- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২, ২০২৩
থামলেন শরদ। দলের শীর্ষে পাওয়ার কন্যা না ভাইপো অজিত, তুঙ্গে জল্পনা
মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নতুন দিকে বাঁক নিতে পারে। কারণ এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। শরদ পাওয়ারের পরে ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি কিংবা এনসিপি-র সুপ্রিমো কে হবেন, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। এব্যাপারে এনসিপির তরফে এপর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। মঙ্গলবার এনসিপির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার খবর জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার নিজেই। তিনি বলেছেন, মানুষকে কোথাও একটা থামতে জানতে হবে। এজন্যেই দলীয় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
শরদ পাওয়ার ইস্তফা দেওয়ার পরে এনসিপি সভাপতি হিসেবে কে দায়িত্ব নিতে চলেছেন, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। যে দুটি নাম নিয়ে জল্পনা চলছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শরদ পাওয়ারের কন্যা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে এবং শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারের নাম। শরদ পাওয়ার দলীয় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় সুপ্রিয়া সুলে নাকি অজিত পাওয়ার শিকে ছিঁড়বে কার ভাগ্যে, এখন তাই দেখার। সূত্রের খবর, শরদ পাওয়ারের ইস্তফার পরে এনসিপি-র দলীয় নেতৃত্বেও রদবদল হবে বলে জানা গিয়েছে।
১৫ দিন আগে শরদ পাওয়ারের কন্যা সুপ্রিয়া সুলে ইঙ্গিত দেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দুটি বড় ধরনের রাজনৈতিক বিস্ফোরণ ঘটবে। এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে যে দুটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের ইঙ্গিত দিয়ে জানান, এর একটি ঘটবে মহারাষ্ট্রে, আরেকটি দিল্লিতে। এদিন শরদ পাওয়ার দলের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতি প্রসঙ্গে সুপ্রিয়া সুলের ইঙ্গিতই সত্য হল।
এদিন এনসিপি সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ার নিজেই ঘোষণা করলেও বিষয়টি নিয়ে ভেঙে কিছু বলেননি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিশেষত এনসিপি-র অন্দরে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই জল্পনাও জোরদার হয়েছে, শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছেন।
১৯৯৯ সালে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হন শরদ পাওয়ার। এরপর তিনি এনসিপি গঠন করেন। ইটালিতে জন্মগ্রহণ করা সোনিয়া গান্ধির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর দৌড়ে সামিল হওয়ার বিরোধিতা করায় কংগ্রেস সেইসময়ে তিনজন প্রবীণ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। এঁদের অন্যতম শরদ পাওয়ার।
❤ Support Us