- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জুন ৭, ২০২৪
ফের উত্তপ্ত মণিপুর।নিহত এক। জিরিবামে জারি ১৪৪ ধারা

ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্য মণিপুরে অশান্তির যেন শেষ নেই। রাজ্যের জিরিবাম -এর জেলাশাসক এল আংশিম ডাংশাওয়া গতকাল একটি বিবৃতি জারি করে সে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। আদেশ অনুযায়ী ৬জুন, ২০২৪ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাসিন্দারা একজোট হয়ে বাড়ি থেকে বাইরে বেরোনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।করা যাবে না কোনো জমায়েত। জিরিবাম জেলার সমস্ত জেলা স্তরের আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সম্পত্তি এবং নথির কোনও ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে । আইন না মানলে সিআরপিসি, ১৯৭৩ এর ধারা ১৪৪ এর ২ নম্বর উপধারা এর অধীনে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করবে প্রশাসন। এই পরিস্থিতি পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
তামেংলং ও জিরিবাম দুই সীমান্তবর্তী এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। ফলে সংঘর্ষমূলক বা দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। যার জেরে জনজীবন ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন জেলা শাসক। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা রূপে অসামাজিক পরিকল্পনা ও বেআইনি কার্যকলাপে লাগাম দিতে এমন কাজ করেছে প্রশাসন, বলে মনে করা হচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জড়িত সরকারি সংস্থাগুলো এবং গণমাধ্যমসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবামূলক মাধ্যমকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।আদেশে আরও বলা হয়েছে যে জরুরী অবস্থার ক্ষেত্রে এবং নির্ধারিত এলাকার মধ্যে যারা বিবাহ, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ইত্যাদির জন্য মিছিল করতে চান,তা দের অনুমতির জন্য তামেংলং-এর নিম্নস্বাক্ষরকারী বা পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টের কাছে আবেদন করতে হবে। তবে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত তারা কোনরকম মিছিল বা শোভাযাত্রা করতে পারবেনা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত মণিপুরের জিরিবাম জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । গতকাল সোইবাম শরৎকুমার সিং নামে এক ব্যক্তি সকালে তার খামারে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, পিছনে দায়ী জাতিগত অশান্তি। তার পর থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ।
গত বছরের মে মাস থেকে মণিপুরে যে জাতিগত বিবাদ চলছে তা এখনও পর্যন্ত জিরিবামে প্রবেশ করেনি। এ অঞ্চলে মেইতি, মুসলিম, নাগা, কুকি ও অ-মণিপুরিদের একসাথে মিলেমিশে বসবাস করে। পরিস্থিতি যেন হাতের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য জেলা শাসক এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
❤ Support Us