Advertisement
  • গ | ল্প
  • ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২

শ্রেণি

স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
শ্রেণি

অলঙ্করণ: দেব সরকার

কথাটা শুনেই সুদীপের মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। এক মিনিট? মাত্র?

–হ্যাঁ স্যার—কখনো কখনো সামান্য একটু বেশি। তাও সেটা প্রয়োজন বুঝে।

–প্রয়োজন মানে?

–ঐ, কেউ হয়তো ঠিকঠাক উঠতে পারল না গাড়িতে। বা কাউকে ছাড়তে এসেছে বাড়ির লোক, সে দৌড়ে গিয়ে ধরেছে গার্ডকে। গাড়ি থামানোর জন্য। তখন হয়তো থামে। কিন্তু সে খুব কম।

–তাহলে? কী করা?

–ঐ যা বললাম, আধঘন্টা-পঁয়তাল্লিশ মিনিট আগে বেরোন, সোজা অটো বা আমার গাড়ি ধরে ঘাটশিলা চলে যান, ট্রেন ধরে নিন। ঘাটশিলায় প্রায় দশ মিনিটের মতো থামে গাড়িটা।

আবার অটো বা বাপির গাড়ি। মানে আবার গচ্চা।

–না স্যার, টাকার দরকার নেই(লোকটা অন্তর্যামী নাকি?), আপনাকে রিসর্ট থেকে স্টেশনে যেতেও তো অটোভাড়া করতে হবে, এতগুলো ব্যাগ নিয়ে তো আর স্টেশনে যেতে পারবেন না। ঐ টাকাটাই দেবেন—

–ঐ টাকা মানে পঞ্চাশ টাকা?

–হ্যাঁ স্যার।

–মানে? স্টেশনে যেতেও যা ঘাটশিলা যেতেও তা?

–না স্যার, ঘাটশিলা যেতে আমি দেড়শো নিই, কিন্তু আপনি অ্যাদ্দিন ধরে আমার গাড়ি চড়লেন, ঘুরলেন, আপনার থেকে কি আমি…আপনি শুধু স্যার আমাকে ফোন করে দেবেন। আমি গাড়িপাঠিয়ে দেব। তারপর স্টেশন বললে স্টেশন, ঘাটশিলা বললে ঘাটশিলা।

ঠিক আছে, তাই সই। ঘাটশিলা দিয়েই যাবে সুদীপ। এক মিনিটের মধ্যে বৌ-বাচ্চা-লাগেজ নিয়ে গাড়িতে ওঠা সম্ভব নয়।

–আর একটা কথা স্যার। বম্বে-কুড়লায় কিন্তু এসি কামরাগুলো কোথায় থাকবে তার ঠিক নেই। একটা সামনে তো দুটো পেছনে। কখনো বা উল্টোটা। হয়তো ফার্স্টক্লাস ক্যুপ আর এসি টু টিয়ার সামনে, এসি থ্রি টিয়ার পেছনে।

–মানে? কোনটা হবে জানার কোনো উপায় নেই?

–ঐ, স্টেশনে পৌঁছে স্টেশনমাস্টারকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

কিন্তু না, বাদ সাধল স্বাতী—না, গালুডিতে এসে উঠেছি, গালুডি থেকেই যাব।

–অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বল না—কোনো মা-বাবা নেই। গালুডি কি তোমার জন্মস্থান—এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতেই মরি?

–ও তুমি যাই বল, আমি গালুডি থেকেই যাব—

–তিনটে ঢাউস ব্যাগ, টুপুস। কোন দিকে কোচ পড়বে তার ঠিক নেই। বোর্ডিং সম্ভব এক মিনিটে? তাছাড়া গাড়ি থেকে প্ল্যাটফর্মটা কতটা নীচু দেখেছ? সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে। পারবে?

