- দে । শ
- অক্টোবর ১৮, ২০২৩
পর্যটকদের জন্য সুখবর, বিপর্যয় কাটিয়ে স্বাভাবিক সিকিম, পঞ্চমীতেই খুলে যাচ্ছে সেবক-সিকিম রোড

সিকিমের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা এখনও বাংলার মানুষের স্মরণে আছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির জলে সিকিমের লোনক হ্রদের জল উপচে তিস্তা নদীকে প্লাবনে উদ্দীপ্ত করেছিল।যার পরিণতিতে সিকিমের বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছিল সেবক-সিকিম রোড। দুর্গা পুজোর পঞ্চমীতে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই রাস্তা খুলে যাচ্ছে। পুজোর মুখে সেবক-সিকিম রোড খুলে যাওয়া পর্যটকদের জন্য অবশ্যই বড় সুখবর।
পুজোতে সিকিম ঘুরতে যান বহু মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, এ বছর হয়ত আর পুজোর ছুটিতে সিকিম যাওয়া সম্ভব হবে না। সিকিমের বন্যার কারণে সেবক-সিকিম রোডও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া সেখানে সংস্কারের কাজও চলছিল। এই সেবক-সিকিম রোড হল বাংলা ও সিকিমের লাইফলাইন।
তবে আশার খবর দিল রাজ্য পূর্ত দফতর। তারা জানিয়েছে, মঙ্গলবার সেবক-সিকিম রোড সংস্কারের কাজ খতিয়ে দেখেছে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা। তারপর সেবক-সিকিম রোড খুলে দেওয়ার সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
পূর্ত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লোনক হ্রদ বিপর্যয়ে বড় ক্ষতি হয়েছিল জাতীয় সড়কের, সেটা সংস্কার করা হয়েছে। বন্যায় হাইওয়ের যে সমস্ত জায়গাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তা সারানো হয়েছে। ফলে এখন আর সিকিম যেতে কোনও সমস্যা নেই। তবে সিকিমের বিপর্যয়, সেবক-সিকিম হাইওয়ে বন্ধ থাকায় অনেকেই পুজোয় সিকিম ভ্রমণের বুকিং ক্যানসেল করেছিলেন। তবে পঞ্চমী থেকে হাইওয়ে খুলে যাওয়ার খবর পেয়ে খুবই খুশি পর্যটক ও ট্যুর অপারেটররা।
সিকিমের হ্রদ বিপর্যয়ের জেরে কালিম্পংয়ের লিকুইভির, ২৯ মাইল ও গেইলখোলায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশ বন্যার জলে তলিয়ে যায়। তিস্তার জলস্তরের উচ্চতা বিপদসীমার কাছাকাছি থাকায় শুরুতে মেরামতির কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হয়েছিল। কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা দিনরাত এক করে কাজ করেছেন। কয়েকটি জায়গায় পাহাড় কেটে রাস্তা বাড়ানো হয়েছে। আবার কোথাও বালির বস্তা, পাথর ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গার্ডওয়াল। সব কাজ শেষ করে বারবার পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয়েছে। পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় জানিয়েছেন, পুজোর আগে সেবক-সিকিম রোডে মেরামতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেই মতো যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ এগিয়েছে। আগামীকালই এই হাইওয়ে পর্যটকের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
❤ Support Us