- পা | র্স | পে | ক্টি | ভ প্রচ্ছদ রচনা
- সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
অনাকাঙ্খিত গণভোট: আরেকটি ফিলিস্তিন হয়ে উঠবে ইউক্রেন
বাড়বে রুশ-মার্কিন সংঙ্ঘাত। ফায়দা লুটবে চিন

ইউক্রেনের যে সব অঞ্চল রাশিয়া দখল করে রেখেছে, সে এলাকাগুলিতে গনভোটের সমর্থনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছে মস্কো। গনভোটের তীব্র বিরোধিতা করছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোভূক্ত দেশগুলি। ব্যতিক্রম একমাত্র তুরস্ক। আঙ্কারা সরাসরি বিরোধিতা করেনি, সমর্থনও করছে না। গনভোট করাতে মস্কো দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পরিস্থিতি জটিল হলে যুদ্ধ বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে ন্যাটো সতর্ক। তারা ইউক্রেনকে অস্ত্র–অর্থ যুগিয়ে যাবে। গোড়ার দিককার অসহায়তা কাটিয়ে উঠেছে ইউক্রেন। পাল্টা আঘাতের জন্য প্রস্তুত। চিন, ইরান ও অন্যান্য দেশগুলির অবস্থানে সংশয় নেই। তারা পুতিনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে। ভারত আপাতত নীরব থেকে নিরপেক্ষতার আড়ালে রাশিয়ার পাশে থাকবে। যুদ্ধে জড়াবে না, সেনা পাঠাবে না, কিন্তু প্রলম্বিত যুদ্ধে নৈতিক দিক থেকে মস্কোকে সমর্থন করবে।
রুশ–ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুতেই আমরা বলেছি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা নেই। দুই দেশের সংঘর্ষ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠবে। এই বিশ্লেষণে ভুল নেই, একথাই প্রমাণ করছে ইউক্রেনের রুশ অধিকৃত এলাকায় মস্কোর গনভোটের সিদ্ধান্ত। ভারতের কাশ্মীর, ফিলিস্তিনের গাজা ও ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক নিয়ে যে স্থায়ী অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে আছে, ইউক্রেনেও অনুরূপ সংঘর্ষময় আবহ তৈরি হবে।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার আগে রাশিয়া ভেবেছিল, যুদ্ধ স্থায়ী নাও হতে পারে। ইউক্রেনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্রুত ভেঙে পড়বে। বাস্তবে দেখা গেল, ইউক্রেনের সমুদ্র ঘেঁষা এলাকায় একের পর এক শহর, লোকালয় ও শিল্পাঞ্চল রাশিয়ার দখলে চলে গেলেও ন্যাটো–আমেরিকার পরোক্ষ সহায়তায় ইউক্রেন আত্মসমর্পন করেনি। বরং তার জেদ বেড়েছে, প্রস্তুতিও বাড়ছে।
জেলেনেস্কি আর পুতিন দুজনই স্বৈরতান্ত্রিক। একজনের দেহে ইহুদি রক্ত। আর একজনের ধমনীতে অবিভক্ত রাশিয়ার, কমিনিউনিস্ট জমানার চাপা, নৃশংস তরঙ্গ। আমেরিকার ইহুদি লবি জেলেনস্কির ভরসা। বাইডেন বাধ্যত্যামূলকভাবেই ইউক্রেনের পাশে রয়েছেন। ভাবা হয়েছিল, ন্যাটো ইউক্রেনকে যথাযথ সাহায্য করবে না। অনুমান ভুল। পূর্বতন অবস্থায় রাশিয়ার প্রত্যাবর্তন পশ্চিম মেনে নেবে না। সবদিক থেকে চাপে রাখবে। চিন–রুশ সমঝোতা ইউরোপীয় অনুকূল নয়। রাশিয়া বরাবর পশ্চিম এশিয়ায় ছিল। গত কয়েকবছরে, আরব উপসারগীয় দেশগুলিতে ইরান থেকে সিরিয়া–ইরাক পর্যন্ত