- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- এপ্রিল ৫, ২০২৩
কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহারের বিরোধী অভিযোগ খারিজ শীর্ষ আদালতে। আবেদনের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি
কেন্দ্রীয় এজেন্সির যথেচ্ছ ব্যবহারের বিরোধী অভিযোগের পাল্টায় আদালতে যাওয়ার কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।২৩ মার্চ বিরোধী দলের দলনেতা রাহুল গান্ধির সাংসদ প্রত্যাহারের পর দিনই দেশের ১৪ বিরোধী রাজনৈতিক দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।দেশের শীর্ষ আদালতে তার অভিযোগ জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের হেনস্থা করতে ব্যবহার করছে মোদি সরকার।সেই মামলার শুনানিতেই দেশের শীর্ষ আদালত এপ্রসঙ্গে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করলো।সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য বিরোধীদের একযোগে পেশ করা অভিযোগের মামলা চালানো সম্ভব নয়।উদাহরণের ভিত্তিতে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ উঠলে আদালত তার বিচার করবে। এর জেরে নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিল।
এদিন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পেশ করেছেন প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি আদালতে দাবি করেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বিরোধী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে সিবিআই এবং ইডির দায়ের করা মামলার সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েছে।এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে তথ্য ও পরিসংখ্যানও পেশ করেন প্রবীণ আইনজীবী সিঙ্ঘভি। তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েক দশকের তুলনায় গত সাত বছরে ইডির দায়ের করা মামলা ছয়গুণ বেড়েছে। অথচ মোটে ২৩ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। বাকি মামলাগুলি ঝুলে রয়েছে বছরের পর বছর ধরে বিচারাধীন থাকার ফলে। তিনি আরও বলেন, ইডি এবং সিবিআই গত কয়েক বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে, তার ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করা হয়েছে বিরোধী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে। এর ফলে এটা পরিষ্কার যে, বিরোধী দলের রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি মামলা দায়ের করে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাইছে। প্রসঙ্গত, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তরফেও লাগাতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
আইনজীবী সিঙ্ঘভির আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই আবেদনের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এ ধরনের আবেদন পেশ করার পেছনে বিরোধী রাজনীতিকদের তদন্তের হাত থেকে কার্যত রেহাই দেওয়ার উদ্দেশ্যে আছে কিনা সেটা দেখা দরকার। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে তদন্ত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা বিরোধী রাজনীতিকদের প্রাপ্য কিনা সেই প্রসঙ্গ তুলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, দেশের সাধারণ নাগরিকদের অধিকারের সঙ্গে এই আবেদনের কোনও যোগ নেই।
❤ Support Us