- এই মুহূর্তে
- মে ১৯, ২০২২
বাংলাদেশে সত্যম রায়চৌধুরী
গত কয়েকমাসের মধ্যে সত্যম বার কয়েক ঢাকা সফর করেছেন,নিজের সাংস্কৃতিক টিম নিয়ে যোগ দিয়েছেন পদ্মাতীরে, পদ্মাবক্ষেও।

সত্যম রায়চৌধুরীর ব্যক্তি-পরিচয়কে, তাঁর সামাজিক পরিচিতি ক্রমশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তির আড়ালে, কখনও নিভৃতে, কখনও সরব নম্র ভঙ্গিতে, দু দশক জুড়ে বিশ্ববাঙালির জাতিসত্তার কর্ম আর ধর্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর বহুমাত্রিকতা। ইদানীং, বিশেষ করে,করোনাপর্ব পেরিয়ে তাঁর দায়িত্বের আন্তর্জাতিকতা যে-ভাবে বাড়ছে, যে-ভাবে বাংলাদেশ, আমেরিকা ও ইউরোপ তাঁর সাংগঠনিক আর সাংস্কৃতিক মানচিত্রের পরিধিকে উঁচু করছে—আমাদের মুগ্ধতা আর বিস্ময়বোধকে নিরন্তর উদ্ধুদ্ধ করছে তা । সত্যম কেবল টেকনো ইন্ডিয়া আর সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণচঞ্চল, স্থিতধী স্থপতি নন, প্রতিবেশী বাংলাদেশেও অনুভূত হচ্ছে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃজনমুখর আর দ্রুত উদীয়মান উন্নয়নশীলতার সঙ্গে তাঁর সরাসরি সংযোগ, দুই বঙ্গের আরেক অপ্রতিরোধ্য সেতু হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশের জন্মলগ্না থেকেই বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব আর মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে আবেগিক সম্পর্কের বিন্যাস তৈরি হয় সত্যমের । শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় পর্বে তা আরও গাঢ়, আরও দাঢ্য চেহারা নিয়েছে। দুই দেশের বন্ধুত্ব, শিক্ষাপ্রসার আর সাংস্কৃতিক বিনিময়ে সত্যম রায়চৌধুরী এবং তাঁর নিকটাত্মীয় সামসুল আরেফিন যে-সব কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, নতুন প্রজন্ম আর ভবিষ্যতের বাঙালিকে ভাবিয়ে তুলবে তা। এক মহৎ আদর্শ, যা মূলত সৃজনশীল আর মানবসেবার অভিমুখ নিয়ে সম্মুখে বইছে, এর বাইরেও বহুমুখী, বহুত্ববাদী কর্মকাণ্ড উদ্বুদ্ধ করছে বাঙালির দুই রাজধানীর দুই সহযোগী সহোদরকে।
১৬ মে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার সঙ্গে সত্যম রায়চৌধুরী ।
গত কয়েকমাসের মধ্যে সত্যম বার কয়েক ঢাকা সফর করেছেন,নিজের সাংস্কৃতিক টিম নিয়ে যোগ দিয়েছেন পদ্মাতীরে, পদ্মাবক্ষেও। আরেফিনেরও কলকাতাময়তার, ব্যস্ততার শাখা-প্রশাখার রশ্মি মুগ্ধ করছে কলকাতাবাসীকে। সংস্কৃতি আর উন্নয়নের দুই কারিগরের হূদয়-ছোঁওয়া ভাবাবেগে মোহিত জনপ্রিয় ৩ নেত্রী—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা—বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুজিব কন্যা শেখ রেহানা। ১৬ মে, পারস্পরিক সম্পর্কের নির্মাণকে আরও বিস্তৃত, আরও সৃজনশীল করে তুলতে ঢাকায়, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনা ও হাসিনা সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে অন্তত ৩ ঘন্টা বৈঠক করেছেন সত্যম। এদিন আলোচনার প্রধান বিষয় গৌতম ঘোষের নির্মীয়মান প্রামাণ্যচিত্র ‘কলকাতায় মুজিব’। ইতিহাসের স্বপ্নময় বাস্তবকে তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হোক, এটাই দুই মুজিব কন্যার অভিপ্রায়। একে সাজিয়ে তুলতে ক্রমাগত প্রশস্ত, গুণমানঋদ্ধ চেহারা নিচ্ছে সত্যম-গৌতম আরেফিনের ঐকান্তিকতা। এরই মধ্যে বাংলাদেশের অভিজাত প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটের সঙ্গেও সম্পর্কসেতু তৈরি করেছে টেকনো-এস এন ইউ । নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বুয়েটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের পঠন-পাঠনে বিদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংযুক্তি সম্ভবত এই প্রথম। সত্যমের তৎপরতায় শেখ হাসিনার অনুমোদন, উপমহাদেশের শিক্ষাসূচির যৌথ উদ্যোগকে অবশ্যই উৎসাহিত করবে।
প্রবল ব্যস্ততা আর কিছু কিছু ঝুঁকিকে সাময়িকভাবে স্তব্ধ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাতৃপ্রতীম সত্যমের জন্য তাঁর হৃদয়ের বুলন্দ দরোজা খুলে দিয়েছেন, যা সব ধরনের তাৎক্ষণিকতাকে অতিক্রম করে প্রতিবেশীময় সৌহার্দের অপরিমেয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে ।সত্যমের সৃষ্টি আর বহুমুখী বিদ্যার অঙ্গনে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং সে অভিজ্ঞতার সংস্কৃতিকরণে সত্যম হয়তো দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হয়ে উঠবেন। যে উজ্জ্বলতার সূচনা আর রচনা ও আগামচিত্র প্রাণিত করছে আমাদের ।
❤ Support Us