Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জানুয়ারি ৩, ২০২৪

সাসপেনশন মামলায় রেহাই পেলেন না মহুয়া মৈত্র, পরবর্তী শুনানি মার্চে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সাসপেনশন মামলায় রেহাই পেলেন না মহুয়া মৈত্র, পরবর্তী শুনানি মার্চে

সুপ্রিম কোর্ট বুধবার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অস্বীকার করেছে। তবে সাংসদ পদ বাতিল নিয়ে মহুয়া মৈত্রর করা মামলায় লোকসভা সচিবালয়কে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ কেন বাতিল হল জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ৩ সপ্তাহের মধ্যে সচিবালয়কে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি মার্চের ১১ তারিখের পর।

লোকসভায় টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। এথিক্স কমিটির প্রস্তাব মেনে তৃণমূলের সাংসদকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। এমনকী মহুয়া মৈত্রকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। এর পরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মহুয়া মৈত্র। গত মাসে এই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান বহিস্কৃত তৃণমূল সাংসদ। তবে সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। বুধবার ওই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে।

বুধবার শীর্ষ আদালতে লোকসভার সচিবালয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, সংসদের কার্যপ্রণালী স্পিকারের অধীনস্থ। তাতে বিচারবিভাগ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাতে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এ বিষয়ে আমরা কোনওরকম মন্তব্য করব না। সংসদের কাজে বিচারবিভাগ কতটা হস্তক্ষেপ করতে পারে সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এরপরই সংসদের সচিবালয়-সহ সব পক্ষকে নোটিস পাঠানো হয়। ৩ সপ্তাহের মধ্যে সব পক্ষকে জবাব দিতে হবে। তবে মহুয়াকে ততদিন সংসদের কার্যপ্রণালীতে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

একই সঙ্গে এদিন বাংলো ফিরে পাওয়ারও দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। সেটা নিয়ে অবশ্য কোনওরকম স্বস্তি তিনি পাননি। আদালত জানিয়েছে, বাংলো সংক্রান্ত পৃথক একটি মামলা চলছে। তাই এখানে এটা নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

তবে সুপ্রিম কোর্ট তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রের সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে বহিষ্কারের বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা একটি আবেদনে লোকসভা সচিবালয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে। তবে এই আবেদনে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন রেহাই দিতে অস্বীকার করে, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ লোকসভার মহাসচিবের কাছ থেকে এই সাসপেনশনের জবাব চেয়েছে, আগামী ১১ মার্চ, ২০২৪ সালের শুরু হওয়া সপ্তাহে মৈত্রর আবেদনের শুনানি তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সংসদে সরকারের সমালোচনামূলক প্রশ্ন করার বিনিময়ে ব্যবসায়ী হিরানন্দানির কাছ থেকে ২ কোটি টাকা   নগদ এবং উপহার সামগ্রী সহ ঘুষ নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সংসদীয় ওয়েবসাইটে একটি গোপনীয় অ্যাকাউন্টে লগ-ইন শংসাপত্র সমর্পণের অভিযোগও আনা হয়েছিল, বলা হয়েছিল এই কারণেই ব্যবসায়ী হিরানন্দানি সরাসরি সেই প্রশ্নগুলি পোস্ট করতে পেরেছেন।

মহুয়া মৈত্রর তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই ঘুষের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কিন্তু লগ-ইন শেয়ার করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে এই বিবরণগুলি ভাগ করে নেওয়া এমপিদের সাধারণ অভ্যাসের মধ্যে পরে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!