–খুব পারব। আসার সময় নামতে পারলাম কী করে? তাছাড়া বলেই তো দিল, আগে থেকে জেনে নেওয়া যাবে, এসি টু টিয়ারটা কোন দিকে পড়েছে, সামনে না পিছনে?

–ঘাটশিলায় প্ল্যাটফর্মটা  অন্ততঃ উঁচু পাব। ট্রেনটাও বেশিক্ষণ থামবে—

–আমি গালুডি থেকে উঠব, ব্যস!

–অবুঝপনার জন্য কোনো নোবেল প্রাইজ থাকলে না, মেয়েদেরই সেটা পাওয়া উচিত!

–আর ভীতুপনার জন্য থাকলে ছেলেদের।

–হোপলেস! হোপলেস একটা!


মহিলার  আহ্বানটাকে পাত্তা না দিয়ে মুখ ফিরিয়ে  নিল সুদীপ। আর  চোখ সরাতে না সরাতে টের পেল ও, প্রত্যাখ্যানের অপ্রতিভতায় মহিলা মুখে একচিলতে হাসি আনার চেষ্টা করছে। ঠিক বাচ্চা মেয়েটার মতো।


কিন্তু বেশি চেঁচামেচি করে কোনো লাভ নেই। কারণ স্বাতী যা বলবে তাই হবে। মানে তাই হতে হবে। আর পুজোর এই চারটে দিন গালুডিতে যে অসম্ভব সুন্দরভাবে কাটল, সেটার রেশটা টেনে নিয়ে যেতে ইচ্ছে করছে কলকাতা পর্যন্ত, ঝগড়া করলে সেটা ছিঁড়েখুঁড়ে এই গালুডি রিসর্টেই পড়ে থাকবে। অতএব।

রিসর্টের মালিক দেবানন্দবাবু বেশ গুছিয়ে গাড়ির সকালের টিফিন সাজিয়ে দিয়েছেন। লুচি আলুরদম সন্দেশ। স্বাতীর সঙ্গে আনা ফ্লাস্কে চা। বাপি ঠিক সময়ে গাড়িটা পাঠিয়ে দিয়েছে। ঠিক সময়মতো স্টেশনে পৌঁছনোও গেছে। তবু সুদীপের কপালে একটা নাছোড় ভাঁজ। এই ট্রেনটা মিস করলে এক তো পয়সাগুলো জলে, উপরন্তু বিকেলের ইস্পাতে যেতে হলে এই মুহূর্তে এসি কোচ পাবে না, সুতরাং সাধারণ রিজার্ভড বগিতে উঠতে হবে, যেটা নামেই রিজার্ভড, আসলে চাষা-ভুষো-মুচি-মেথর সবাই ওঠে। অসহ্য! তার ওপর সেই বিকেল পর্যন্ত এই নোংরা প্ল্যাটফর্মে বসে হাপু গাও। তাছাড়া ইস্পাত হাওড়ায় পৌঁছতে পৌঁছতে সেই সন্ধে সাতটা-সাড়ে সাতটা, সুতরাং আজ বিকেলে সিমা-য় এক্সিবিশনটা গেল!

এনকোয়্যারিতে গেল সুদীপ। ওপারে হাঁড়িমুখো লোকটার মুখের ভাব এমন যে দেখে মনে হয় এই পৃথিবীর কোনো ব্যাপারে ওর কিচ্ছু যায় আসে না। তবু এই মুহূর্তে তো ও ছাড়া গতি নেই।

–দাদা, বলছি যে বম্বে-কুড়লায় এসি টু টিয়ারটা সামনে পড়বে না পেছনে পড়বে?

–জানি না।

–প্লিজ! আমাদের লাগেজ নিয়ে বাচ্চা নিয়ে উঠতে হবে। গাড়িটা মাত্র এক মিনিট থামে। যদি আমরা প্ল্যাটফর্মের একদিকে থাকি আর কোচটা অন্যদিকে থাকে তাহলে—

–টাটানগর-এর আগে কিছু বলা যাবে না—

–মানে?

