Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ৯, ২০২৩

কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করব না, রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ডেপুটেশন দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজ করব না, রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ডেপুটেশন দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ

রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করলে তারা পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে অংশগ্রহণ করবে না। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই দাবি সম্বলিত ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা চন্দন চ্যাটার্জি বৃহস্পতিবার এই কথা জানিয়েছেন। এদিকে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই দাবি শোনার পর বলেছেন, “এরা রাজ্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছেন।”

বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা আগামী ৮ জুলাই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন এই নির্বাচন এক দফাতেই হবে। সাংবাদিকরা এই সময় গত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভয়াবহতা বিষয়ে রাজীব সিনহাকে প্রশ্ন করে বলেন নির্বাচনে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হবে? উত্তরে রাজীব সিনহা জানান, “রাজ্য পুলিশেই তাদের আস্থা আছে।” অনলাইনে নমিনেশন জমা দেওয়া যাবে কিনা সেই প্রশ্ন করলেও রাজীব সিনহা বলেন, “এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এর পরই  রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট না হলে, ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করলে, তারা ভোটের ডিউটিতে যাবেন না।
এই প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা চন্দন চ্যাটার্জি সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, “২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি পরিস্থিতি হয়েছিল তা সবাই জানে। আমরা জীবন বাজি রেখে কেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজ করতে যাব?” রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই নেতা বলেন,  “রাজ্য পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার কি করে, কি ভাবে কাজ করে সেটা সবার জানা। এরপরেও দেখলাম রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আস্থা রাখলেন। তাই আমরা আমাদের দাবি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করলে আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজ করতে যাব না। ”

এদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, “রাজ্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলতেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এই সিদ্ধান্তে যাচ্ছে।”

এই প্রসঙ্গে চন্দন চ্যাটার্জিকে প্রশ্ন করলে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালে বিভিন্ন মানুষ চিকিৎসার জন্য হয়রান হচ্ছেন।চিকিৎসা পাচ্ছেন না। শান্তনু সেন রাজনীতি ছেড়ে ডাক্তারিতে মন দিন। তিনি তো সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীদের একদিন বিজেপি একদিন সিপিএম বানাচ্ছেন। উনি আগে নিজে ঠিক করুন কি বলতে চান কি করতে চান, তারপর আমাদের বলতে আসবেন। “


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!