- দে । শ
- আগস্ট ৯, ২০২৪
শহিদ দীনেশ মজুমদার স্মৃতি রক্ষা কমিটি গঠিত হল বসিরহাটে

শহিদ দীনেশ মজুমদার স্মৃতি রক্ষা কমিটি গঠিত হল বসিরহাটে। বসিরহাটবাসীর আবেগ যাঁকে ঘিরে তার স্মৃতি বিজড়িত স্থান সংরক্ষণ, মূর্তি সংস্কার, ও শহিদ দীনেশকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে চর্চার লক্ষ্যে কাজ করবে স্মৃতি রক্ষা কমিটি। আজ ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করে সভার আহ্বান করেন বসিরহাটের দীনেশ অনুরাগীরা। এই বিপ্লবীর জন্ম ১৯০৭ সালে ১৯ মে বসিরহাটের নিমতলায়।
ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফাঁসি হয় দীনেশ মজুমদার। অথচ আজ তিনি ক্রমশ বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৩০ সালের ২৫ আগস্ট ডালহৌসি স্কোয়ারে কলকাতার পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্টের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়েছিলেন। সঙ্গী ছিলেন অনুজাচরণ সেন। দীনেশের বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। হাতে ফেটে অনুজাচরণের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। গ্রেপ্তার দীনেশ মজুমদার। যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়। বন্দী অবস্থায় মেদিনীপুর জেল থেকে পালিয়ে দীনেশ ব্রিটিশ বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে থাকেন। ১৯৩৩ সালের ২২ মে কর্ণওয়ালিশ স্ট্রিটের বাড়ি থেকে আবার গ্রেফতার হন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে আরও ব্রিটিশ বিরোধী বিস্তর অভিযোগ। চার্লস টেগার্টকে হত্যার চেষ্টা, জেল ভেঙে পালানো, পুলিশ অফিসার মুকুন্দ ভট্টাচার্যকে লক্ষ্য করে গুলি, দীনেশের ঘর থেকে বোমা, গুলি উদ্ধার চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারকে হত্যার দায়ে ফাঁসির সাজা হয় দীনেশের। ১৯৩৪ সালে ৯ জুন ফাঁসি হয় দীনেশ মজুমদারের।
ইতিমধ্যে শহিদের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি প্রমোটারের হাতে চলে গেছে। বাড়ি লাগোয়া পুকুর ভরাট করা হয়েছে। শহরের বীর সন্তানের স্মৃতি রক্ষার উদাসীন, প্রশাসন পুরসভা। তাই এদিন শহিদ দীনেশ মজুমদার স্মৃতি রক্ষা কমিটি গঠিত হল । কালিদাস মজুমদার, চায়না মিত্র, নির্মল মন্ডল, গৌতম চক্রবর্তী, অঞ্জন মিত্র, অজয় বাইন, দেবাশিস চৌধুরি, অনুপম সাহা, তপন দে সজল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বসিরহাটের বীর সন্তানের স্মৃতি রক্ষায় আন্দোলনে নামবেন সভাপতি চায়না মিত্র, সম্পাদক অজয় বাইন। বিস্মৃত প্রায় শহিদকে তুলে ধরা হবে ছাত্র সমাজের মাঝে।
❤ Support Us