–গাড়ি টাটানগর-এ আসে গালুডির আধঘন্টা আগে। তখন জানা যাবে।

আধঘন্টা হতে এখনো পঁচিশ মিনিট দেরি। কী কপালে আছে কে জানে। ওদিকে স্বাতীকে দেখ, টুপুসের সাথে স্টোন-পেপার-সিজার খেলে যাচ্ছে। কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই অফার করল, চিকলেট?

উত্তর না দিয়ে সুদীপ সম্পূর্ণ পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে রইল। আর স্বাতী-টুপুস ব্যস্ত হয়ে পড়ল তাদের কাজে।

ট্রেনটা এল রাইট টাইমেই। মানে ইণ্ডিয়ান রাইট টাইম। পনেরো মিনিট লেট। মাত্র।দূর থেকে গাড়িটাকে আসতে দেখেই সুটকেস দুটো পাকড়াল সুদীপ—স্বাতী, ট্রেন, কুইক। কোচটা সামনের দিকে পড়েছে। কথা রেখেছে হাঁড়িমুখো । জানিয়ে দিয়েছে আধঘন্টা আগে থাকতেই।

সামনের দিকে প্রায় দৌড়ে গেল সুদীপ। পেছন পেছন স্বাতী আর টুপুসও। কিন্তু এ কী? এটা তো এসি কোচ-ই নয়। এমনকি রিজার্ভড বগিও নয়। একেবারে জেনারেল কম্পার্টমেন্ট। পড়ি কি মরি করে দৌড়োল আগেরটায়।

–এটা ভেণ্ডার!—চেঁচিয়ে উঠল স্বাতী।

তাহলে কি তারও আগেরটা? না, এটা তো ইঞ্জিন! তাহলে? হেল্পলেস লাগছে কীরকম! ওদিকে বেজে উঠেছে গাড়ির বাঁশি। চেঁচিয়ে উঠল স্বাতী—ঐ কামরাটায় উঠে পড়ি, চলো—

মানে? জেনারেল কম্পার্টমেন্টে? এসি টু টিয়ারের টিকিট কেটে–? দাঁতে দাঁত ঘষল সুদীপ—বলেছিলাম ঘাটশিলা দিয়ে যাই—

–ডোন্ট বি সিলি! তাড়াতাড়ি ওঠ! ট্রেনটা মিস করব নাকি?

হাঁচোড়পাঁচোড় করে ট্রেনে উঠে পড়ল আড়াইজন মানুষ আর তিনটে ব্যাগ। উঠতেই, ছাড়ল ট্রেনটা। ওফ্‌! আর তক্ষুনি, ভক্‌ করে নাকে গন্ধটা লাগল। একটা ভ্যাপসা গুমো গন্ধ। যে গন্ধটা ইণ্ডিয়ান রেলের যেকোনো জেনারেল কম্পার্টমেন্টে উঠলেই পায় সুদীপ। সারাজীবন মাত্র তিনবার জেনারেল কম্পার্টমেন্টে ট্রাভেল করেছে ও। প্রতিবারই সেম এক্সপিরিয়েন্স, সেম ফীলিং।

এখনও অন্ততঃ দশ মিনিট এই গন্ধটা টলারেট করতে হবে। কীভাবে মিসগাইড করল এনকোয়্যারির লোকটা। এসি টু টিয়ারটা নিশ্চয়ই পেছনে। অথচ ওকে বলে দিল সামনে পড়েছে। জেনে বল।ব্যাগগুলো সিটের কাছে টেনে নিয়ে গেল সুদীপ। স্বাতী আর টুপুস এরই মধ্যে ঘেঁষাঘেঁষি করে একটা জায়গায় বসে পড়েছে। কামরাটায় খুব ভিড় অবশ্য নেই। চেপেচুপে জায়গা হয়ে যেতেও পারে। কিন্তু নো! অ্যান এমফ্যাটিক নো! এদের মধ্যে বসার কোনো ইচ্ছেই সুদীপের নেই। স্বাতী যে কী করে পারে কে জানে!

