- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩
“এই ঘটনা রাজ্যের বিবেককে ধাক্কা দেয়”, উত্তরপ্রদেশে স্কুল ছাত্রকে থাপ্পড় মারার মামলায় শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ

উত্তরপ্রদেশের স্কুলে ৭ বছরের ছাত্রকে অন্য ছাত্রদের নির্দেশে বারবার থাপ্পড় মারার অভিযোগ সত্য হলে, এটি রাজ্যের বিবেককে ধাক্কা দেবে বলে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট সোমবার নির্দেশ দিয়েছে যে এই মামলার তদন্ত পর্যবেক্ষণের জন্য একজন সিনিয়র আইপিএস অফিসারকে নিয়োগ করতে হবে। উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরে স্কুলের এক মহিলা শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল। স্কুলে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে “গুরুতর এবং উদ্বেগজনক” বলে অভিহিত করে শীর্ষ আদালত বলেছে যে এটা জীবনের অধিকারের বিষয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয়েছিল, যা সমাজে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি কম বয়সী ছাত্র দাঁড়িয়ে কাঁদছে আর তার সহপাঠীরা পালা করে তাকে চড় মার্চে। ওই ভিডিওতে ওই শিক্ষিকা ছাত্রটিকে আরও জোরে থাপ্পড় মারতে বলছে বাকি ছাত্রদের, এটাও স্পষ্ট শোনা গেছে। শীর্ষ আদালত এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কোনও পেশাদার পরামর্শদাতাদের দ্বারা আক্রান্ত এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য ছাত্রদের কাউন্সেলিং করার নির্দেশ দিয়েছে।
শীর্ষ আদালত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এই বিষয়টি স্থগিত করেছে এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে এই ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার নির্দেশ কার্যকর করার সম্পর্কে একটি সম্মতিসূচক রিপোর্ট দাখিল করতে এবং ভুক্তভোগী শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট এফআইআর-এর বিষয়বস্তু নিয়ে গুরুতর একটি আপত্তিও রেকর্ড করেছে, যাতে শিশুর বাবার অভিযোগ উল্লেখ নেই বলে বলা হয়েছে নেই। আক্রান্ত শিশুটির বাবা এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন যাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে তাঁর ধর্মের কারণেই তাঁর ছেলেকে মারধর করা হয়েছিল, কিন্তু এফআইআর-এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি বলেই আদালত জানিয়েছে। এই মামলায় শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্কুল শিক্ষার বিষয়টি একটি নির্দিষ্ট মান সম্পন্ন শিক্ষার বিষয়, যার মধ্যে সংবেদনশীল শিক্ষাও রয়েছে। আদালত বলেছে যে এই বিষয়গুলো উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার অধিকার আইনের বিধানগুলি মেনে চলার ব্যর্থতার একটি মামলা, যা মানসম্মত শিক্ষা বিনামূল্যে প্রদানের সাথে সম্পর্কিত, যেখানে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের বাধ্যতামূলক শিক্ষা, বর্ণ, ধর্ম বা লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনও বৈষম্য ছাড়াই দেওয়া হবে বলে সরকারি নিয়ম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মামলার দ্রুত তদন্ত চেয়ে মহাত্মা গান্ধির প্রপৌত্র তুষার গান্ধির দায়ের করা আবেদনের শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। উত্তরপ্রদেশ সরকার দাবি করেছে যে মামলার সাম্প্রদায়িক দিকটি অতিরঞ্জিত করা হয়েছে।
❤ Support Us