Advertisement
  • ক | বি | তা
  • ডিসেম্বর ৪, ২০২২

গুচ্ছ কবিতা

বিদিশা সরকার
গুচ্ছ কবিতা

পর্যটকের জীবনে সরাইখানা
আর
মাধুকরীর উপার্জনে অচিন পাখি
দিগন্তকে আক্ষেপ বলেনি –
তুমি পরিপূর্ণ হলে
আমি জানলায় বসে রামধনু আঁকব —

বাস্তু ঘুঘু’র জন্য ছড়ানো দানায় যে বিকেলের ব্যস্ততা
তার জন্য অবসরের জানলা খোলা থাকে —
আমি নিকনো উঠোনে আলপনা ভাবি।

সাইকেল রিক্সার পথগুলোতেই যে সব হাঁটে
অবলম্বনের জন্য একটা লাঠি
দীর্ঘায়ু
সংবিধান সংশোধনে যাদের কিছুই আসে যায় না —

প্রতিবাদের রক্তে সমবেদনা দেখিনি –
রঙ সম্পর্কে কিছু অর্থহীন বাতিক
দুটো চেয়ার বাদ দিয়ে বসলে
আমি দু’পক্ষে সুবিধাবাদী হতে পারিনি —
মুঘলসরাই স্টেশনে তুমি জল খেতে নেমেছিলে,
আমি জল কিনেছিলাম গয়ায় ,আর
পাণ্ডাদের জেরক্স কপি !
প্রেতশিলায় দাঁড়িয়ে পাপজন্মের অভিসম্পাতকে
বাস্তবিক ভেবে মনে মনে বলেছিলাম— আরও ঘুমের বড়ি ?
তুই সত্যি সত্যি মরেছিস তো ?

বিয়ের ওড়না দিয়েই ঝুলেছিল উমা দি —
ভিড় ঠেলে একদিনই অমিয় পুরুষ হয়েছিল
বনসাইয়ের জীবনে
তারপর অমিয় ওয়েড’স শ্রীলেখা —
নকল প্রজাপতি
ঠিক দুর্বোধ্য কবিতার মতো
জন্মের ঠিক ঠিকানাহীন টুনির জোনাকি !

 

পতন

সেই ক্ষীণ তটিনীটি আদ্যক্ষরেই শত বিভাজিকা। জলসেচের প্রয়োজন বুঝে ক্ষেত খামারের ক্ষরার গল্প জনে জনে বাটোয়ারা শেষে ফিরে এলে মরশুমি আদিম সভ্যতায়। তখনও ঘুম জড়ানো, আলস্যের গিঁট খুলে মহামায়াতলায় বসে থাকা – ভনিতা আর পূর্বরাগের ছটায় যখন কোনও নদীই বোধগম্য নয়, তখন প্রসাদী ফুলে বীতরাগ অহেতুক নয়। গঞ্জনার পাশে বসে থাকে অঞ্জনা। তুমি তাদের কাউকেই চেন না। সাধ মিটলে যে আর আসবে না।
এক ডুবে স্নান সেরে এসে দেখি সারা গায়ে শাপলা জড়ানো। চুল চুইয়ে চুইয়ে মেয়াদি জল, না জ্বর! অজুহাতের কাছে ধরা পড়ে গেলে ভৈরবীতলায় ধর্না। মনস্কামনারা জামিনে খালাস । তোমার হাসির সঙ্গে পূরবের হাসির কত মিল, অথবা তোমার পাল তোলা আসমান- জমিন ! নিষিদ্ধ জীবন থেকে ফিরে যাচ্ছ ভিটের রাখাল। শুধু বললে না, পূরবের বাপটা কে !!

  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!