মস্কোর প্রভাব বেড়েছে। যুদ্ধরত অবস্থা সত্ত্বেও পুতিনের রাশিয়া পশ্চিম এশিয়ার অভ্যন্তরীন সমস্যা থেকে দূরে সরে দাঁড়ায়নি। পাশে চিনকেও দেখতে পাচ্ছে। সৌদি আরবের মতো কট্টর কমিউনিস্টবিরোধী রাজশক্তির চিন নীতিতে পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতেও জো বাইডেনের আমেরিকা আরব দেশগুলিকে যথা সম্ভব পাশে পেতে চাইছে। বাইডেন পশ্চিম এশিয়া সফর করেছেন। তাঁর সফরকে পুরোপুরি সফল বলা যাবে না। অর্থনৈতিক মন্দা, অভ্যন্তরীন অসন্তোষ আমেরিকার যত বাড়বে, ততই তার বিদেশনীতি পশ্চিমমুখী উগ্ররূপ ধারণ করে মস্কো বিরোধিতায় আরও জোরে বাজতে থাকবে।
ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি বন্ধন কখনও ছিন্ন হয়নি। পঞ্চাশের দশক থেকে একই গতিতে ছুটছে। ৭১–এ বাংলাদেশের মুক্তযুদ্ধ, ১৯৭৫–এ ইন্দিরার জরুরি অবস্থা, ৭৭ সাল থেকে কংগ্রেসের ক্ষমতাচ্যুতি এবং কয়েকবার আবার ক্ষমতায় ফিরে আসা, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় বিজেপি–র অভ্যুত্থান, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ঘরোয়া নীতি বদল– এরকম কোনো পরিস্থিতিতেই রাশিয়া ভারতের আভন্তরীন সমস্যায় নাক গলায়নি। দূরত্ব তৈরি করেনি দিল্লির সঙ্গে। কাশ্মীর সমস্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। কাশ্মীরে ৩৭৩ ধারা বাতিল করার বিষয়টিকেও এড়িয়ে গেছে সতর্কতার সঙ্গে। এসব ক্ষেত্রে আমেরিকার অবস্থান থেকে রাশিয়া র দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র।
রাষ্ট্রসঙ্ঘে কিংবা আন্তর্জাতিক মঞ্চে, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান গনভোটের দাবি তুলেছে বহুবার, কিন্তু রাশিয়া সায় দেয়নি। গনভোটের প্রশ্নে কাশ্মীর ইস্যুতে চিন পাকিস্তানের সমর্থক। বেইজিং মনে করে, ভারত গায়ের জোরে কাশ্মীর দখল করে রেখেছে। রাশিয়া তা মনে করে না। পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে চিনের মাথাব্যাথা আছে। রাশিয়ার নেই। অনুর্বর লাদাখ, অধিকৃত কাশ্মীর, ভারতেরই মানচিত্রে অন্তর্ভূক্ত হওয়া উচিত, এটাই মস্কোর কখনও ঘোষিত, কখনও অঘোষিত মনোভাব। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত, কাশ্মীর নিয়ে গনভোটে ভারত সোচ্চার ছিল, তখন রাশিয়া তার সমর্থক। আবার, ষাট দশক থেকে পাকিস্তান গনভোটের দাবিদার হয়ে উঠলে, রাশিয়ার কন্ঠেও অনুরূপ আওয়াজ ধ্বনিত হল না। কাশ্মীরিরা কী চায়, কোনদিকে যেতে চায়, কেন আজাদির স্লোগান তুলছে, তা মস্কো খতিয়ে দেখেনি। দিল্লির কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলেছে, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এ ব্যাপারে, পশ্চিম এশিয়ার আরব–অনারব দেশগুলির অবস্থানও ইদানিং সমরূপ। দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মনোভাবও একই রকম।
