টি২০ বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে অবশেষে মুখ খুললেন শোয়েব মালিক

ঘরোয়া ক্রিকেটে দুরন্ত পারফরমেন্স। পাকিস্তান সুপার লিগেও নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছিলেন। তা সত্ত্বেও টি২০ বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি শোয়েব মালিকের। এই নিয়ে কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। অবশেষে বিশ্বকাপ শুরুর প্রাক্কালে দলে জায়গা না পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন শোয়েব। তবে বিশ্বকাপ দলে নির্বাচকরা তাঁকে সুযোগ না দেওয়ায় কোনও আক্ষেপ নেই পাকিস্তানের এই বর্ষীয়ান অলরাউন্ডারের।

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, মিডল অর্ডারে বিপর্যয় সামলাতে অভিজ্ঞ শোয়েব মালিককে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হবে। কিন্তু নির্বাচকরা ফিরেও তাকাননি। এই নিয়ে শোয়েব মালিকের অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই। বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পাওয়া নিয়ে কাউকে দোষারোপ করতেও চাননা। মালিক বলেন, ‘‌আমার কাজ হল ক্রিকেট খেলা। যেখানেই সুযোগ পাব, খেলব। আমাকে দলে নেওয়া না নেওয়ার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নির্বাচকদের এবং টিম ম্যানেজমেন্টের কিংবা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ব্যাপার। যেখানেই সুযোগ পাব, পারফরমেন্সস করার চেষ্টা করব। কারও সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমি কারও বিরুদ্ধে নই। আমার সাফল্যের পেছনে রয়েছে সবসময় ইতিবাচক থাকা।’

টি২০ বিশ্বকাপ নিয়ে সামা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব মালিক বাবর আজমের সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘‌আগে বাবর আজমের সঙ্গে আমার প্রচুর কথা হত। কিন্তু অধিনায়ক হওয়ার পর আর তেমন কথা হত না। কারণ, আমি মনে করি কেউ অধিনায়ক হয়ে গেলে তাঁকে খোলামনে থাকার সুযোগ দেওয়া উচিত। আমিও একসময় এইরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম। সেইজন্য আজ পর্যন্ত বাবরের ওপর কোনও চাপ তৈরি করিনি, কখনও করবও না। কখনও ওকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। ভবিষ্যতেও করব না।’‌

গত বছর নভেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের পর থেকে আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি শোয়েব মালিক। এশিয়া কাপের আগে দেশের জাতীয় টি২০ প্রতিযোগিতায় ৯ ইনিংসে ২০৪ রান করেছিলেন। এর মধ্যে ছিল দুটি হাফ সেঞ্চুরি। স্ট্রাইক রেট ১৪০.‌৬৮। ২০২২ পাকিস্তান সুপার লিগে ১১ ম্যাচে করেছিলেন ৪০১ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৭.‌৩২। তা সত্ত্বেই জাতীয় দলে তিনি ব্রাত্যই থেকে গেছেন। তবুও কোনও আফশোস নেই এই পাকিস্তানী অলরাউন্ডারের।