- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২৯, ২০২৪
দিল্লি দাঙ্গা কান্ডে জামিন পেলেন অভিযুক্ত শারজিল ইমাম

গতকাল উমর খালিদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও আজ জামিন পেলেন শারজিল ইমাম । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি দিল্লির ২০২০ সালে ঘটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সাথে যুক্ত ছিলেন। আজ ইমামের কৌঁসুলি এবং দিল্লি পুলিশের বয়ান শোনার পর দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত ও বিচারপতি মনোজ জৈনের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেন।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডির গবেষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ , তিনি ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং তার তিনদিন পর অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি বক্তৃতা করেন , যেখানে তিনি ভারতকে খণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক বার্তা দেন । তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচ রাজ্য থেকে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের হয়।মুম্বই , দিল্লি, এমনকি তাঁর পৈতৃক ভিটে বিহারের জাহানবাদেও হানা দেয় পুলিশ।
২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি গ্রেফতার হন ইমাম। তাঁর বিরুদ্ধে ধারা ১২৪-এ (দেশদ্রোহ), ১৫৩-এ (ধর্ম, জাত, সম্প্রদায়ের, জন্মস্থান এবং বাসস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতায় ইন্ধন দেওয়া), ১৫৩-বি (জাতীয় অখণ্ডতার ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করা), ৫০৫ (২) (বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণার জন্ম দিতে উস্কানিমূলক ভাষণ) এবং UAPA আইনের ধারা ১২ (বেআইনি কার্যকলাপ)-র আওতায় মামলা দায়ের করা
এর আগে, ট্রায়াল কোর্ট ইমামের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন তিনি। আদালতে তাঁর আইনদীবী তালিব মুস্তাফা এবং আহমেদ ইব্রাহিম জানান, যে ধারায় মামলা করা হয়েছে , তাতে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাবাসের নিদান দেওয়া রয়েছে। কিন্তু ইমাম ইতিমধ্যেই চার বছর সাত মাস জেলে কাটিয়েছেন।
গত সাড়ে চার বছর ধরে জেলবন্দি ছিলেন ইমাম। । কিন্তু আজ পর্যন্ত তদন্ত শেষ করে উঠতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। তাই বুধবার ইমামের জামিন মঞ্জুর হল। তবে এখনই জেল থেকে মুক্তি মিলছেনা তাঁর।
❤ Support Us