- প্রচ্ছদ রচনা
- ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
ডোনেৎস্ক-লুহানস্ককে স্বাধীন ঘোষণা রাশিয়ার, ইউক্রেন উত্তেজনা নিয়ে জরুরি বৈঠক রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে।

চরমে পৌঁছে গেল রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট। আমেরিকা-সহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির কথা উপেক্ষা করেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের দুই রুশপন্থী অঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার রাতের ভাষণে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অবিলম্বে দোনেৎস্ক এবং লুগানস্কের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।’
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যে কথা বলে নিয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসকে জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতিক কারণেই এই দেশগুলিকে জানানো হয়েছে বলে খবর।স্বাভাবিক কারণে রাশিয়ার এই মনোভাব নতুন করে যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। একদিকে ক্রিমিয়া রয়েছে রাশিয়ার দখলে। এর পর এই দুই অংশও যদি ইউক্রেন থেকে আলাদা হয়ে যায়, তাহলে তার শক্তি আরও কমবে।
এই পরিস্থিতিতে যদি এই দুই অংশ দেশের মধ্যেই রাখতে হয়, তাহলে যুদ্ধে অংশ নিতে হবে ইউক্রেনকে। না হলে কথা না বলে এই দুই অংশ ছেড়ে দিতে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে ইউক্রেনের তরফ থেকে তেমন কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া মেলেনি।পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি।
রুশ প্রেসিডেন্টের এহেন পদক্ষেপের ফলে কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপের ফলে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাত শুরু হতে পারে রাশিয়ার। ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে বলেই খবর। এদিকে, এই ঘোষণার পরই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা ওই দুই প্রদেশের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে ঘোষণা করেছে আমেরিকা। একইসঙ্গে, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার জন্য মস্কোকে চোখরাঙাচ্ছে হোয়াইট হাউস।
এদিকে, ইউক্রেন নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেখানে আমেরিকার প্রতিনিধি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগে সরব হয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করার জন্য আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব। আমাদের এবং মিত্র দেশগুলির কাছে পরিস্থিতি খুব স্পষ্ট। ইউক্রেনে যদি রাশিয়া আরও আগ্রাসন চালায় তাহলে আমরা প্রবল জবাব দেব।’ পালটা রুশ প্রতিনিধির জবাব, দোনবাস অঞ্চলে রক্তপাত মেনে নিতে পারে না রাশিয়া। এই বিষয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক ভূমিকা পালন করছে পশ্চিমের দেশগুলি।
পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় উদ্বিগ্ন ভারত। ইউক্রেন থেকে প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়ার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে নয়াদিল্লি। এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেছেন, ‘ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন ভারতের কাছে সবচেয়ে জরুরি কাজ।’ শুধু তাই নয়, বৈঠকে রাশিয়া ও ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে মত দিয়েছে নয়াদিল্লি।
❤ Support Us