শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটকে যে ভারত শাসন করছে, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আইসিসি–র র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের একনম্বর দল। একদিনের ক্রিকেটে দু’দুবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে। শুধু এখানেই শেষ নয়, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। এমনকি, আইসিসিও ভারতকে সমীহ করে চলে। অথচ এই ভারতই একসময় চূড়ান্ত খারাপ সময়ের মধ্যে পড়েছিল। আইসিসি–র সদস্যপদ হারাতে চলেছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর তৎপরতায় আইসিসি–র সদস্যপদ বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। যদিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনেক আগে থেকেই ক্রিকেটের প্রতি দারুণ প্রেম ছিল জওহরলাল নেহেরুর।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে ভারতীয় অভিজাতদের মধ্যে তাঁদের সন্তানদের পশ্চিমী ধাঁচের শিক্ষার জন্য মর্যাদাপূর্ণ ব্রিটিশ স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর প্রচলন ছিল। প্রখ্যাত আইনজীবী মতিলাল নেহরু তাঁর পুত্র জওহরলাল নেহরুকে পড়াশোনার জন্য বিলেতে পাঠান। ১৯০৫ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত তিনি হ্যারো স্কুলে পড়াশোনা করেন। যখন তিনি হ্যারো স্কুলে পশ্চিমা শিক্ষা লাভ করেন, সেই সময় যুবক জওহরলাল খেলাধুলাতেও অংশ নেন। বিশেষ করে ক্রিকেটের প্রতি তিনি বেশি অনুরাগী ছিলেন।
দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও খেলার প্রতি জওহরলাল নেহরুর ভালোবাসা অব্যাহত ছিল। ১৯৫৩ সালের সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী একাদশ এবং উপরাষ্ট্রপতি একাদশের মধ্যে একটা দু’দিনের চ্যারিটি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশের বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য আর্থিক তহবিল গড়ে তোলা। জওহরলাল নেহেরু শুধু প্রধানমন্ত্রীর একাদশের অধিনায়কই ছিলেন না, ম্যাচের ধারাভাষ্যও করেছিলেন। ৪০ বছর পর ব্যাট হাতে নেওয়া জওহরলাল নেহেরু সেদিন একজন পেশাদার ক্রিকেটারের মতো খেলেছিলেন। যদিও ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।
একসময় ভারত আইসিসি–র সদস্যপদ হারাতে বসেছিল। জওহরলাল নেহেরুর তৎপরতায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় ভারত। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করলেও সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ দেশ প্রজাতান্ত্রিক না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার ব্রিটিশ রাজাকে ভারতের রাজা হিসেবে মেনে নেয়। যদিও কংগ্রেস পার্টি চেয়েছিল ভারত প্রজাতন্ত্র হয়ে উঠুক এবং ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করুক। তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট অ্যাটলি এবং বিরোধী নেতা উইনস্টন চার্চিল ভারতকে কমনওয়েলথের অংশ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথমে ভারত কমনওয়েলথের সদস্য হয়নি। ১৯৪৮ সালের ১৯ জুলাই লর্ডসে আইসিসি–র যে বৈঠক হয়েছিল, সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ভারত আইসিসি–র সদস্য থাকবে, কিন্তু শুধুমাত্র অস্থায়ী ভিত্তিতে। ভারতের আইসিসি–র স্থায়ী সদস্য হওয়ার বিষয়টি ২বছর পর সংশোধন করা হবে। আইসিসি–র নিয়মের ৫ নম্বর ধারায় বলা ছিল, যদি কোনও দেশ ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য না হয় তাহলে তাহলে সেই দেশের সদস্যপদ শেষ হয়ে যাবে।
১৯৫০ সালের জুনে আইসিসি–র পরবর্তী বৈঠকের আগেই ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। ব্রিটিশ রাজতন্ত্র সরকারের ওপর কোনও ক্ষমতা না রেখেই কমনওয়েলথের সদস্য হয়েছিল। ভারত কমনওয়েলথের সদস্যপদ নেওয়ায় আইসিসি ভারতকে স্থায়ী সদস্য করে। ভারতকে ব্রিটিশ কমনওয়েলথে অন্তর্ভূক্ত করার নেহরুর সিদ্ধান্ত দলের সদস্যদের কাছে সমালোচিত হয়েছিল। যদিও এর রাজনৈতিক প্রভাব ছিল, তবে সিদ্ধান্তটি ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34