- এই মুহূর্তে দে । শ
- এপ্রিল ২৫, ২০২৩
কর্ণাটকে ওবিসি মুসলিম সংরক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ।পরবর্তী শুনানি ভোটের পর

কর্ণাটকের বিজেপি সরকার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক মূহুর্তে ওবিসি মুসলিমদের ৪ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করে দিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার কর্ণাটক সরকারের সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিচারপতি বিভি নাগারথনাকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৯ মে পর্যন্ত ওবিসি মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যাবে না।
মুসলিম সংরক্ষণ বাতিলকে তুরুপের তাস করে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ‘ ধর্মীয় মেরুকরণের তাস’খেলছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। গত সপ্তাহে কর্নাটকের ভোটের প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে মুসলিমদের সংরক্ষণের সুবিধা দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা কংগ্রেসের ভুল শুধরে নিয়েছি।’’ যদিও ইতিহাস বলছে, ওবিসি মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১৯৯৪ সালে। তৎকালীন জনতা দলের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার আমলে। বিরোধীদের বক্তব্য, শুধু কর্ণাটকেই নয়। দলীয় স্বার্থ কায়েম করতে বিজেপি সবসময়ই ধর্মীয় মেরুকরণের তাস বিজেপি খেলতে অভ্যস্ত। কর্ণাটকেও সেই পথেই বিধানসভা ভোটের বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এটাই বিজেপির রাজনৈতিক এজেন্ডা।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ এই মামলার শুনানিতে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসর মুসলমানদের সুবিধা পাওয়ার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চ সেদিন বলেছিল, ‘‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বলা যায়, একেবারে ভুল ধারণার ভিত্তিতে কর্নাটক সরকার মুসলিমদের জন্য বরাদ্দ ৪ শতাংশ কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’
কর্নাটক সরকারের আইনজীবী তথা দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান, সমলিঙ্গে বিবাহ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে তিনি ব্যস্ত থাকায় মুসলিম সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই দুই বিচারপতির বেঞ্চ শুনানি পিছিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে।
❤ Support Us