ইউক্রেন নিয়ে ঢাকা নীরব। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া চিন্তিত নয়। পূর্ব এশিয়ার জাপান যথাসম্ভব সরব। নিঃশব্দ নয় অস্ট্রেলিয়া। মোদ্দা কথা, রুশ–ইউক্রেন যুদ্ধ পূর্ব–পশ্চিমের মধ্যে স্পষ্ট বিভাজন রেখা এঁকে দিয়েছে। ভারত–চিনসহ বড়ো বড়ো দেশগুলিই নয় শুধু, ছোট ছোট রাষ্ট্রই পুতিনের আগ্রাসন নীতিতে সতর্ক নীরবতা অবলম্বন করছে। পশ্চিমের বড়োশক্তি, ছোটশক্তিও একইভাবে আমেরিকার দিকে তাকিয়ে আছে। পশ্চিমের সংবাদমাধ্যম, স্বাভাবিক কায়দা মেনেই পুতিনের নিন্দায় সরব। তারা যুদ্ধের একপেশে ছবি তুলে ধরছে এবং পুতিন যে কতবড়ো যুদ্ধবাজ , সেকথাই লাগাতার বলে যাচ্ছে।
পুতিন সুবিধার লোক নন, স্বল্পভাষী। আচমকা সিদ্ধান্ত গ্রহনের অভ্যাস নেই। ভেবেচিন্তে ঝুঁকি নেন। রুশ কমিউনিস্টদের সবগুন রয়েছে তাঁর। কিন্তু কেবল যুদ্ধবাজ, স্বেচ্ছাচারী হিসেবে তাঁর ছবি আঁকছে পশ্চিমি প্রোপাগান্ডা, তা কি সর্বাংশে সত্য ? সত্য হলে, রুশ জনগন তাঁকে ছুঁড়ে ফেলত। পুতিনের সামাজিক ভিত্তি দুর্বল নয়। বজ্রমুষ্টি শক্ত। এ কারনেই রুশ সংসদে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকার বিল পাশ করিয়ে নিতে তাঁর অসুবিধা হয়নি। ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকায় গনভোটের সিদ্ধান্তেও সামাজিক সমর্থনের ঘাটতি নেই। গায়ের জোরে, গনভোটে মস্কোর জয় অবশ্যম্ভাবী। এই জয় দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করতে পারে, রুশ গর্ববোধের হাওয়ার জোর বৃদ্ধির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অর্থাৎ নাৎসিদের ধাঁচে পূর্ব ইউরোপ জুড়ে ভয়ঙ্কর অপশক্তি ঝাঁপিয়ে পড়ে স্থায়ী যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, এরকম দুঃস্বপ্ন অমূলক নয়। কিন্তু এজন্য আমেরিকা, ন্যাটোর কোনো দায় নেই, বদ ইচ্ছা নেই, একথা বলা আর ভাবা অন্যায়। ক্ষমতামত্ত দুই হাতির লড়াইয়ে পূর্ব ইউরোপ, বিশেষ করে চূড়ান্ত দুর্ভাগ্যের শিকার হবে ইউক্রেন, বাড়বে পূর্বমুখী, পশ্চিমমুখী শরণার্থীর স্রোত।
গনভোট সমস্যার সমাধান নেই। সমাধানের একমাত্র পথ স্থায়ী যুদ্ধের অবসান। পুতিনের ক্ষমতামত্ততা শেষ পর্যন্ত টিকবে না। তাঁর নৈতিক পরাজয় সম্মুখে। একথা আঁচ করেই ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকায় গনভোটের মাধ্যমে সংযুকতিকরণ–সুত্র (অ্যানেকসান থিওরি) চাপিয়ে দিতে চাইছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে, যুদ্ধক্লান্ত, আপাত বিপর্যস্ত রাশিয়া কি মেনে নেবে ? ভয়ে বিপুল জনমত চুপ থাকবে, আর সুযোগ পেলেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়বে। তার লক্ষণ এখনই ফুটে উঠছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে কেবল রাশিয়ায় নয়, বিশ্বের নানা দেশে। জ্বালানির রপ্তানি কমছে। মস্কোর অভ্যন্তরীন সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে পশ্চিমী দেশগুলি পূর্ব ইউরোপে, ইউক্রেনের অনাধিকৃত এলাকায় অস্ত্র সরবরাহ বাড়িয়ে তুলবে। ঘরে বাইরে বিরুদ্ধ জনমতের বিস্তার লক্ষ্য করেই ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকাকে রুশ মানচিত্রের সঙ্গে জুড়ে দিতে পুতিন মরিয়া। তার এই সিদ্ধান্ত ভুল। আত্মঘাতী। ঠিক তেমনি ইউক্রেনে ন্যাটোর অস্ত্র সংযোগও আর এক দুঃস্বপ্ন ডেকে আনবে।
