- এই মুহূর্তে
- নভেম্বর ২৩, ২০২১
বাংলাদেশে মহামারীর আবহে বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা, প্রকাশ্যে উদ্বেগজনক রিপোর্ট
মহামারীআবহে গত অর্থবর্ষে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশে সরকারের এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে বলেছেন, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মোট ঘটনা ছিল ২১ হাজার ৭৮৯টি, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ১৮ হাজার ৫০২টি। সে হিসেবে এক বছরে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে ১৭.৭৬ শতাংশ। করোনা মহামারীর এই সময়ে বিশ্বে হিংসার শিকার হয়ে আগের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি মহিলা হেল্পলাইনে ফোন করেছেন বলে ইউএন উইমেনের এক পরিসংখ্যাণে উঠে এসেছে। গত বছর মার্চে বাংলাদেশে মহামারী শুরুর পর থেকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বাড়ার বিষয়ে ধারণা পাওয়া গেলেও পরিসংখ্যান ছিল না। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দেওয়া তথ্যে সেই ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপিত মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৭ হাজার ২২২টি, যা আগের বছর ছিল ৫ হাজার ৮৪২টি। এদিকে শাস্তি বাড়লেও কমেনি ধর্ষণ-নিপীড়ন। নারী নির্যাতনের ঘটনা ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১২ হাজার ৬৬০টি থেকে বেড়ে গত দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৬৭টি। চলতি অর্থবর্ষে খুন রাহাজানি-সহ বিভিন্ন অপরাধের আগের বছরের মতো থাকার চিত্রই এসেছে আনোয়ারুল ইসলামের দেওয়া তথ্যে।অবশ্য এই সময়ে হত্যাকাণ্ড ও ডাকাতির ঘটনা সামান্য কমেছে । তবে রাহাজানির ঘটনা আগের চেয়ে সামান্য বেড়েছে।
এদিকে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে মোট ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা ছিল ৬ লক্ষ ৬১ হাজার। যা গত জুন মাসের শেষে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩৬২টি। এই হিসাবে প্রায় ৯১ হাজারের মতো মামলা কমেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে নিষ্পত্তি বাড়ায় এক বছরে মামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। গত বছর ডিজিটাল কোর্ট হওয়ার ফলে আইনজীবী যাঁরা আছেন, তাঁরা বাড়ি থেকেও অনলাইনে মামলাগুলি পরিচালনা করতে পেরেছেন, তাই মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়েছে।