- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ১০, ২০২৪
সুপ্রিম ছাড় কেজরিওয়ালকে, ১জুন পর্যন্ত জামিনের আবেদন মঞ্জুর।দারুন খুশি মমতা। উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস

নির্বাচনী আবহে সুপ্রিম কোর্টে বড় রকমের ছাড় পেল আম আদমি পার্টি। অবশেষে নির্বাচনী আবহে, অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। ১ জুন পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ থাকবে।
২৫ মে দিল্লির সাত আসনে নির্বাচন। লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তাঁর আবেদনে সম্মতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ মৌখিক নির্দেশে জানিয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে , ২ জুন কেজরিওয়ালকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ইডির আইনজীবী দাবি করেছেন , অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের কিছু শর্ত রাখা হোক। কিন্তু বিচারপতিরা তাতে মান্যতা দেননি। ইডির আইনজীবী নির্বাচনের মধ্যে কেজরিওয়ালের মুক্তির পিছনে কোনো যুক্তিসম্মত কারণ পাচ্ছেন না।
I am very happy to see that Shri Arvind Kejriwal @ArvindKejriwal has got interim bail. It will be very helpful in the context of the current elections.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 10, 2024
কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে আনন্দ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি জানিয়েছেন,’ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনে আমি খুব খুশি। এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে খুবই কার্যকর।’ শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। বলেছেন, আশা করছি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও যথাযথ ন্যায়বিচার পাবেন।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘দু’টো বিষয়কে সমান্তরাল করার চেষ্টা করব না। মার্চে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে, যা আগে বা পরে করা হতে পারত। আরো ২১ দিন পরে সেটা হলে কোনো ক্ষতি হতনা। ২ জুন কেজরিওয়াল আত্মসমর্পণ করবেন।’
কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির আবেদন ছিল অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ ৫ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হোক।
ইডির আইনজীবী তুষার মেহতা বলেছেন, যেহেতু কেজরিওয়াল আগামী ২জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন, তাই এখনই এই মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়।
শোনা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে এবার কেজরিওয়ালের আইনজীবী দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হবেন । সেখানে কাঙ্ক্ষিত নির্দেশ তৈরির পর তা তিহাড় কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে তাঁকে তাকিয়ে থাকতে হবে দায়রা আদালতের নির্দেশের ওপর।
❤ Support Us