- দে । শ
- অক্টোবর ৩০, ২০২৩
সিবিআই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে জেরা করতে পারবে, মিলল না শীর্ষ আদালতের রক্ষাকবচ
সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এবং ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে রক্ষাকবচ দিল না। প্রাথমিক নিয়োগ দু্র্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় গৌতম পাল এবং পার্থ কর্মকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সোমবার সেই আবেদনে সাড়া দিলেন না বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বেলা এম ত্রিবেদী।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট একটি উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণ এই আবেদনের ভিত্তিতে দিয়ে বলেছে, যদি তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতেই চান, তা হলে গ্রেফতারের আশঙ্কা করছেন কেন?
২০১৪ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র বা ওএমআরশিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল “এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি” নামের একটি সংস্থাকে। সেই সংস্থার কর্তা কৌশিক মাজিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এর পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে টেট পরীক্ষার খাতা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল।
ওই মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ওএমআর শিটের “ডিজিটাইজড ডেটা’য় অনেক ভুল রয়েছে। আদালতে ওএমআর শিটের তথ্য বলে যে নথি পেশ করা হয়েছে, তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ ওএমআর শিটের ডিজিটাইজড ডেটা বলতে যা বোঝায়, তা আসলে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পর্ষদ আদালতে যা পেশ করেছে তা টাইপ করা তথ্য। আর সেই তথ্যে প্রশ্ন-উত্তরের অনেক বিকল্পেও ভুল রয়েছে।
শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পর গৌতম পাল ও পার্থ কর্মকারকে বিচারপতি অভিজাত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশানুসারে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। আগামী শুক্রবার প্রয়োজনে এই আবেদনের শুনানি হতে পারে বলে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ।
❤ Support Us