- দে । শ
- জুলাই ১৩, ২০২৪
এসডিজি স্কোরে পাঁচ ধাপ উত্তরণ, লিঙ্গ সমতায় এখনো পিছিয়ে দেশ

রাষ্ট্রসঙ্ঘের উন্নয়ণ প্রোগ্রামের অন্তর্গত সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)-এ ভারতের স্কোর ৭১। ২০২০-২০২১ সালে এই স্কোর ছিল ৬৬। অর্থাৎ দারিদ্র্য দূরীকরণ, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভারত সামান্য উন্নতি করেছে। তবে ভারতের রাজ্যগুলির আভ্যন্তরীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখনও বেশ কিছুটা তারতম্য রয়েছে।
২০১৫ সাল থেকে জাতিসংঘের সদস্য ১৭ টি দেশ দ্বারা গৃহীত ও জনকল্যাণ ও জীবনযাত্রার মাপকাঠি নির্ণনায়ক এই এসডিজি।নীতি আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিহার ও ঝাড়খণ্ড রাজ্য ক্ষুধার মাপকাঠিতে যথাক্রমে ২৪ ও ২৮ স্কোর করেছে, যা যথেষ্ট কম। আবার বিহার ও ওড়িশা মানসম্মত শিক্ষার মাপকাঠিতে যথাক্রমে ৩২ ও ৪০ স্কোর করেছে।
এসডিজি ইন্ডিয়া সারণীতে ২০২৩-২০২৪ নীতি আয়োগ দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন, মন্ত্রকের জাতীয় সূচক ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত। ১১৩টি সূচকে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অগ্রগতি পরিমাপ ও ট্র্যাক করা হয়৷ এসডিজি ইন্ডিয়া ইনডেক্স প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য ১৬টি এসডিজি লক্ষ্য-ভিত্তিক স্কোর নির্ণয় করে।
এসডিজি ৭৯ স্কোর প্রাপ্তকারী রাজ্য উত্তরাখন্ড ও কেরালাকে ১৬টি লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শকারী সেরা রাজ্য হিসাবে স্থান দিয়েছে। বিহারকে ৫৭ স্কোর দিয়ে সবচেয়ে খারাপ পারফরমার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় পেয়েছে ৭৭ ।
নীতি আয়োগের সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন যে, ভারতের এসডিজি স্কোর ২০১৮ সালে ৫৭ থেকে ২০২৩-২০২৪ সালে ৭১-এ উন্নীত হয়েছে । তবে ব্যাপক বৈচিত্র রয়েছে। ২০২৪ সালে, তিনটি বা চারটি রাজ্য বাদে, এটি একটি দুর্দান্ত সুখবর আমাদের দেশের জন্য। ‘
সুব্রহ্মণ্যমের মতে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, উজ্জ্বলা স্কিম, স্বচ্ছ ভারত অভিযান, জন ধন যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত ইত্যাদির মতো সরকারি স্কিমের সহযোগিতায় মানুষের জীবনযাত্রার মান আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। তবে তাঁর মতে এখনও অনেক উন্নতি করা বাকি আছে।
নীতি আয়োগের সিইও বলেছেন, লিঙ্গ সমতার নিরিখে এখনও রাজ্যগুলির ফলাফল ভালো নয়। ফলে সেখানে এখনও নীতি আয়োগকে অনেক কাজ করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
রিপোর্ট অনুযায়ী ,২০১৮ সালের পর ২০২৩-২৪ সালে উত্তর প্রদেশের স্কোর ২৫, তার পিছনে রয়েছে জম্মু কাশ্মীর (২১), উত্তরাখণ্ড(১৯), সিকিম(১৮), হরিয়ানা(১৭),আসাম, পাঞ্জাব এবং ত্রিপুরা (তিন রাজ্যের স্কোর ১৬), মধ্যপ্রদেশ , ওড়িশা(১৫)। ২০২৪ সালে ৬৫ থেকে ৯৯ স্কোর করেছে ৩২ টি রাজ্য।
দারিদ্র্য দূরীকরণে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে তামিলনাড়ু, দাদরা নগর হাভেলি আর দিউ। তাদের স্কোর যথাক্রমে ৫৮ ও ৮৯। সবচেয়ে খারাপ ফল অরুণাচল প্রদেশ ও বিহারের । তাদের স্কোর ৫০ এর নিচে।সুব্রহ্মণ্যম বলেছেন, পর্যাপ্ত আহার না পেলেও মানুষ পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে।
নারীসুরক্ষা প্রসঙ্গে নাগাল্যান্ড ও লাক্ষাদ্বীপ সবচেয়ে ভালো স্কোর করেছে।লক্ষ্য ১০-এ বিস্তৃত বৈচিত্র্য রয়েছে যা শুধুমাত্র আয়ের বৈষম্যই নয় বরং সমান সুযোগকে নিশ্চিত করে এবং সকলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তির প্রচারের মাধ্যমে ফলাফলের বৈষম্যকে ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার আহ্বান জানায়। লক্ষ্য ১০-এর জন্য এসডিজি সূচক স্কোর রাজ্যগুলির জন্য ৪৩ থেকে ৮৭ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য ৪৯থেকে ৮০ এর মধ্যে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে যথাক্রমে গোয়া এবং পুদুচেরি শীর্ষস্থানে। দুটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্কোর ৫০ এর কম।
❤ Support Us