Advertisement
  • Uncategorized দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • জুলাই ৮, ২০২৪

শী্র্ষ আদালত: পরীক্ষা বাতিল শেষ অস্ত্র, মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্র‌শ্ন ফাঁস সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ ।মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ জুলাই

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
শী্র্ষ আদালত: পরীক্ষা বাতিল শেষ অস্ত্র, মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্র‌শ্ন ফাঁস সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ ।মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ জুলাই

নিট পরীক্ষার যাবতীয় অনিময়ম নিয়ে বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা, কেন্দ্র এবং তদন্তকারী সংস্থাকে যাবতীয় তথ্য পেশের নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত । সেই সব তথ্য খতিয়ে দেখেই বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ।

দেশের মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় কারচুপি, প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সোমবারই একাধিক মামলার শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে , প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সহ তিন বিচারকের বেঞ্চে । এদিন নিট পরীক্ষা পুরোপুরো বাতিলের কোনো নির্দেশ দেয়নি আদালত । বিচারকদের বেঞ্চের তরফে এদিন বলা হয়, মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এই দুই পেশার ওপর আস্থাশীল দেশের বৃহদ অংশের মানুষ । সেই সংক্রান্ত পড়াশুনার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় বেনিয়ম কাঙ্খিত নয় ।

প্রায় ২৫ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী মেডিক্যাল পড়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছিল । প্র‌শ্ন ফাঁসের একাধিক অভিযোগ উঠেছিল এই পরীক্ষা ঘিরে । পরীক্ষার দিন প্রশ্নপত্র দেওয়ার ভুলে, পরীক্ষার্থীদের একাংশকে দেওয়া হয় গ্রেস মার্কও । পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় প্রবেশিকায় অবতীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৬৭জন ফুল মার্কস পেয়েছেন । অর্থাৎ ৭২০ এর মধ্যে ৭২০ পেয়েছেন । এপ্রসঙ্গে এদিনের শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ মামলাকারীদের উদ্দ্যেশে বলেন, অতিরিক্ত গ্রেস প্রাপকদের মধ্যে কজন সম্পূর্ণ নম্বর পেয়েছেন, পরীক্ষা বাতিলের আগে সেই তথ্য সামনে আসা দরকার । এরমধ্যে কজন লিক হওয়া পরীক্ষার প্র‌শ্ন পত্র দেখার অনৈতিক সুযোগ নিয়েছেন তাও স্পষ্ট হওয়া দরকার । পরীক্ষায় অবতীর্ণ বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই যে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করেছেন, তারও প্রমান দরকার ।

এদিন আদালতে শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেন, বেনিয়মের অভিযোগে সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল আদালতের কাছে শেষ অস্ত্র । দেশের ২৩ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত জড়িয়ে আছে এই পরীক্ষার সঙ্গে । ২৩ লক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের নতুন করে প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়ার নির্ধেসর সঙ্গে, তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি, খরচ, যাতায়াত, সর্বপরি মেডিক্যালে ভর্তি সংক্রান্ত গোটা প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটবে । এপ্রসঙ্গে পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে মামলাকারীদের একাংশ এদিন আদালতে বলেন, এছাড়া অন্য কোনো উপায় তো নেই ।

এরপরই আদালতের পক্ষে এদিন বলা হয়, তার আগে পরীক্ষায় অনিয়ম সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ, প্র‌শ্ন ফাঁসের পদ্ধতি, পরীক্ষার কতক্ষণ আগে, কোন কোন মাধ্যমে প্রবেশিকার প্র‌শ্ন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, দেশের মোট পরীক্ষার্থীর কতজন এই অনৈতিক পন্থা অবলম্বনের সুযোগ নিয়েছেন তা আদলতকে ১০ পাতার সংক্ষিপ্ত রিপোর্টের মাধ্যমে জানাতে হবে কেন্দ্র এবং পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থাকে । এদিন স্তরে স্তরে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্রস্তুতি পর্ব থেকে মুদ্রন এবং সবশেষে দেশে ও দেশের বাইরে প্রবেশিকার প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেওয়ার বিষয়, সে সঙ্গে এনিয়ে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা হয়, গোট বিষয়টাই সরকার পক্ষের আইনজীবীদের কাছে জানতে চায় আদালত । তথ্য যাচাই এর ফরেন্সিক টিম গড়ে, অনৈতিক পন্থা অবলম্বন যেসব পরীক্ষার্থীরা করেছে তাদের চিহ্নিত করা যায় কিনা, তাও রিপোর্টে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে ।

পাশাপাশি প্র‌শ্ন ফাঁসের যে তথ্য এসেছে, সে বিষয়ে তথ্য যাচাইয়ের জন্য দেশের একাধিক সাইবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নিযুক্ত করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার কথা বলা হয় আদালতের তর‌ফে । শুধু এবার নয়, ভবিষ্যতেও যাতে এসংক্রান্ত জটিলতা রদ করা যায়, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি এবং সতর্কতার কথাও বলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বধান বেঞ্চ । কোন কোন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রবেশিকার প্রশ্নপত্র গুলো লিক হয়েছিল, সে বিষয়ে নিটের কাছে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে আদালত । পাশাপাশি নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যদি হয়, সে ক্ষেত্রে কী পন্থা গ্রহণ করা হবে, সেই বিষয়েও কেন্দ্রকে পূর্ণঙ্গ রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!