাভানেত্তি-র ‘দ্য ট্রেন অফ শ্যাটার্ড ড্রিমস’-এর আরবি অনুবাদ। একদিন সন্ধ্যে কাটলো তুর্কি কবি তারিক গ্যনেসেরেল-এর কবিতা পাঠে। তিনি তুর্কি  ভাষায় অনুবাদ করেছেন ঋগ্বেদ ও উপনিষদ

কালক্রমে এসবের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আরববিশ্বের বিভিন্ন দেশে।  মানুষের হাতিয়ার হয়ে ওঠে কবিতা, গান, কার্টুন, গ্রাফিতি, ম্যুরাল। ওই অস্থির সময়ের সাক্ষ্য বহন করে এখনো সাজানো আছে অসংখ্য বই– আলিয়া মালেকের স্মৃতিকথাদ্য হোম দ্যাট ওয়াজ আওয়ার কান্ট্রি মেমোয়ার অফ সিরিয়া‘, রেবেক্কা ম্যাগর এবং মোহাম্মদ আলবাক্রি সম্পাদিততাহরির টেলস: প্লেস ফ্রম দ্য ইজিপশিয়ান রেভোলিউশন‘, হিশাম মাতারের পুলিৎজার বিজয়ীদ্য রিটার্নঅথবা হামিদ সুলাইমানএরফ্রিডম হসপিটাল যে কায়রো বইমেলা সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করছে, সে বইমেলাই বার্তা দিচ্ছে যুদ্ধ, হিংসা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।আবু ধাবি ফোরাম ফর পিস‘-এর স্টলে কথা হল শাস্তির স্বপক্ষে, পৃথিবী জুড়ে তাদের কাজকর্ম নিয়ে। উপহার পেলাম হামজা ইউসুফএর অনুবাদ গ্রন্থদ্য কালচার অফ টেররিজমঅথবারোল অফ রিলিজিয়ন ইন প্রোমোটিং টলারেন্স‘-এর মতো বই। গ্রিস, রোমানিয়ার স্টলে প্রকাশকরা সযত্নে দেখালেন তাঁদের প্রকাশনাদ্য গ্রিকস অ্যান্ড মেকিং অব মডার্ন ইজিপ্টঅথবাদ্য আরব ওয়ার্ল্ড ইন রোমানিয়ান কালচার কাজের দিনেও দুপুর থেকে রাত্রি পর্যন্ত ভিড় করছেন তরুণতরুণী থেকে বৃদ্ধ দম্পতি। আরবি গান আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন হলে প্রকাশক লেখকদের নিয়ে বইপ্রকাশ, আলোচনা, কবিতা পাঠ। যে সময় গাজা শহর ইসরায়েলি আক্রমণে বিধ্বস্ত সে সময়েই কায়রো বইমেলায় গাজার একটি প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ করল আলআহমদ সাহায়এর দুটি কবিতা সংকলন। আরেকদিন প্রকাশিত হল স্পেনের কবি ফ্রান্সিস ম্যুনিয়েম সোলারএরবাইলিঙ্গুয়াল অ্যান্থলজিএবং জুলিও পাভানেত্তিদ্য ট্রেন অফ শ্যাটার্ড ড্রিমস‘-এর আরবি অনুবাদ। একদিন সন্ধ্যে কাটলো তুর্কি কবি তারিক গ্যনেসেরেলএর কবিতা পাঠে। তিনি তুর্কি ভাষায় অনুবাদ করেছেন ঋগ্বেদ উপনিষদ। অনুবাদ নিয়ে এক আলোচনায় আমাকে মুখোমুখি হতে হল নানা প্রশ্নের। অনুবাদই বিশ্বসাহিত্যের সংযোগের একমাত্র হাতিয়ার। অনুবাদ কীভাবেট্রান্সলেশনথেকেট্রান্সক্রিয়েশন‘-এর মাধ্যমে মৌলিক সাহিত্য হয়ে উঠতে পারে তা নিয়ে চলল নানা আলোচনা। এল রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর ‘দ্য সংগ অফারিংস‘-এর প্রসঙ্গ। রবীন্দ্রনাথের কবিতা এখনো কতটা প্রাসঙ্গিক সে বিষয়ে উঠে এলো অনেক প্রশ্ন। কায়রোতে হাজির বিভিন্ন দেশের কবি সাহিত্যিকরা। এসেছেন উজবেকিস্তানের আজাম আবিদভ, রাশিয়ার ভাদিম তেরেখিন, ইরাকের মুনিয়াম আলফাকার, তুর্কির মেসুত সেনল, স্লোভেনিয়ার বারবারা স্পোগানিক, চিলির থিওডর এলসাকা সহ আরও অনেকে।

