- এই মুহূর্তে দে । শ
- মার্চ ২, ২০২৩
সুপ্রিম নির্দেশে আদানি-হিণ্ডেনবার্গ শেয়ার দুর্নীতির তদন্তে সেবি। সময়সীমা ২মাস
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানি পরিচালিত আদানি গ্রুপের সংস্থাগুলির আর্থিক কুকীর্তি সম্পর্কে জানাজানি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে। তদন্ত সম্পূর্ণ করতে বৃহস্পতিবার সিকিওরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া অথবা সেবিকে দু’মাস সময় দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃ্ত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ সেবি-র তদন্ত শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দিলেন।
সিকিওরিটি কন্ট্রাক্ট রেগুলেশন রুলসের ১৯ (এ) ধারা আদানিরা লঙ্ঘন করেছে কিনা তদন্তে তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও খতিযে দেখতে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক কারচুপি সম্পর্কিত অভিযোগও। প্রসঙ্গত, শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে এদিন অন্য দুই বিচারপতি হিসেবে ছিলেন পি এস নরসীমা এবং জে বি পারদিওয়ালা।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শীর্ষ আদালতে প্রাক্তন বিচারপতি এ এম সাপরের নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করে দিয়েছে। ওই কমিটিতে থাকছেন স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও পি ভাট, বম্বে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জে পি দেভাধর, ইনফোসিসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে ভি কামাথ-সহ সর্বমোট ছয়জন। এই বিশেষজ্ঞ কমিটির হাতে সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে পরিস্থিতি পর্যালোচনার ভার তুলে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেবির পাশাপাশি কমিটিকে আগামী দু’মাসের ভিতর রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। এই কমিটিকে এও দেখতে হবে, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষিত করার জন্য শক্তিশালী রূপরেখা তৈরিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রাখার জন্য শীর্ষ আদালতে যাদের নাম প্রস্তাব হিসেবে পেশ করেছিল, পত্রপাঠ তা খারিজ করে শীর্ষ আদালত জানায়, কমিটিতে সদস্য হিসেবে কারা থাকবেন সেটা স্থির করবে শীর্ষ আদালতই। সব ধরনের স্বচ্ছতা যাতে বজায় থাকে, সেব্যাপারে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হবে। বলাবাহুল্য, কেন্দ্রের প্রস্তাব অনুসারে শীর্ষ আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করলে তা কার্যত সরকারি কমিটিতে পর্যবসিত হত।
এদিন শীর্ষ আদালতের পদক্ষেপের পরেই আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি একটি টুইট করেছেন। টুইটে তিনি বলেন, ‘আমরা শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। আদালত তদন্ত শেষের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রকৃত কারণ ধরা পড়বে। সত্যের জয় হবে’।
চাঞ্চল্যকর হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে্। এরপর স্টক মার্কেটের তালিকায় থাকা আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থার মার্কেট ক্যাপ কয়েক লক্ষ কোটি টাকা কমেছে।
❤ Support Us