ভারতের মতো যে সব দেশ আলোচনার টেবিলে যুদ্ধের অবসান দাবি করছে, তাদের প্রভাব সীমিত। তারা সেনা পাঠাবে না। ভারসাম্য বজায় রাখবে। চিনের মতো প্রতাপমত্ত কৌশলী রাষ্ট্রও চুপচাপ পরিস্থিতি দেখে যাবে। বানিজ্য বৃদ্ধির ফায়দা খুঁজবে। যেমন পূর্বে, তেমনি পশ্চিমে। চিন নিজ দেশে রেজিমেন্টেশনে বিশ্বাসী। পরদেশে গনতন্ত্র বা সমাজতন্ত্রের বিস্তারে তার আগ্রহ নেই। অভিপ্রায় পরিস্কার, বিশ্বজুড়ে আর্থিক ক্ষমতাবৃদ্ধি। বেইজিংয়ের চোখ এখন পশ্চিম এশিয়ায়। আফ্রিকায়। পূর্বের দেশগুলিতেও। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে প্রবল বিরোধী থাকা সত্ত্বেও, ভারতের বাজারে দুর্লভ নয় তার পন্য। পূর্ব ইউরোপেও একই অবস্থা। দেশের ভেতরে সে কট্টর, সঙ্ঘবদ্ধ, সমাজতান্ত্রিক। বাইরে সহায়কের ছদ্মবেশে জবরদস্ত পন্য বিক্রেতা। এই পরস্পরবিরোধী নীতিতে গত শতাব্দীর প্রায় ৭০ দশক থেকে অভ্যস্ত তার জনসত্তা। উৎপাদনের নিষ্ঠয় একাগ্র আর গনকন্ঠে অবদমনে প্রায় নৃশংস। আমেরিকার অবস্থানও খানিকটা স্বতন্ত্র। ভেতরে গনতান্ত্রিক। বাইরে কোথাও গনতন্ত্রের সমর্থক। কোথাও রাজতন্ত্রের, সামরিক শাসনের বন্ধু। চিন ও আমেরিকা দুটি দেশই বানিজ্যিক অর্থনীতির উপাসক। উভয় রাষ্ট্রের লক্ষ্য এখানে আলাদা হলেও মূলত অভিন্ন। আগে পুঁজি, পরে নীতিতন্ত্র। বৃহত্তর রাশিয়া এ পথে পা বাড়ায়নি। ব্যস্ত ছিল সমরাস্ত্র উৎপাদনে, কূটনৈতিক সম্পর্ককে অবলম্বন করে প্রভাব বাড়াতে। অতিরিক্ত অস্ত্র উৎপাদন আর বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর কন্ঠরোধ এবং বিদেশে সমাজতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ তার পতন ডেকে আনল। গর্বাচভের গ্লাসনস্ত ও পেরস্ত্রৈকাও বৃহত্তর রাশিয়ার বহু বিভক্তির অন্যতম কারন। গর্বাচভ পশ্চিমের নজরে শান্তির অবতার হয়ে বেঁচে থাকবেন। কিন্তু রুশ ইতিহাস তাঁকে এভাবে দেখবে না। বৃহত্তর দেশ ভাঙার কারিগর হিসেবে চিহ্নিত করবে। শাসকের শিথিল হাত আর বজ্রমুষ্ঠি দুই–ই দেশের অমঙ্গল ডেকে আনে। গর্বাচভের অদূরদর্শিতায় পূর্বতন সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙে পড়ল, টুকরো টুকরো হয়ে গেল। এবার পুতিনের বাধ্যতামূলক আগ্রাসন আর গায়ের জোরে ইউক্রেনে গনভোট চাপিয়ে দেওয়ার পরিনতি দেখতে হবে রুশ জনগনকে। নির্মম, আশু পরিস্থিতি। ইউক্রেনের একাংশে স্থায়ী যুদ্ধের স্বাধীনতার চিৎকার শুনতে, রক্তক্ষয় দেখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হবে বিশ্বকে। সামরিক বুটের মশমশে চাপা পড়বে যৌথ ক্রন্দন। পারিবারিক ভাঙন। দুনিয়ার মানচিত্রে তৈরি হবে আরও একটি কাশ্মীর, আরও একটি ফিলিস্তিন। গনভোট বড় অসূয়া। দুর্যোগ ডেকে আনে। সমষ্টির লক্ষ্য আর স্বপ্নকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। গনমনের স্বাধীনতার লাশের ওপর প্রশ্রয় দেয় রক্তখেকো তান্ডবকে।
❤ Support Us