শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিভ দখলে মরিয়া রাশিয়া৷ উপগ্রহ চিত্রেই তার প্রমাণ মিলল৷ স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কনভয় কিভের কাছাকাছি এসে পড়েছে৷ স্যাটেলাইট কোম্পানি ম্যাক্সার টেকনোলজি এ ছবি প্রকাশ করেছে। ভোরের আলো ফুটতেই দেশজুড়ে শোনা যাচ্ছে বিমান হামলার সতর্কীকরণ সাইরেন।
স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষন করে দেখা যাচ্ছে, স্থলবাহিনী এবং যুদ্ধ হেলিকপ্টার বেলারুশের দক্ষিনাঞ্চলে অবস্থান করছে, যেটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ২০ মাইলের কম দূরত্বে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী রাজধানী কিয়েভের উপর হামলা শুরু করেছে ।
এমতাবস্থায় অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে তারা ইউক্রেনে পঞ্চাশ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, ‘আমরা মিসাইল এবং গোলাবারুদের যোগান দিয়ে সাহায্য করব । ইউক্রেনের জনগন যাতে তাঁদের দেশকে রক্ষা করতে পারে। শুধু সামরিক সহায়তা নয় অস্ট্রেলিয়া মানবিক সহায়তার জন্য ৩৫মিলিয়ন অস্ট্রেলিয় ডলার দেবে।
গতকাল বেলারুশে টানা ৫ ঘণ্টা বৈঠক হয় ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে। দু’পক্ষই দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য রাজি হয়েছে বলে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক সূত্রের খবর। তবে বৈঠক শেষ হতেই ফের রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে খবর। কিয়েভ ও খারকভে আছড়ে পড়ছে মিসাইল ও গোলা। ধসে পড়ছে বাড়িঘর। দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। এহেন পরিস্থিতিতে ভয়ানক ‘ভ্যাকিউম বম্ব’ ব্যবহার করার দাবি চঞ্চল্য তৈরি করেছে । দিন ছয়েকের যুদ্ধ শেষেও কিয়েভ দখল করতে পারেনি পুতিন বাহিনী। ডেভিড বনাম গোলিয়াথের এই অসম লড়াই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনুঘটক হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। এহেন পরিস্থিতিতে এবার প্রকাশ্যে এসেছে এক হাড়হিম করা তথ্য। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অত্যন্ত ভয়ানক ‘ভ্যাকিউম বম্ব’ ব্যবহার করেছে রাশিয়া এ খবর ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার আমেরিকায় নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মারকারোভা মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারপরই তিনি অভিযোগ করেন, ইউক্রেনে একটি ভ্যাকিউম বোমা ব্যবহার করেছে রাশিয়ার সেনা। মারকারোভার কথায়, ‘আজ ওরা (রাশিয়া) একটি ভ্যাকিউম বোমা ব্যবহার করেছে। ইউক্রেনের প্রচণ্ড ক্ষতি করতে চাইছে রাশিয়া।’
সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাকাম বম্ব আসলে একটি থারমোবেরিক বোমা। অর্থাৎ এই বোমা আশপাশের বাতাস থেকে সমস্ত অক্সিজেন শুষে নেয়। তারপরই ঘটে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। তৈরি হয় বিরাট অগ্নিগোলক। বিস্ফোরণে প্রচণ্ড উত্তাপের সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয় ভয়ংকর শক ওয়েভ। যার গতি এত তীব্র যে বাড়িঘর থেকে মানুষ সমস্ত কিছু মুহূর্তের মধ্যে খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ওই বোমার আঘাতে এতটাই উত্তাপ ও শক ওয়েভ তৈরি হয় যা একটি মানুষকে মুহূর্তে বাষ্পে পরিণত করে। ধ্বংস করার ক্ষমতার নিরিখে ভ্যাকিউম বোমার কাছে আর পাঁচটা সাধারণ বোমা শিশুমাত্র।
এদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইয়স ওয়াচ নামের দুই মানবাধিকার সংগঠনও দাবি করেছে, ইউক্রেনে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে রুশ ফৌজ। সাধারণত, বিমান থেকে ছোঁড়া হয় ক্লাস্টার বোমা। এমন একটি বোমার পেটের মধ্যে থাকে বেশ কয়েকটি ছোটো বোমা। বিমান থেকে ছোঁড়ার পর মূল বোমার পেট থেকে বেরিয়ে বিরাট এলাকায় ছড়িয়ে পরে বিস্ফোরকগুলি। স্টিলের টুকরোর আঘাতে মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় মানুষ থেকে বাড়িঘর। এহেন ভয়াবহ পরিণতির জন্য বহু দেশই মানবিকতার খাতিরে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে না। কিন্তু এবারের লড়াইয়ে রাশিয়া নাকি কোনও হাতিয়ার ব্যবহারেই পিছপা হচ্ছে না। তবে এই বিষয়ে এখন মুখ খোলেনি আমেরিকা। ভ্যাকিউম বোমা ব্যবহার করার কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি।
ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ এবং সেনা প্রত্যাহারের কথা বলেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু গত শুক্রবারের পর রবিবারও রাষ্ট্রপুঞ্জের জরুরি ভিত্তিতে ডাকা বিশেষ বৈঠকে যুদ্ধবিরোধী যে সঙ্কল্প প্রস্তাব দেওয়া হল, সেখানে নিজেদের বিরত রাখল ভারত। বেলারুশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের আলোচনাকে ভারত স্বাগত জানালেও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে ইউক্রেনের উপর সামরিক হামলার বিরোধী প্রস্তাবে অংশ নিল না নয়াদিল্লি। এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের সরাসরি কোনও নিন্দায় যায়নি ভারত। আবার ইউক্রেনেরও পাশে থেকেছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে ভারত পড়েছে আতান্তরে। এক দিকে পুরনো বন্ধু রাশিয়া। অন্য দিকে পশ্চিমের ‘নতুন বন্ধুরা’। এক পক্ষের হয়ে অবস্থান নিয়ে অন্য পক্ষকে চটাতে চাইছে না ভারত। তাই যুদ্ধ নয়, আলোচনার মধ্যে সমাধানের কথা বললেও রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আমেরিকার খসড়া প্রস্তাবে ভোটদান থেকে নিজেদের বিরত রাখে ভারত ।
ভারত বরাবরই যুদ্ধ চায় না । সেই নীতিকেই বিশ্ব মঞ্চেও তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিউদিল্লির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রমঞ্চে যুদ্ধ নয় বরং আলোচনায় সমস্যা সমাধানের কথাই তুলে ধরছেন ভারতের রাষ্ট্রদূত।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34