- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- এপ্রিল ২০, ২০২৩
বৈবাহিক সম্পর্ক কি শুধুই শারীরিক ? সমলিঙ্গ যাপনের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
ভারতে সমকামী সম্পর্ক বেআইনি নয়। কিন্তু সমলিঙ্গ বিবাহ এখনও দেশে স্বীকৃত হয়নি। আইনব্যবস্থার এ অন্তর্বিরোধ নিয়ে ইতিপূর্বে বহুবার সরব হয়েছেন এলজিবিটিকিউ আন্দোলনের সমর্থনকারীরা। এবার এ প্রসঙ্গ উঠল সুপ্রিম কোর্র্টে, দুজন মানুষের বিবাহের ক্ষেত্রে তাঁদের বিপরীত লিঙ্গ পরিচয় ভুক্ত হওয়া আদৌ আবশ্যক কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি সমলিঙ্গ বিবাহ প্রসঙ্গে বলেছেন, সম্পর্ক শুধু শারীরিক হয় না , ভাবাবেগের ও মানসিক স্থিরতার ভিত্তিতে অনেক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁর মতে, আইনি স্বীকৃতি দিতে হলে বিবাহের প্রচলিত সংজ্ঞায় বদল আনা প্রয়োজন। এখানে তিনি বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিপরীত লিঙ্গ পরিচয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন করেন।তিনি আরো বলেন, ১৯৫৪ সালে বিশেষ বিবাহ আইন যখন পাশ হয়েছিল সে সময় থেকে আজ পর্যন্ত এই ৬৯ বছরে সময়ের নিয়মে বিবাহ সংক্রান্ত প্রচুর আইন পাশ হয়েছে। সামাজিক ধ্যান ধারণাতে বদল এসেছে। তাই নতুন আইন আনতে হলে তাকে আজকের বাস্তব চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
শুনানি চলাকালে কেন্দ্রের আইনজীবী শিশুদের ওপর সমলিঙ্গ বিবাহের নেতিবাচক প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন। সে প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, বিপরীত লিঙ্গ পরিচয়ভুক্ত বাবা মা হলে বাচ্চারা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়? যে বাবা প্রতিরাতে মদ কেনার টাকা চেয়ে মাকে মারধর করে, সেরকম পরিবার থেকে থেকে সন্তানরা কোন সুশিক্ষা পেতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । তাঁর মতে, সময় পাল্টাচ্ছে। এখন এমন বহু দম্পতি আছেন যারা সন্তানহীন ভাবে জীবন কাটাচ্ছেন অথবা একটি কন্যাসন্তান নিয়ে সন্তুষ্ট আছেন। পুত্রসন্তান হতেই হবে এমন ধারণা আজকের দিনে অচল । নারী-পুরুষের চিরাচরিত সংজ্ঞা নিয়ে গতকাল নিজের যে পর্যবেক্ষণের কথা শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল আজও তারই পক্ষেই সম্প্রসারিত ব্যাখ্যা দেন বিচারপতি। যা সমপ্রেমের পক্ষে লড়াইকে আরো জোরদার করল।
❤ Support Us