যে মিশর তার চিত্রলিপিকে বলতোদেবতার উচ্চারিত শব্দসেই মিশরে এখন মানুষের উচ্চারণই প্রধান। ২০০৪ সালে মিশরীয় বুদ্ধিজীবী আবদেলহালিম কান্দিলকে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী মারধোর করে মরুভূমিতে ফেলে দিয়ে আসে। কান্দিলের বইরেড কার্ড ফর দ্য প্রেসিডেন্টনিষিদ্ধ করে হোসনি মুবারক সরকার। বিপ্লবের পরে সেইরেড কার্ডবেস্ট সেলার হয়। বাহা তাহের এখন মিশরের অন্যতম জনপ্রিয় শ্রদ্ধেয় কথাসাহিত্যিক। দীর্ঘদিন তিনি ভোগ করেছেন রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা জন্মভূমি মিশর থেকে নির্বাসন। কিন্তু পরে তিনিই অর্জন করেছেন বুকার পুরস্কার। কায়রোর আরেক উল্লেখযোগ্য লেখক ইউসুফ নিদানের গবেষণাপত্রআরব থিওলজি অ্যান্ড দ্য রুটস অফ রিলিজিয়াস ভায়োলেন্সএক সময় সর্বাধিক পঠিত বইগুলির মধ্যে একটি ছিল।

মিশরের ইতিহাস ছড়িয়ে আছে কায়রো শহরে। মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী নীলনদ। প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় নীলনদকে বলা হতহ্যাপি হ্যাপি ছিলেন প্রাচীন মিশরীয় ধর্মে বার্ষিক বন্যার দেবতা। এই নদীই চারপাশের শুষ্ক অঞ্চলকে সবুজ কৃষি জমিতে রূপান্তরিত করেছে। তাই মিশরকে বলা হয়নীল নদের দান কায়রোর তাহরির স্কোয়ারের জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে ফ্যারাওদের ইতিহাস, প্যাপিরাস লেখ্যপট, তুতানখামেনের সোনার সিংহাসন, আখেনাত্তেনের মূর্তিসহ অজস্র মুখোশ, মূর্তি, শবাধার। বাইশটি মমি ২০২১ সালে স্থানান্তরিত হয়েছে কায়রোর ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ইজিপ্সিয়ান সিভিলাইজেশনএ। কায়রো থেকে খানিকটা দূরেইগ্রেট পিরামিড অফ গিজা (খুফুর পিরামিড) সঙ্গে খাফ্রের পিরামিড, মেনকাউরের পিরামিড এবং স্ফিংস। পিরামিডের চারপাশে মরুভূমির মালভূমি, সমাধি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ। এসবের আকর্ষণেই নীলনদের ধারে কায়রো বইমেলায় ভিড় করেছেন বহু দেশের বাসিন্দারা। রুক্ষ মরুশহরে উচ্চারিত হচ্ছে কবিতা। অজস্র যুদ্ধ হত্যার পর উচ্চারিত হচ্ছে কবিতা। বালি খুঁড়ে হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস থেকে উচ্চারিত হচ্ছে কবিতা। বিপ্লবে, বিষাদে, বিশ্রামে উচ্চারিত হচ্ছে কবিতা। আল আহমেদ সাহায়, সারা হামিদ হাওয়াস আমি আমাদের যৌথ অনুবাদ সংকলন থেকে উচ্চারণ করলাম কবিতা

কারণ প্রজ্ঞা আমার দরজায় কড়া নাড়েনি
কারণ ভাষা আমার বাড়ি থেকে
অনেক দূরে ঘুমিয়ে পড়েছে
কারণ আমার প্রেমের ভবিষ্যৎবাণী দেরিতে এসেছিল,
কারণ তোমার আগুনে আমার জিভ পুড়ে গেছে,
কারণ আমিই তোমার শস্য খেতের ক্ষুদ্রতম দানা,
আজ থেকে তোমাকেই মাতৃভাষা বলে ডাকবো ।

♦–♦♦–♦♦–♦

  পরিচিতি: সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় পেশায় চিকিৎসক, মেডিসিন বিভাগ, রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান। কবি, অনুবাদকপ্রাবন্ধিক। সম্পাদক, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর ইন্টারকালচারাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ।

  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!