Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • এপ্রিল ২৬, ২০২৪

১০০ শতাংশ ইভিএম–ভিভিপিএটি যাচাইয়ের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
১০০ শতাংশ ইভিএম–ভিভিপিএটি যাচাইয়ের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

লোকসভা নির্বাচনে ভিভিপিএটি রেকর্ডের সাথে ইভিএম ডেটার ১০০ শতাংশ ক্রস–ভেরিফিকেশনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। ১৮ এপ্রিল মামলাগুলির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। দুই সদস্যের বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের কাছে কিছু প্রযুক্তিগত ব্যাখ্যা চেয়েছিল। ফলে ২৪ এপ্রিল সেগুলি আবার তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আজ এই রায় দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না আদালতে বলেন যে, ‘‌ব্যালট পেপার ভোটে ফিরে আসার আবেদন, সম্পূর্ণ ইভিএম–ভিভিপিএটি যাচাইকরণ, ভোটারদের ভিভিপিএটি স্লিপ দেওয়া (ব্যালট বাক্সে রাখার জন্য), নির্বাচন আচরণ বিধির ৪৯এ সম্পর্কিত। স্থানীয় প্রোটোকল, প্রযুক্তিগত দিক এবং সেইসাথে রেকর্ডে থাকা ডেটা উল্লেখ করার পরে আমরা সেগুলিকে প্রত্যাখ্যান করেছি।’‌
আদালত দুটি নির্দেশ জারি করেছে। (‌১)‌ ০১.‌০৫.‌২০২৪ তারিখ বা তার পরে গৃহীত ভিভিপিএটি–তে প্রতীক লোডিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, প্রতীক লোডিং ইউনিট  সিল করা হবে এবং বাক্সে সুরক্ষিত করা হবে। প্রার্থী বা তাঁদের প্রতিনিধিদের সিল স্বাক্ষর করতে হবে। ফলাফল ঘোষণার পর কমপক্ষে ৪৫ দিনের জন্য প্রতীক লোডিং ইউনিটসহ সিল করা বাক্সগুলি ইভিএম–সহ স্ট্রংরুমে রাখতে হবে। ইভিএমের ক্ষেত্রে যেভাবে হয়, সেগুলি খোলা এবং পরীক্ষা করা হবে এবং গননা করা হবে।
(২) যে ৫ শতাংশ ইভিএম–এ থাকা মেমরির সেমি–কন্ট্রোলার, অর্থাৎ কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট এবং  ভিভিপিএটি, প্রতি বিধানসভা কেন্দ্র বা সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার বিধানসভা কেন্দ্র, প্রকৌশলীদের একটি দল দ্বারা পরীক্ষা ও যাচাই করা হবে। ফলাফল ঘোষণার পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা কোনও প্রার্থীর কাছ থেকে কোনও কারচুপি বা পরিবর্তনের অভিযোগ এলে প্রার্থী বা তাঁদের প্রতিনিধিদের ভোটকেন্দ্র বা ক্রমিক নম্বর দ্বারা ইভিএম শনাক্ত করতে হবে। সমস্ত প্রার্থী এবং তাদের প্রতিনিধিদের যাচাইকরণের সময় উপস্থিত থাকার বিকল্প থাকবে।
ফলাফল ঘোষণার ৭ দিনের মধ্যে এই ধরনের আবেদন করতে হবে। জেলা নির্বাচন অফিসার, ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে পরামর্শ করে ইভিএমের মেমরি মাইক্রোকন্ট্রোলারের সত্যতা যাচাই করবেন। যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরে যাচাইকরণের জন্য প্রকৃত খরচ নির্বাচন কমিশন জানাবে। সেই খরচ আবেদন করা প্রার্থীকে দিতে হবে। ইভিএমে কারচুপির প্রমাণ পাওয়া গেলে খরচ ফেরত দেওয়া হবে। উপরোক্ত নির্দেশ ছাড়াও, ভিভিপিএটি স্লিপ গণনার জন্য একটি ইলেকট্রনিক মেশিন থাকতে পারে কিনা এবং প্রতীকের সাথে প্রতিটি দলের জন্য একটি বার কোড থাকতে পারে কিনা বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনকে তা দেখার পরামর্শ দিয়েছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!