–অ বাবু! এটাতে বোসো না, জায়গা হয়ে যাবে—

ঘাড় ফিরিয়ে দেখল সুদীপ। আটপৌরে মলিন কাপড় পরা এক মধ্যবয়সিনী, চোখে মোটা কাচ আর দাঁতের হলদে হাসির আপ্যায়নে তাকে বসতে বলছে। আর যেখানে বসতে বলছে সেই সিটটার নীচেই কামরার মেঝেতে বসে আছে সাত-আট বছরের একটা বাচ্চা মেয়ে, গায়ে নোংরা তেলচিটে ছেঁড়া ফ্রক, নাক দিয়ে—ওফ্‌ কী পাপ! সেদিকে দেখেই ঘাড় নাড়ল সুদীপ। বসবে না।

–এই মেয়ে, সর্‌ না। উঠেছে ভিক্ষে করতে, ভদ্রলোকদের বসার জায়গা জুড়ে বসে আছে—খনখনিয়ে বেজে উঠল সেই মহিলা। আশ্চর্য! সুদীপের সঙ্গে কথা বলার সময় তো গলাটা চিনির মতো মিষ্টি লাগছিল কেমন!

ওদিকে কালো মুখটায় একটু অস্বস্তি ফুটে উঠলেও, যেন কিছুই হয়নি এমন মুখ করে একটু হাসার চেষ্টা করল মেয়েটা। তারপর একটু সরে বসল আর ডান হাত দিয়ে নাকের তলাটা মুছে নিল। দেখেই, গা-টা আবার গুলিয়ে উঠল সুদীপের। এখনো পাঁচ মিনিট।

–বোসো বাবু, বোসো এইখানটায়, জায়গা আছে গো—

মহিলার গলায় আবার চিনি। আহ্বানটাকে পাত্তা না দিয়ে চোখ সরিয়ে নিল সুদীপ। আর চোখ সরাতে সরাতে টের পেল ও, প্রত্যাখ্যানের অপ্রতিভতায় মহিলা মুখে একচিলতে হাসি আনার চেষ্টা করছে। ঠিক বাচ্চা মেয়েটার মতো।

গাড়ি ঘাটশিলা পৌঁছলো ঠিক এগারো মিনিট পরে। এসি টু টিয়ার না হোক, অন্ততঃ অন্য কোনো রিজার্ভড কম্পার্টমেন্টে উঠতেই হবে। এবং খুব তাড়াতাড়ি। কারণ স্বাতী এরই মধ্যে জিজ্ঞেস করে জেনেছে, ঘাটশিলাতেও এটা দাঁড়ায় মাত্র দু-মিনিট। বাপি ভুল খবর দিয়েছিল।

নেমেই তাই আবার টেনশন । বাঁ দিকের কামরায় তড়িঘড়ি উঠে পড়ল তিনজন। ও হরি, এটা তো সেই ভেণ্ডারটা। আবার হুড়মুড় করে নেমে জেনারেল কম্পার্টমেন্টের ডানদিকেরটায়। কিন্তু এ কী? এটা তো এসি কোচ? কোচের বেড-সার্ভারকে জিজ্ঞেস করল সুদীপ, এটা কি এসি টু টিয়ার?

হ্যাঁ-বাচক ঘাড় নাড়ল লোকটা। ওফ্‌! বাবা! হাঁড়িমুখো তাহলে ভুল ইনফর্মেশন দেয়নি!

–বার্থ নাম্বার?

