- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
এলাহাবাদ হাইকোর্টের শাহি ইদগাহ মসজিদের সমীক্ষার রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ সর্বোচ্চ আদালতের
মথুরার কাটরা স্তুপ এলাকায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানের পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদীরা দাবি, ইদগাহের জমিতে কৃষ্ণের জন্মস্থানে ছিল প্রাচীন কেশবদাস মন্দির। কয়েকজন আইনজীবী ইদগাহকে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান হিসেবে দাবি করে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট আদালতের তত্ত্বাবধানে সমীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
হিন্দুত্ববাদীরা দাবি করেছিল, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজের কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের মতো মথুরার কেশব দাসের মন্দিরটিও ধ্বংস করেছিলেন। মন্দির ধ্বংস করে ১৬৬৯–১৬৭০ সালে শাহি ইদগাহ মসজিদটি তৈরি করা হয়েছিল। মসজিদটি। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, মসজিদের ১৩.৩৭ একর জমিই শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি। গতছর ১৩ মে এলাহাদবাদ হাইকোর্টে মামলা করেন নারায়ণী সেনা নামের একটি সংগঠনের জাতীয় সভাপতি মণীশ যাদব। তাঁর বক্তব্য, শাহি ইদগাহ মসজিদের ভেতরে হিন্দু মন্দিরের প্রচুর নিদর্শন রয়েছে। সেগুলি নষ্ট করে ফেলার আগে ভিডিও সমীক্ষা করা প্রয়োজন।
আবেদনকারীরা প্রমাণ হিসাবে মসজিদের কিছু দেওয়ালে পদ্মের খোদাই ও সেইসাথে আকৃতিগুলি ‘শেষনাগ’–এর অনুরূপ হিন্দু পুরাণে সাপের দেবতা কথা তুলে ধরেন। তাঁদের যুক্তি, মসজিদটি মন্দিরের উপর নির্মিত হয়েছিল। এরপর এলাহাবাদ হাইকোর্টে তাঁরা সেখানে জমি মাপজোক এবং বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার দাবি তুলেছিলেন। যার বিরোধিতা করেছিল মুসলিম পক্ষ। জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদের জেরেই গত ডিসেম্বরে সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল।
❤ Support Us