Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মে ২৬, ২০২৩

অভিষেকের কনভয়ে ইট বৃষ্টি। গড় শালবনীতে বীরবাহার গাড়িতে কুর্মি আগুনের আঁচ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
অভিষেকের কনভয়ে ইট বৃষ্টি।  গড় শালবনীতে  বীরবাহার গাড়িতে কুর্মি আগুনের আঁচ

বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার পর এবার ঝাড়গ্রামের গড় শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারাভ্যান বেরিয়ে যাওয়ার পর ইঁট বৃষ্টি, চোর স্লোগান। অভিষেকের জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা, তার পর এই ঘটনা ঘটে কি করে? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ?” অভিষেকের গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পর মুহূর্তে  কুড়মিদের আক্রমণের মুখে পড়ল তৃণমূল নেতানেত্রীদের কনভয়। রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর হয়। বীরবাহা হাঁসদা অভিযোগ করে বলেন, “এটা কোনও জাতিগত আন্দোলন নয়। জাতের রাজনীতিতে এতে নোংরামো হয় না। এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। আদিবাসীদের আন্দোলন কখনও এত হিংসাত্মক হতে পারে না।”

বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির সামনের কাচ, পাশের জানলার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। একাধিক গাড়িতে আক্রমণ করে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা, এমনটাই অভিযোগ বীরবাহা হাঁসদার।

বীরবাহা বলেন, “আমি কুড়মি নেতাদের কাছে জানতে চাইছি, এসব কি হচ্ছে? আমাদের কনভয় যখন যাচ্ছে তখন আচমকা এই হামলা। আমি কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতা রাজেশ মাহাতোকে গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বাইরে থেকে লোক ঢুকেছে। আমার প্রশ্ন তাহলে রাজেশ মাহাতো কিসের নেতা? এর উত্তর দিতে হবে। এটা কোন জাতিসত্ত্বার আন্দোলন? আমিও সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ।” প্রসঙ্গত বীরবাহা হাঁসদা রাজ্যের মন্ত্রী। বীরবাহা বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে গেলে চোর চোর করে পরবর্তী গাড়িগুলির উপর ইঁট বৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন উঠছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাত্রাপথে তা হলে কি নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত ছিল? ২ হাজার পুলিশ তাঁর যাত্রাপথে থাকে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে গোয়েন্দাদের কাছে কি কোনও খবর ছিল না?
গত ২৩ মে বাঁকুড়ার সিমলাপালে অভিষেকের গাড়ি কুড়মিদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। তারপর পুরুলিয়া একই ঘটনা হয়। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের পর দইঝুড়ি যাওয়ার পথে ঝাড়গ্রামের  গড় শালবনী এলাকায় অভিষেকের গাড়ি অতিক্রম করে যেতেই তাঁর গাড়ির পেছনে থাকা কনভয়ের গাড়ির উপর হলুদ পতাকা ও দাবি সম্বলিত পোস্টার হাতে লাঠিসোটা নিয়ে বহু মানুষ ইঁট বৃষ্টি শুরু করে, সঙ্গে চোর স্লোগান ওঠে। প্রচুর পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এদিকে এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “হিংসা কখনই সমর্থন করছি না তবে কুড়মিদের উস্কে যখন আমার বাড়িতে হামলা হল তারপর তখন অভিষেক কুড়মিদের ইন্ধন দেয়। এখন দেখুক কেমন লাগে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!