–একান্ন বাহান্ন তিপ্পান্ন।

হাত দিয়ে কামরার অন্যদিকটা দেখিয়ে লোকটা ব্যস্ত হয়ে পড়ল বেড-রোল গোছাতে। আর এতক্ষণ পরে সুদীপের দিকে হেসে তাকাল স্বাতী। বোঝাই যাচ্ছে টেনশন ছিল ওরও। বুঝতে দেয়নি শুধু।

–বোঝো! দুই দুই চার জোড়া চোখে এসি কম্পার্টমেন্টটা দেখতেই পেলাম না—

সিটে বসে হাঁফ ছাড়ল স্বাতী। টুপুস যথারীতি ওপরের বার্থ-এ। জানলার পর্দা সরিয়ে দিল সুদীপ। কালার্ড কাচের ওপর হেসে উঠল সকালের আলো।

–আরও একজন আছে তো আমাদের সাথে। ওপরের বার্থটায়, নাকি? গেল কোথায়?

–বাথরুমে গেছে-টেছে–

সিটে একটা মোবাইল পড়ে আছে। নিশ্চয়ই চতুর্থ যাত্রীর। হাতে নিয়েসেটা নেড়ে-চেড়ে দেখতে লাগল স্বাতী– বাবা, কী দামি মোবাইল গো…

—কী হচ্ছে কী? রেখে দাও মোবাইলটা…

সুদীপের কথা শেষ হতে না হতে মোবাইলের মালিক পর্দা সরিয়ে ঢুকল। হাতে শেভিং সেট, ব্রাশ। পরনে নাইট স্যুট। মুখচোখ অসম্ভব গ্ল্যামারাস। সুদীপ-স্বাতীকে দেখেই মুখের প্রভাতী প্রসন্নতা উধাও হয়ে গেল লোকটার।

–হ্যালো—একটু হাসল সুদীপ।

–হাই—গম্ভীর একটা উত্তর। আর তখনই, বেজে উঠল মোবাইলটা।চমকে উঠল স্বাতী। বিরক্ত মুখে এগিয়ে এল লোকটার হাত—এক্সকিউজ মি—

স্বাতী সসংকোচে এগিয়ে দিল ফোনটা। আর স্ক্রিন দেখেই, তেতো হয়ে উঠল লোকটার চোখমুখ। আঙুলটাকে সজোরে সোয়াইপ করে অন করল ফোন।

–কেয়া হ্যায়?….আরে কিতনি বার কহ্‌ চুকা হুঁ কে আয়াম রিচিং বাই ইলেভেন।….তো কেয়া করুঁ ম্যঁয়? ফ্লাইট ক্যানসেল হো গয়া তো ইসমে মেরা কেয়া গলতি? এক তো ইয়ে ট্রেনমে সফর কর্‌না পড় রহা হ্যায় উইথ দ্য আনসিভিলাইজড ফাকিং ফেলোজ উইদাউট সিভিক সেন্স, উপরসে তুমহারা ইয়ে মিনিংলেস কল্‌স, কব আ রহে হো কব আ রহে হো—ডিসগাস্টিং!

রীতিমত আওয়াজ করেসিটে বসে পড়ল লোকটা।গোটা শরীরভরা বিরক্তি। কয়েক সেকেণ্ড। তারপরই ফোন নিয়ে দুপদাপিয়ে উঠে শুয়ে পড়ল নিজের বার্থে। সুদীপদের দিকে সম্পূর্ণ পিছন ফিরে।

টুপুস ওপরে চুপ। স্বাতীর দৃষ্টিতে আহত কাঠিন্য। জানলার বাইরের প্রভাতী রোদ্দুরটাও যেন আড়ষ্ট চোখে তাকিয়ে আছে। আর আয়না না থাকা সত্ত্বেও, সুদীপ টের পেল, যেন কোথাও কিছু হয়নি এইটা বোঝাতে, ওর মুখে ফুটে উঠছে একটা সসংকোচ অপ্রতিভ হাসি। ঠিক একটু আগে দেখা বাচ্চা মেয়েটার মতো।

 

 


❤ Support Us
error: Content is protected !!