- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- মে ৯, ২০২৪
জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে সাদা কাগজে সই, নয়া অভিযোগ সন্দেশখালির মহিলার

রান্নার কাজ করে টাকা মেলেনি, এই অভিযোগ জানাতে গিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ লেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল সন্দেশখালিতে । ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা, তাদের সঙ্গে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্ষণে অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাজানো অভিযোগ তুলে নিতে চাইছেন সন্দেশখালির মহিলার প্রশাসনের । সংবাদ মাধ্যমের সামনে এবার মুখ খুললেন সন্দেশখালি মাঝের পাড়ার বাসিন্দা ওই মহিলারা।
গঙ্গাধর কয়ালের গোপন ভিডিওর পর এবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে সন্দেশখালির এক মহিলার সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। তিনি পরিস্কার বলেন, পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি আমার শাশুড়িকে থানায় ডেকে নিয়ে যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের লোকজন এসেছেন বলে। আমার শাশুড়ির কাছে অভিযোগ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে আমার শাশুড়ির অভিযোগ ছিল রান্না করে টাকা পাইনি। তিনি থানায় গিয়ে সেই কথাই বলেছিলেন। মহিলা বলেন, আমার শাশুড়ির কাছে একটা সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। পরে জানতে পারি আমাদের দিয়ে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে । এই ঘটনায় উঠে আসছে বিজেপির স্থানীয় নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পির নাম। পরে সব জেনে পিয়ালির কাছে অভিযোগ তুলে নেওয়ার কথা বলতে গেলে পিয়ালি আমাদের কথায় কান দেয়নি। এরপর থেকে আমরা গ্রামে কার্যত একঘরে হয়ে আছি। আমাদের সঙ্গে কেউ ভালো করে কথা বলে না। মহিলা বলেন, আমরা খেটে খাই। এখন আমরা আমাদের সঙ্গে যেটা হয়নি সেই অভিযোগ তুলে নিতে চাই। আমাদের সঙ্গে যা ঘটেনি সেই মিথ্যা মামলা লড়ার মত সামর্থ নেই। আমরা খেটে খাই।’ এই সব মামলা লড়ার সামর্থ নেই। মামলা তুলে নিতে চাইলে পিয়ালি আমাদের গালিগালাজ করেছে।
মিতা মাইতির শাশুড়ি নিয়তি মাইতি আজ সন্ধ্যায় সন্দেশখালি থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি লিখেছেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার অপরাধে পিয়ালি দাস তাঁকে গালিগালিজ করেছে। প্রাণনাশের ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন, আমরা এখন এই মামলা থেকে নিস্কৃতি চাইছি। মিতার আত্মীয়া তপতি মাইতি বলেন, পিয়ালি এতদিন বাইরে ছিল। এখন এসে বিজেপি করছে আর আমাদের নামে মিথ্যা রটাচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খন্ডন করে পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পি বলেন, এটা নতুন এক চক্রান্ত। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর কাছে ফোন আসে থানায় জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা এসেছেন। তাঁদের স্থানীয় মানুষের ভাষা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে বলে আমাকে কয়েকজন মহিলা ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। সেই ফোনের কল রেকর্ড আছে। থানার ঘরে সিসি টিভি ফুটেজ দেখলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।
❤ Support Us