- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
সংসদে জঙ্গি হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনেই অঘটন, দর্শকবেসে সংসদে ঢুকে দুই ব্যক্তির হলুদ গ্যাস হামলা । নিরাপত্তা নিয়ে উঠল প্রশ্ন
সংসদে জঙ্গি হামলার ২২ বছর পূর্তির দিন সংসদের দর্শকাসনে থেকে দুজন লাফিয়ে পড়ে সাংসদদের আসনের দিকে। লাফিয়ে তারা টপকাতে থাকে সাংসদের বসার আসন। তখন সংসদ অধিবেশন চলছিল। এই ঘটনায় সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় রকমের প্রশ্ন উঠে গেল। জিরো আওয়ার্সে এই ঘটনা ঘটেছে। দুজনকেই পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। এই দুই জনই দর্শকের তালিকায় নাম লিখিয়ে সংসদে প্রবেশ করে ১১টার পরে। দুজনকেই পার্লামেন্ট থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যে দুজনকে ধরা হয়েছে, যারা লাফিয়ে পড়েছে তাদের জুতোর মধ্যে থেকে একটি জিনিস বের করে স্প্রে করতে থাকে। তাতে হলুর রঙের ধোওয়ার মতো রাসায়নিক গ্যাস বার হতে শুরু করে। সেই গ্যাস থেকে বারুদের গন্ধ আসছিল। সংসদ থেকে সমস্ত সাংসদদের সঙ্গে সঙ্গে বের করে দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে এই দুজন মহীশূরের সংসদের পাশ নিয়ে সংসদে প্রবেশ করেছিল। মহীশূরের বর্তমান সংসদের নাম প্রোটন সিং, তিনি বিজেপি সাংসদ। এদের মধ্যে একজনের নাম সাগর। এই দুই জন ছাড়াও সংসদের পরিবহণ কেন্দ্র থেকে আরও দুজনকে ধরেছে পুলিশ। কেন এরা এসেছিল, কি ভাবে নিরাপত্তার করা নজর এড়িয়ে এরা সংসদে প্রবেশ করতে পারল সেটাই বড় প্রশ্ন।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “দর্শকাসনে থেকে দুজন সাংসদের আসনের দিকে লাফিয়ে পড়ে জুতো থেকে একটি জিনিস বের করে তা থেকে হলুদ রংয়ের গ্যাস ছড়াল, তখন কোনও নিরাপত্তা রক্ষী ছিল না। আমি ও কয়েকজন পুলিশ পুলিশ বলে চিৎকার করতে থাকায় কয়েকজন যুবক সাংসদ ওই দুই জনকে ধরার চেষ্টা করে। তিন জনের মতো ছিল। একজনকে ধরা হয়েছে। বাকিরা কোথায়, তারা সন্ত্রাসবাদী কি না, কোন গোষ্ঠীর সেটাও জানি না। আমরা সংসদে চিৎকার করলে মার্শাল ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। অথচ সংসদ চলার সময় এই ঘটনা ঘটল। সংসদের নিরাপত্তা কোথায়? এতো কথা বলে বিজেপি সরকার শেষ পর্যন্ত সাংসদদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।” তৃণমূল সাংসদরা এই ঘটনার পরে দলীয় কার্যালয়ে বসে আছেন।
এদিকে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “দর্শকাসনে বসে থাকা দু’নজ লাফিয়ে পড়ে জুতো থেকে কি একটা বের করে হলুদ রংয়ের গ্যাস ছড়িয়ে দেয়। এদের লোকসভায় প্রবেশের আগে ভালো করে পরীক্ষা করে তার পর ঢুকতে দেওয়া উচিত। না হলে বিপদের আশংকা থেকেই যায়।”
এমনিতে সংসদে দর্শক বা সাংসদ যে কেউ প্রবেশের আগে ভালো করে তাদের পরীক্ষা করা হয়। মেটাল ডিটেক্টর দিয়েও পরীক্ষা করা হয়। তাহলে কি ভাবে এই করা নজরদারি এড়িয়ে ওই দুই ব্যক্তি জুতোয় অজানা কিছু লুকিয়ে নিয়ে সংসদের দর্শকাসনে প্রবেশ করতে পারল? জানা যাচ্ছে মহীশূরের সাংসদ প্রতাপ সিং এর সূত্রেই ওই দুই ধৃত ব্যক্তি লোকসভার দর্শকাসনে এসেছিল, তাহলে কি ওই দর্শকদের সঠিক ভাবে পরীক্ষা করা হয়নি? প্রশ্ন সেটাই, তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।
❤ Support Us