Advertisement
  • দে । শ
  • অক্টোবর ১৬, ২০২৪

সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের কাছে তথ্য চাইল দেশের সর্বোচ্চ আদালত

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের কাছে তথ্য চাইল দেশের সর্বোচ্চ আদালত

সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগের ব্যাপারে চাপে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য সরকারের কাছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগের সম্পর্কে তথ্য চাইল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা সংক্রান্ত এক স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানির সময় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার উপায় হিসাবে সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের প্রক্রিয়াটিকে অভিহিত করেছে। ফলে রাজ্য সরকারকে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ, পদ্ধতি, যোগ্যতা, যাচাইকরণ, তাদের কী ধরণের দায়িত্ব অর্পণ করা হয় এবং তাদের অর্থ প্রদানের জন্য কর্তৃপক্ষের আইনী উৎস সম্পর্কে বিশদ বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারকে আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, এই স্বেচ্ছাসেবকদের হাসপাতাল এবং স্কুলের মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানে যাতে পোস্টিং না দেওয়া হয়, তা  নিশ্চিত করা।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময়

শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছিল যে, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলেন এবং হাসপাতালের বিল্ডিংয়ে তার অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল। চিকিৎসক সমিতির পক্ষ থেকে শুনানিতে অংশ নেওয়া সিনিয়র আইনজীবী করুণা নন্দী সুপ্রিম কোর্টে জানান, হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘন করে রাজ্য সরকার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ দ্বিগুণ করেছে।

খুন হওয়া মহিলা চিকিৎসকের পক্ষে দাঁড়িয়ে আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার সুপ্রিম কোর্টে বলেন, মামলার প্রধান অভিযুক্ত পারিবারিক সহিংসতার ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও তাকে সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। শুনানির সময় প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী শীর্ষ আদালতকে বলেন, ‘‌কে এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করে, আমাদের জানতে হবে। আমাদের আরও জানা দরকার যে, এই ধরনের সিভিক ভলেন্টিয়াররা হাসপাতাল, স্কুলে কাজ করে কিনা।’‌ দ্বিবেদী আগে বেঞ্চকে জানিয়েছিলেন যে, হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীদের এখন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ অনুযায়ী নিয়োগ করা হচ্ছে, যা দেশের বাকি অংশের মতো।

শুনানির সময় ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সিবিআইয়ের প্রতিনিধিত্ব করে সংস্থার পঞ্চম স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে কলকাতা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্ত অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে, সিবিআই রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে সংস্থাটি তার চলমান তদন্তের অংশ হিসাবে অন্যান্য ব্যক্তির ভূমিকা তদন্ত করছে এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে আরও স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!